২১টি সরকারি গাছ গোপনে বিক্রির অভিযোগ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদের ২১টি গাছ নামমাত্র মূল্যে গোপন নিলামের মাধ্যমে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ের পেছনের পুকুর ও সরকারি বাসভবনের চারপাশে প্রায় ৩০ বছর আগে রোপণ করা ১৯টি মেহগনি, একটি জাম ও একটি কদমগাছ কাটতে গত ১৩ ডিসেম্বর ইউএনওর কার্যালয়ে নিলাম দেখানো হয়। তার আগে সাবেক জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে এবং উপজেলা সমন্বয় সভায় গাছ বিক্রির সিদ্ধান্ত দেখানো হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিলামের সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে রাজবাড়ী সদর উপজেলার কাঠ ব্যবসায়ী আবু সাঈদের কাছে তিন লাখ ১৫ হাজার ৭৮৭ টাকায় গাছগুলো বিক্রি করা হয়।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বড় বড় মেহগনি গাছ কেটে নিচ্ছেন ঠিকাদার আবু সাঈদের পাঁচ-ছয়জন শ্রমিক। শ্রমিকদের ভাষ্যমতে, একেকটি গাছের দাম ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।
স্থানীয় একাধিক কাঠ ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গাছ নিলামের আগে এলাকার কোথাও মাইকিং করা হয়নি। উপজেলা কর্তৃপক্ষ গোপন নিলামের মাধ্যমে ১২-১৪ লাখ টাকার গাছ নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করেছে।
উপজেলা বন ও পরিবেশ কমিটির সদস্য উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা বলেন, ‘আমি কমিটির একজন সদস্য। এ-সংক্রান্ত আলোচনা শুনলেও কোথাও কোনো সই করিনি।’ কমিটির আরেক সদস্য দৌলতদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে আমার কিছুই জানা নেই। বিষয়টি আমি স্থানীয় সাংসদকে জানিয়েছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছরোয়ার হোসেন বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের গাছ বিক্রির ক্ষেত্রে সরকারের সব ধরনের নিয়মকানুন মানা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটানো হয়নি। যদি কেউ বর্তমান দরের চেয়ে বেশি দরে গাছগুলো নিতে চায়, তবে প্রয়োজনে ওই নিলাম বাতিল করে নতুন করে দরপত্রের মাধ্যমে আমরা তাকেই দেব। এ ছাড়া সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ওই ২১টি গাছের স্থানে নতুন করে প্রায় ৫০টি গাছ রোপণ করা হয়েছে।’
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বড় বড় মেহগনি গাছ কেটে নিচ্ছেন ঠিকাদার আবু সাঈদের পাঁচ-ছয়জন শ্রমিক। শ্রমিকদের ভাষ্যমতে, একেকটি গাছের দাম ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।
স্থানীয় একাধিক কাঠ ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গাছ নিলামের আগে এলাকার কোথাও মাইকিং করা হয়নি। উপজেলা কর্তৃপক্ষ গোপন নিলামের মাধ্যমে ১২-১৪ লাখ টাকার গাছ নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করেছে।
উপজেলা বন ও পরিবেশ কমিটির সদস্য উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা বলেন, ‘আমি কমিটির একজন সদস্য। এ-সংক্রান্ত আলোচনা শুনলেও কোথাও কোনো সই করিনি।’ কমিটির আরেক সদস্য দৌলতদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে আমার কিছুই জানা নেই। বিষয়টি আমি স্থানীয় সাংসদকে জানিয়েছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছরোয়ার হোসেন বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের গাছ বিক্রির ক্ষেত্রে সরকারের সব ধরনের নিয়মকানুন মানা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটানো হয়নি। যদি কেউ বর্তমান দরের চেয়ে বেশি দরে গাছগুলো নিতে চায়, তবে প্রয়োজনে ওই নিলাম বাতিল করে নতুন করে দরপত্রের মাধ্যমে আমরা তাকেই দেব। এ ছাড়া সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ওই ২১টি গাছের স্থানে নতুন করে প্রায় ৫০টি গাছ রোপণ করা হয়েছে।’
No comments