কাদরির লংমার্চে হাজারো মানুষ, গন্তব্য ইসলামাবাদ
পাকিস্তানের প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা তাহির উল কাদরি তাঁর লংমার্চ শুরু করেছেন। হাজারো সমর্থক আর শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে গত রবিবার তিনি লাহোর থেকে ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন।
সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ও নির্বাচনী সংস্কারের দাবিতে লংমার্চের আয়োজন করেছেন কানাডা প্রবাসী পাকিস্তানি এই নেতা। তাঁর লংমার্চে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছে পাকিস্তান সরকার।
বেসরকারি সংস্থা মিনহাজ-উল-কোরআন ইন্টারন্যাশনালের প্রধান কাদরির দাবি, এ লংমার্চে অন্তত ১০ লাখ লোক যোগ দেবে। তবে গত রবিবার লংমার্চ শুরুর সময় তাঁর সঙ্গে ২১ হাজার সমর্থক ছিল বলে সংগঠকরা জানান। গত মাসে কানাডা থেকে দেশে ফিরেই সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন কাদরি। একই সঙ্গে নির্বাচনী সংস্কারেরও দাবি তোলেন তিনি। ১৬ মার্চ সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হবে। আগামী ১৮ মার্চ পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হবে। সংবিধানে এর ছয় সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সামরিক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কাদরি সেনাবাহিনী ও বিচার বিভাগের সঙ্গে পরামর্শক্রমে অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন। নির্বাচনে সৎ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আনারও আহ্বান জানান তিনি। কাদরি পারভেজ মোশাররফের শাসনামলে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।
কাদরি গত রবিবার লংমার্চ শুরুর আগে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত সংবাদ সম্মেলন থেকে তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, 'ঘর থেকে বের হয়ে এসে পাকিস্তানকে বাঁচান। রক্ষা করুন আপনাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ, দেশের সম্মান। চোর, ডাকাত আর দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকদের হাত থেকে দেশকে বাঁচান। তারা দেশের উন্নয়ন তহবিল থেকে শত কোটি রুপি চুরি করে রাজনীতির কাজে ব্যবহার করছে। সংবিধানে এ ধরনের চর্চার কোনো সুযোগ নেই।'
এদিকে লংমার্চের ওপর জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক। এ আশঙ্কা থেকেই রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদের মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, রাজধানীর কেন্দ্র পর্যন্ত যেতে দেওয়া হবে না এ লংমার্চকে। লংমার্চ গতকাল সন্ধ্যায় ইসলামাবাদের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। তবে রাজধানীমুখী প্রধান প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, ডন।
বেসরকারি সংস্থা মিনহাজ-উল-কোরআন ইন্টারন্যাশনালের প্রধান কাদরির দাবি, এ লংমার্চে অন্তত ১০ লাখ লোক যোগ দেবে। তবে গত রবিবার লংমার্চ শুরুর সময় তাঁর সঙ্গে ২১ হাজার সমর্থক ছিল বলে সংগঠকরা জানান। গত মাসে কানাডা থেকে দেশে ফিরেই সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন কাদরি। একই সঙ্গে নির্বাচনী সংস্কারেরও দাবি তোলেন তিনি। ১৬ মার্চ সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হবে। আগামী ১৮ মার্চ পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হবে। সংবিধানে এর ছয় সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সামরিক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কাদরি সেনাবাহিনী ও বিচার বিভাগের সঙ্গে পরামর্শক্রমে অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন। নির্বাচনে সৎ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আনারও আহ্বান জানান তিনি। কাদরি পারভেজ মোশাররফের শাসনামলে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।
কাদরি গত রবিবার লংমার্চ শুরুর আগে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত সংবাদ সম্মেলন থেকে তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, 'ঘর থেকে বের হয়ে এসে পাকিস্তানকে বাঁচান। রক্ষা করুন আপনাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ, দেশের সম্মান। চোর, ডাকাত আর দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকদের হাত থেকে দেশকে বাঁচান। তারা দেশের উন্নয়ন তহবিল থেকে শত কোটি রুপি চুরি করে রাজনীতির কাজে ব্যবহার করছে। সংবিধানে এ ধরনের চর্চার কোনো সুযোগ নেই।'
এদিকে লংমার্চের ওপর জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক। এ আশঙ্কা থেকেই রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদের মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, রাজধানীর কেন্দ্র পর্যন্ত যেতে দেওয়া হবে না এ লংমার্চকে। লংমার্চ গতকাল সন্ধ্যায় ইসলামাবাদের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। তবে রাজধানীমুখী প্রধান প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, ডন।
No comments