সরকারের ৪ বছর: যোগাযোগ খাত- পদ্মায় আটকে গেছে যোগাযোগ খাত by আনোয়ার হোসেন
পদ্মায় আটকে গেছে যোগাযোগ খাত। বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পসহ বেশ কিছু বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। সরকারের চার বছরে বেশ কিছু বড় প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে বা হওয়ার অপেক্ষায় আছে।
কাজের ধীর গতি ও প্রক্রিয়াগত দীর্ঘসূত্রতার কারণে এগুলোর সুফল জনগণ সময়মতো পাবে না। তবে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দেশে-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
সরকারি নথি থেকে জানা গেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্মা সেতু প্রকল্পের নকশা প্রণয়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ-প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে যায়। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নিয়ে ২২ দিনের মাথায় পরামর্শক নিয়োগ শেষ করে। পাশাপাশি তিন বছরের মধ্যে সেতুটি জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে। কিন্তু চার বছর চলে গেছে, পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করা যায়নি। সরকারের মেয়াদের শেষ বছরে এ কাজ শুরু হবেই—এ কথা জোর গলায় কেউ বলতে পারছেন না।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকল্পের প্রধান অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অর্থায়ন স্থগিত করে। একপর্যায়ে ঋণচুক্তিও বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। এরপর গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাংক ফিরে আসার ঘোষণা দেয়। সর্বশেষ গত ১৭ ডিসেম্বর সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে বাদ দিয়ে সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। বিশ্বব্যাংক বলে আসছে, দুর্নীতির অভিযোগের সুরাহা না হলে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন করবে না তারা।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পদ্মা সেতু নির্মাণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। এর পরই কর্ণফুলী নদীতে টানেল নির্মাণ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করা এবং রাজধানীর যানজট নিরসনে পাতালরেলসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল ২০০৬ সালে। কিন্তু দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে কয়েকবার প্রকল্পের দরপত্র-প্রক্রিয়া বাতিল হয়। সর্বশেষ বর্তমান সরকারের আমলে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। এ ছাড়া বনানী উড়ালসড়ক (ওভারপাস) নির্মাণ শেষ হয়েছে। মিরপুর-বনানী উড়ালসড়কের নির্মাণকাজও শেষ পর্যায়ে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ সব যানবাহনের জন্য বিশেষ ধরনের নম্বরপ্লেট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। বিভিন্ন মহাসড়কে যাতে অতিরিক্ত ভারবাহী যানবাহন চলাচল করতে না পারে, সে জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনের কাজ শুরু হয়েছে আংশিকভাবে। অবশ্য এগুলো নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ ছিল না।
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও ঢাকা উড়ালসড়কের কাজ আগামী অক্টোবরের মধ্যে শুরু করা সম্ভব হবে। এর সঙ্গে বাসের জন্য বিশেষ লেনের নির্মাণকাজও শুরু হবে। তাঁর দাবি, তিনি দায়িত্ব নিয়ে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছেন। এই মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে দুর্নীতি কমে এসেছে। সারা দেশে বেহাল সড়কের উন্নয়ন করেছেন।
চার লেন প্রকল্প: চার লেন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রায় এক হাজার ১৬৫ কোটি টাকায় ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রামের সিটি গেট পর্যন্ত ১৯২ কিলোমিটার পথ চার লেনে উন্নীত করা হবে। বর্তমানে এই পথটি দুই লেনের। ১০ ভাগে ভাগ করে এই কাজের সাতটি ভাগের কাজ পেয়েছে চীনা কোম্পানি সিনোহাইড্রো। বাংলাদেশের রেজা কনস্ট্রাকশন দুটি ও তাহের ব্রাদার্স একটি ভাগের কাজ পেয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এ পর্যন্ত মাত্র কাজ হয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। আগামী জুনের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ৬২ কিলোমিটার (একটানা নয়) সড়ক সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ প্রকল্পের কাজ শেষ হতে পারে।
মেট্রোরেল: বিশেষজ্ঞরা ঢাকার যানজট নিরসনে গণপরিবহনব্যবস্থা উন্নয়নের পরামর্শ দিয়েছেন। আর গণপরিবহনের মূল বাহন হচ্ছে মেট্রোরেল। কিন্তু সরকার চার বছরেও মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু করতে পারেনি। প্রকল্পের জন্য জাপানি ঋণের আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে গত ১২ ডিসেম্বর। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন হয় ১৮ ডিসেম্বর। তবে এখনো ঋণচুক্তি হয়নি।
ডিপিপি অনুমোদন ও অর্থের নিশ্চয়তা পেলেও ২০১৬ সালের আগে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে না। আগামী তিন বছর এই প্রকল্পের জন্য বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন, জমি অধিগ্রহণসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নির্মাণকাজ শুরুর তিন বছর পর ২০১৯ সালে রাজধানীর মানুষ বহুল আলোচিত মেট্রোরেলের পল্লবী থেকে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার অংশে চলাচল করতে পারবে। মেট্রোরেলের জন্য করা ডিপিপিতে এই সময়সীমার উল্লেখ আছে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পটির (এমআরটি-৬) অধীন ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার মেট্রোরেল হওয়ার কথা। এর জন্য করা ডিপিপিতে তিন পর্বে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। প্রথম পর্ব পল্লবী থেকে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে। সোনারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৪ দশমিক ৪০ কিলোমিটার দ্বিতীয় পর্ব এবং এটা শেষ করার কথা ২০২০ সালে। উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে পল্লবী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৭০ কিলোমিটার শেষ হওয়ার কথা ২০২২ সালে।
ডিপিপিতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। জাইকা ১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাকি পাঁচ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।
ঢাকা উড়ালসড়ক: ঢাকা উড়ালসড়ক প্রকল্পটি সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি) করার জন্য ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিকে নিয়োগ দেয় সরকার। ওই বছর এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের কাজের উদ্বোধনও করেন। কিন্তু এখনো সেই উদ্বোধন পর্যন্তই।
উড়ালসড়কটি বিমানবন্দরের কাছ থেকে শুরু হয়ে রেললাইন ধরে কমলাপুর গিয়ে শেষ হওয়ার কথা। কয়েক দফা এর পথ পরিবর্তন হয়। সর্বশেষ উড়ালসড়কটি যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান উড়ালসড়কের সঙ্গে সংযোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এখনো পথ চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।
সরকারি নথি থেকে জানা গেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্মা সেতু প্রকল্পের নকশা প্রণয়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ-প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে যায়। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নিয়ে ২২ দিনের মাথায় পরামর্শক নিয়োগ শেষ করে। পাশাপাশি তিন বছরের মধ্যে সেতুটি জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে। কিন্তু চার বছর চলে গেছে, পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করা যায়নি। সরকারের মেয়াদের শেষ বছরে এ কাজ শুরু হবেই—এ কথা জোর গলায় কেউ বলতে পারছেন না।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকল্পের প্রধান অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অর্থায়ন স্থগিত করে। একপর্যায়ে ঋণচুক্তিও বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। এরপর গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাংক ফিরে আসার ঘোষণা দেয়। সর্বশেষ গত ১৭ ডিসেম্বর সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে বাদ দিয়ে সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। বিশ্বব্যাংক বলে আসছে, দুর্নীতির অভিযোগের সুরাহা না হলে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন করবে না তারা।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পদ্মা সেতু নির্মাণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। এর পরই কর্ণফুলী নদীতে টানেল নির্মাণ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করা এবং রাজধানীর যানজট নিরসনে পাতালরেলসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল ২০০৬ সালে। কিন্তু দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে কয়েকবার প্রকল্পের দরপত্র-প্রক্রিয়া বাতিল হয়। সর্বশেষ বর্তমান সরকারের আমলে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। এ ছাড়া বনানী উড়ালসড়ক (ওভারপাস) নির্মাণ শেষ হয়েছে। মিরপুর-বনানী উড়ালসড়কের নির্মাণকাজও শেষ পর্যায়ে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ সব যানবাহনের জন্য বিশেষ ধরনের নম্বরপ্লেট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। বিভিন্ন মহাসড়কে যাতে অতিরিক্ত ভারবাহী যানবাহন চলাচল করতে না পারে, সে জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনের কাজ শুরু হয়েছে আংশিকভাবে। অবশ্য এগুলো নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ ছিল না।
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও ঢাকা উড়ালসড়কের কাজ আগামী অক্টোবরের মধ্যে শুরু করা সম্ভব হবে। এর সঙ্গে বাসের জন্য বিশেষ লেনের নির্মাণকাজও শুরু হবে। তাঁর দাবি, তিনি দায়িত্ব নিয়ে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছেন। এই মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে দুর্নীতি কমে এসেছে। সারা দেশে বেহাল সড়কের উন্নয়ন করেছেন।
চার লেন প্রকল্প: চার লেন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রায় এক হাজার ১৬৫ কোটি টাকায় ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রামের সিটি গেট পর্যন্ত ১৯২ কিলোমিটার পথ চার লেনে উন্নীত করা হবে। বর্তমানে এই পথটি দুই লেনের। ১০ ভাগে ভাগ করে এই কাজের সাতটি ভাগের কাজ পেয়েছে চীনা কোম্পানি সিনোহাইড্রো। বাংলাদেশের রেজা কনস্ট্রাকশন দুটি ও তাহের ব্রাদার্স একটি ভাগের কাজ পেয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এ পর্যন্ত মাত্র কাজ হয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। আগামী জুনের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ৬২ কিলোমিটার (একটানা নয়) সড়ক সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ প্রকল্পের কাজ শেষ হতে পারে।
মেট্রোরেল: বিশেষজ্ঞরা ঢাকার যানজট নিরসনে গণপরিবহনব্যবস্থা উন্নয়নের পরামর্শ দিয়েছেন। আর গণপরিবহনের মূল বাহন হচ্ছে মেট্রোরেল। কিন্তু সরকার চার বছরেও মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু করতে পারেনি। প্রকল্পের জন্য জাপানি ঋণের আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে গত ১২ ডিসেম্বর। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন হয় ১৮ ডিসেম্বর। তবে এখনো ঋণচুক্তি হয়নি।
ডিপিপি অনুমোদন ও অর্থের নিশ্চয়তা পেলেও ২০১৬ সালের আগে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে না। আগামী তিন বছর এই প্রকল্পের জন্য বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন, জমি অধিগ্রহণসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নির্মাণকাজ শুরুর তিন বছর পর ২০১৯ সালে রাজধানীর মানুষ বহুল আলোচিত মেট্রোরেলের পল্লবী থেকে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার অংশে চলাচল করতে পারবে। মেট্রোরেলের জন্য করা ডিপিপিতে এই সময়সীমার উল্লেখ আছে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পটির (এমআরটি-৬) অধীন ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার মেট্রোরেল হওয়ার কথা। এর জন্য করা ডিপিপিতে তিন পর্বে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। প্রথম পর্ব পল্লবী থেকে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে। সোনারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৪ দশমিক ৪০ কিলোমিটার দ্বিতীয় পর্ব এবং এটা শেষ করার কথা ২০২০ সালে। উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে পল্লবী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৭০ কিলোমিটার শেষ হওয়ার কথা ২০২২ সালে।
ডিপিপিতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। জাইকা ১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাকি পাঁচ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।
ঢাকা উড়ালসড়ক: ঢাকা উড়ালসড়ক প্রকল্পটি সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি) করার জন্য ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিকে নিয়োগ দেয় সরকার। ওই বছর এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের কাজের উদ্বোধনও করেন। কিন্তু এখনো সেই উদ্বোধন পর্যন্তই।
উড়ালসড়কটি বিমানবন্দরের কাছ থেকে শুরু হয়ে রেললাইন ধরে কমলাপুর গিয়ে শেষ হওয়ার কথা। কয়েক দফা এর পথ পরিবর্তন হয়। সর্বশেষ উড়ালসড়কটি যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান উড়ালসড়কের সঙ্গে সংযোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এখনো পথ চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।
No comments