যাত্রীদের ব্যয় ও ভোগান্তি আরও বাড়বে-বাসভাড়া বৃদ্ধি
জ্বালানির দাম বাড়লে পরিবহন ভাড়া বাড়বে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু কত বাড়বে? দূরপাল্লার বাসভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ছিল এক টাকা ২০ পয়সা, এখন হবে এক টাকা ৩৫ পয়সা। শনিবার পরিবহন ভাড়া নির্ধারণের জন্য গঠিত কস্টিং কমিটির (ভাড়া নির্ধারণ কমিটি) বৈঠকে দূরপাল্লার বাসে প্রতি কিলোমিটারে ২৩ পয়সা ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। পরে যোগাযোগমন্ত্রী ১৫ পয়সা বৃদ্ধি নির্ধারণ করেন। কমিয়েছেন ভালো। কিন্তু তিন মাস আগে যদি পাঁচ পয়সা ভাড়া
বৃদ্ধি যথেষ্ট হয়ে থাকে, এখন কেন ১৫ পয়সা? এক লাফে এত ভাড়া বৃদ্ধি গ্রহণযোগ্য নয়। জ্বালানি ব্যয় হলো পরিবহন ব্যয়ের একটি অংশ। মোট পরিবহন ব্যয়ের কত অংশ জ্বালানি ব্যয় (ফুয়েল কো-এফিশিয়েন্ট), তা নিরূপণ করা সরকারের প্রথম দায়িত্ব। কাজটা জটিল ও কঠিন, কিন্তু দুঃসাধ্য নয়। ভাড়া বৃদ্ধির বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি থাকা উচিত। প্রতি লিটারে তেলের দাম পাঁচ টাকা বাড়লে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া কত বাড়া উচিত, সেই হিসাবটা জনসাধারণকে জানানো সরকারের কর্তব্য। এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব পরিবহন-মালিকদের কারসাজির সুযোগ সৃষ্টি করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জ্বালানি ব্যয় হলো পরিবহন ব্যয়ের অতি সামান্য অংশ। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে জ্বালানি ব্যয়ের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটলে বাসভাড়া সাধারণত বাড়ানো বা কমানো হয় না। কিন্তু আমাদের মতো দু-একটি দেশে জ্বালানির দাম বাড়লেই বাসভাড়া বৃদ্ধির হুজুগ তোলা হয়। চাঁদাবাজি, বিশৃঙ্খলা, সড়কের দুরবস্থা, ঘন ঘন দুর্ঘটনা প্রভৃতি কারণে পরিবহন খাতে ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে চালানো যায় না বলেই মালিকেরা তাঁদের মুনাফার হার ঠিক রাখতে, ক্ষেত্রবিশেষে অতি মুনাফার লোভে সুযোগ পেলেই ভাড়া বাড়ানোর চেষ্টা করেন। সরকারকে এ ব্যাপারে দায়িত্ব নিয়ে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী হতে হবে।
শুধু চাঁদাবাজি বন্ধ করলেই আর ভাড়া বাড়ানোর দরকার পড়ে না। এ ব্যাপারে সরকার রহস্যজনকভাবে নীরব। চাঁদাবাজির বোঝা যাত্রীদের ওপর চাপানো হয়। এই অন্যায় আর কত দিন চলবে?
বিগত বছরটা জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতেই কাটল। সরকার ২০১১ সালে সব ধরনের জ্বালানির দাম চার দফায় বাড়িয়েছে মোট ১৭ টাকা। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাসভাড়াও বাড়ছে। পরিবহন খাতে একধরনের স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। সরকার ভাড়া নির্ধারণ করলেও অনেকে তা মানে না। ‘সিটিং সার্ভিস’, ‘শীতাতপনিয়ন্ত্রিত’, ‘লাক্সারি কোচ’ প্রভৃতি নাম দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়। পরিবহন ব্যবসায় একটি চক্র গড়ে উঠেছে, যারা অনিয়ম ও জবরদস্তি করে অসহায় যাত্রীদের বেশি ভাড়ায় যাতায়াত করতে বাধ্য করে। এদের নিয়ম ও শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জ্বালানি ব্যয় হলো পরিবহন ব্যয়ের অতি সামান্য অংশ। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে জ্বালানি ব্যয়ের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটলে বাসভাড়া সাধারণত বাড়ানো বা কমানো হয় না। কিন্তু আমাদের মতো দু-একটি দেশে জ্বালানির দাম বাড়লেই বাসভাড়া বৃদ্ধির হুজুগ তোলা হয়। চাঁদাবাজি, বিশৃঙ্খলা, সড়কের দুরবস্থা, ঘন ঘন দুর্ঘটনা প্রভৃতি কারণে পরিবহন খাতে ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে চালানো যায় না বলেই মালিকেরা তাঁদের মুনাফার হার ঠিক রাখতে, ক্ষেত্রবিশেষে অতি মুনাফার লোভে সুযোগ পেলেই ভাড়া বাড়ানোর চেষ্টা করেন। সরকারকে এ ব্যাপারে দায়িত্ব নিয়ে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী হতে হবে।
শুধু চাঁদাবাজি বন্ধ করলেই আর ভাড়া বাড়ানোর দরকার পড়ে না। এ ব্যাপারে সরকার রহস্যজনকভাবে নীরব। চাঁদাবাজির বোঝা যাত্রীদের ওপর চাপানো হয়। এই অন্যায় আর কত দিন চলবে?
বিগত বছরটা জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতেই কাটল। সরকার ২০১১ সালে সব ধরনের জ্বালানির দাম চার দফায় বাড়িয়েছে মোট ১৭ টাকা। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাসভাড়াও বাড়ছে। পরিবহন খাতে একধরনের স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। সরকার ভাড়া নির্ধারণ করলেও অনেকে তা মানে না। ‘সিটিং সার্ভিস’, ‘শীতাতপনিয়ন্ত্রিত’, ‘লাক্সারি কোচ’ প্রভৃতি নাম দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়। পরিবহন ব্যবসায় একটি চক্র গড়ে উঠেছে, যারা অনিয়ম ও জবরদস্তি করে অসহায় যাত্রীদের বেশি ভাড়ায় যাতায়াত করতে বাধ্য করে। এদের নিয়ম ও শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে।
No comments