এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন-সংস্কৃতিবিমুখ অধ্যক্ষ
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বি এম আলী ইউসুফের অপসারণের দাবিতে যে আন্দোলন দানা বেঁধেছে, কোনো অপ্রীতিকর পরিণতিতে পৌঁছানোর আগেই তার একটা যুক্তিসংগত সমাধান প্রয়োজন। শনিবার এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে তাঁর অপসারণের জন্য সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে তাঁকে কলেজ থেকে সরিয়ে নেওয়া না হলে প্রতিবাদকারীরা তাঁকে কক্সবাজার ত্যাগে বাধ্য করবেন।
এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তিনি কলেজটিতে কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমতি দেন না, শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে বাধা দিয়ে থাকেন। সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হিসেবে স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক সংগঠন ধ্রুবকের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁর বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাধা উপেক্ষা করে সংগঠনটি অনুষ্ঠান করলে তিনি শিক্ষার্থীদের ডেকে গালমন্দ করেছেন এবং কারণ দর্শাও নোটিশ জারি করেছেন। অধ্যক্ষ বি এম আলী ইউসুফের বক্তব্য এ রকম: শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া বাদ দিয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, তাই তিনি তাঁদের বাধা দেন।
বলা বাহুল্য, অধ্যক্ষের এই মনোভাব সংগত নয়: মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট পরিপক্ব। দেশের সেরা শিক্ষার্থীরাই কঠোর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। তাঁরা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন ‘লেখাপড়া বাদ দিয়ে’, এটা সম্ভবত অধ্যক্ষের সঠিক ধারণা নয়। তা ছাড়া অধ্যক্ষের এ বিবেচনাও থাকা উচিত, তাঁর যে নিষেধাজ্ঞা শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করবেন না, বরং প্রতিবাদ করবেন, সে ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা আদৌ সমীচীন কি না। এখন তাঁর শিক্ষার্থীরা তাঁকে অপসারণের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে কক্সবাজারের সাংস্কৃতিক, বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজের প্রায় পুরোটাই।
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে বি এম আলী ইউসুফের দায়িত্ব শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়াশোনা করছেন কি না তা তদারক করা, তাঁদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া নয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বা স্বেচ্ছায় তিনি অন্যত্র বদলি হলেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। সমাধান হবে তখনই, যখন তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটবে।
বলা বাহুল্য, অধ্যক্ষের এই মনোভাব সংগত নয়: মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট পরিপক্ব। দেশের সেরা শিক্ষার্থীরাই কঠোর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। তাঁরা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন ‘লেখাপড়া বাদ দিয়ে’, এটা সম্ভবত অধ্যক্ষের সঠিক ধারণা নয়। তা ছাড়া অধ্যক্ষের এ বিবেচনাও থাকা উচিত, তাঁর যে নিষেধাজ্ঞা শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করবেন না, বরং প্রতিবাদ করবেন, সে ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা আদৌ সমীচীন কি না। এখন তাঁর শিক্ষার্থীরা তাঁকে অপসারণের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে কক্সবাজারের সাংস্কৃতিক, বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজের প্রায় পুরোটাই।
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে বি এম আলী ইউসুফের দায়িত্ব শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়াশোনা করছেন কি না তা তদারক করা, তাঁদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া নয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বা স্বেচ্ছায় তিনি অন্যত্র বদলি হলেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। সমাধান হবে তখনই, যখন তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটবে।
No comments