সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ-আইনপ্রণেতারাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন
জাতীয় সংসদের সাবেক ভিআইপিদের অনেকেই ব্যবহারের জন্য সরকারি মালপত্র গ্রহণ করে বিদায়কালে সেগুলো ফেরত দিয়ে যাননি অনুরোধ ও আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়ার পরও।
দেশের আইনপ্রণেতাদের এই প্রবণতা সঙ্গতকারণেই তাঁদের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস হ্রাসের কারণ বলে আমরা মনে করি। সংসদ সচিবালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাবেক এই ভিআইপিদের কাছ থেকে সরকারি মালপত্র উদ্ধারের জন্য মামলা করার মতো চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা। দেশের সম্মানিত এই মানুষদের বিরুদ্ধে সরকারি মালপত্র আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে এটা হবে রীতিমতো লজ্জাজনক।
আইনানুগভাবে সরকারি সম্পদ ব্যবহারের অধিকার পেয়েছিলেন তাঁরা। আবার সেগুলো সরকারের হাতে ফেরত দেওয়াটাও তাঁদের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু যেভাবে তাঁরা এসব মালপত্র নিজেদের দখলে নিয়ে গেছেন, তাকে স্বাভাবিক বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। বর্তমান সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে নামমাত্র মূল্য নির্ধারণ করে সেই অর্থ দেওয়ার কথা বলা হয়। অকল্পনীয় হলেও সত্য, বর্তমান সংসদ আত্মসাৎকৃত ফ্রিজ ও খাটের মূল্য নির্ধারণ করেছে মাত্র ২১০০ টাকা।
সাবেক স্পিকার বলেছেন, ছোটখাটো কিছু জিনিস নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ফেরত দেওয়া হয়নি। অথচ সংসদ সচিবালয়ের হিসাব অনুযায়ী, তাঁর বাসা থেকে ফেরত আসেনি মোট পাঁচ টনের দুটি এসি, একাধিক সোফাসেট, ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার, খাট, টেবিল, চেয়ার, ক্রোকারিজসহ শতাধিক জিনিস। এসি, সোফাসেট, খাটও কি তাহলে ছোটখাটো জিনিস? তিনি বলেছেন, নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কিছু জিনিস তিনি ফেরত দেননি। প্রশ্ন হচ্ছে, শতাধিক জিনিসই কি তাহলে নষ্ট হয়ে গেছে? নষ্ট হয়ে যাওয়া জিনিস নিশ্চয়ই তিনি ব্যবহার করেননি। তাই নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর সেগুলো ওই সময়ই ফেরত দেওয়ার কথা। নষ্ট হয়ে যাওয়া জিনিসগুলো তিনি ফেরত দিয়ে দিলে হয়তো আজ এ প্রশ্ন দেখা দিত না। প্রাপ্ত জিনিস থেকে তিনি কিছু ফেরত দিয়েছেন। সেখানেও গৃহীত মাল এবং ফেরত দেওয়া মালপত্রের মধ্যে পার্থক্য পাওয়া গেছে, যেগুলোর কিছু সামগ্রী গৃহীত মালপত্রের চেয়ে কম দামি কিংবা নিম্নমানের।
যাঁরা সরকারি সম্পদ ফেরত দেননি তাঁদের প্রত্যেকেই সম্মানিত ব্যক্তি। প্রায় সবাই এখনো রাজনীতি করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে বহালও আছেন। রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যদি এভাবে প্রকাশ্যেই জাতীয় সম্পদ আত্মসাতের মতো কাজ করেন, তাহলে কি অন্যদেরও আইনের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল হতে উৎসাহী করবে না? আমরা আশা করব দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তাঁদের কর্মকাণ্ডেও গুরুত্বের স্বাক্ষর রাখবেন। জাতীয় সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন এমন অপবাদ থেকে নিজেদের মুক্ত করে সব মাল ফেরত দেবেন কিংবা সংসদ নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করবেন।
আইনানুগভাবে সরকারি সম্পদ ব্যবহারের অধিকার পেয়েছিলেন তাঁরা। আবার সেগুলো সরকারের হাতে ফেরত দেওয়াটাও তাঁদের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু যেভাবে তাঁরা এসব মালপত্র নিজেদের দখলে নিয়ে গেছেন, তাকে স্বাভাবিক বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। বর্তমান সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে নামমাত্র মূল্য নির্ধারণ করে সেই অর্থ দেওয়ার কথা বলা হয়। অকল্পনীয় হলেও সত্য, বর্তমান সংসদ আত্মসাৎকৃত ফ্রিজ ও খাটের মূল্য নির্ধারণ করেছে মাত্র ২১০০ টাকা।
সাবেক স্পিকার বলেছেন, ছোটখাটো কিছু জিনিস নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ফেরত দেওয়া হয়নি। অথচ সংসদ সচিবালয়ের হিসাব অনুযায়ী, তাঁর বাসা থেকে ফেরত আসেনি মোট পাঁচ টনের দুটি এসি, একাধিক সোফাসেট, ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার, খাট, টেবিল, চেয়ার, ক্রোকারিজসহ শতাধিক জিনিস। এসি, সোফাসেট, খাটও কি তাহলে ছোটখাটো জিনিস? তিনি বলেছেন, নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কিছু জিনিস তিনি ফেরত দেননি। প্রশ্ন হচ্ছে, শতাধিক জিনিসই কি তাহলে নষ্ট হয়ে গেছে? নষ্ট হয়ে যাওয়া জিনিস নিশ্চয়ই তিনি ব্যবহার করেননি। তাই নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর সেগুলো ওই সময়ই ফেরত দেওয়ার কথা। নষ্ট হয়ে যাওয়া জিনিসগুলো তিনি ফেরত দিয়ে দিলে হয়তো আজ এ প্রশ্ন দেখা দিত না। প্রাপ্ত জিনিস থেকে তিনি কিছু ফেরত দিয়েছেন। সেখানেও গৃহীত মাল এবং ফেরত দেওয়া মালপত্রের মধ্যে পার্থক্য পাওয়া গেছে, যেগুলোর কিছু সামগ্রী গৃহীত মালপত্রের চেয়ে কম দামি কিংবা নিম্নমানের।
যাঁরা সরকারি সম্পদ ফেরত দেননি তাঁদের প্রত্যেকেই সম্মানিত ব্যক্তি। প্রায় সবাই এখনো রাজনীতি করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে বহালও আছেন। রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যদি এভাবে প্রকাশ্যেই জাতীয় সম্পদ আত্মসাতের মতো কাজ করেন, তাহলে কি অন্যদেরও আইনের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল হতে উৎসাহী করবে না? আমরা আশা করব দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তাঁদের কর্মকাণ্ডেও গুরুত্বের স্বাক্ষর রাখবেন। জাতীয় সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন এমন অপবাদ থেকে নিজেদের মুক্ত করে সব মাল ফেরত দেবেন কিংবা সংসদ নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করবেন।
No comments