কুয়েট বন্ধ ঘোষণা-ছাত্রলীগের হামলা আহত ২৫
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) গতকাল সোমবার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বেধড়ক মারধর ও ধারালো অস্ত্রাঘাতে ২০ জন সাধারণ ছাত্র আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সাধারণ ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে উপাচার্যের বাসভবন, প্রশাসনিক ভবন, যন্ত্রকৌশল ভবনসহ দুটি গাড়ি ভাংচুর করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। তাদের নিক্ষিপ্ত ইটপাটকেলে এক পুলিশ কর্মকর্তা ও ৪ জন শিক্ষক আহত হন। এ অবস্থায় কুয়েট কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা এবং সন্ধ্যা
৬টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করেন। কুয়েটের ছাত্ররা জানান, রোববার রাতে কুয়েটের অমর একুশে হলের বার্ষিক ভোজন ছিল। ওই হলে বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রের সংখ্যা প্রায় ৬০০ জন। ছাত্রলীগ কুয়েট শাখার নেতাকর্মীরা বার্ষিক ভোজ আয়োজনের দায়িত্ব পান। প্রত্যেক ছাত্রের কাছ থেকে বার্ষিক ভোজের
জন্য চাঁদা নেওয়া হলেও খাবার
ছিল নিম্নমানের। এ নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রাতে তারা রান্না করা খাবার ফেলে দেন এবং থালাবাটি ভাংচুর ও কয়েকজন শিক্ষককে রাত ২টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বাকবিতণ্ডা হয়। সাধারণ ছাত্ররা জানান, এর জের ধরে গতকাল দুপুর দেড়টায় কুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বহিরাগত শতাধিক লোক নিয়ে একুশে হলে হামলা চালান। তারা হলের কলাপসিবল গেট বন্ধ করে রামদা, চাপাতি, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে হলে অবস্থানরত ছাত্রদের মারতে থাকেন।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও বহিরাগতদের হামলায় ২০ জন ছাত্র আহত হন। আহতদের মধ্যে রাসেল, সঞ্জু সাহা, লেলিন, রাসেল-২, শুভ, সুজাত, মঞ্জু, আলাউদ্দিন, কমল, সেতু ও আজাদকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অপর ৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কুয়েট প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও বহিরাগতরা হামলা চালিয়ে দ্রুত ক্যাম্পাস ত্যাগ করলে ক্যাম্পাসে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। তখন অন্যান্য হলে অবস্থানরত ছাত্ররা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুর আড়াইটায় কেএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে ছাত্ররা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। তাদের নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের মাথা ফেটে যায়। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা পরে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীরের বাসভবন ঘিরে রেখে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা উপাচার্যের বাসভবন, প্রশাসনিক ভবন, যন্ত্রকৌশল ভবন এবং উপাচার্যের বাসভবনে থাকা দুটি গাড়ি ভাংচুর করেন। পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছাত্ররা আবারও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। ছাত্রদের নিক্ষিপ্ত ইটপাটকেলে ৪ জন শিক্ষক আহত হন।
সন্ধ্যায় কুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কুয়েট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যা ৬টায় হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার পর তারা হল ছাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জন্য চাঁদা নেওয়া হলেও খাবার
ছিল নিম্নমানের। এ নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রাতে তারা রান্না করা খাবার ফেলে দেন এবং থালাবাটি ভাংচুর ও কয়েকজন শিক্ষককে রাত ২টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বাকবিতণ্ডা হয়। সাধারণ ছাত্ররা জানান, এর জের ধরে গতকাল দুপুর দেড়টায় কুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বহিরাগত শতাধিক লোক নিয়ে একুশে হলে হামলা চালান। তারা হলের কলাপসিবল গেট বন্ধ করে রামদা, চাপাতি, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে হলে অবস্থানরত ছাত্রদের মারতে থাকেন।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও বহিরাগতদের হামলায় ২০ জন ছাত্র আহত হন। আহতদের মধ্যে রাসেল, সঞ্জু সাহা, লেলিন, রাসেল-২, শুভ, সুজাত, মঞ্জু, আলাউদ্দিন, কমল, সেতু ও আজাদকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অপর ৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কুয়েট প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও বহিরাগতরা হামলা চালিয়ে দ্রুত ক্যাম্পাস ত্যাগ করলে ক্যাম্পাসে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। তখন অন্যান্য হলে অবস্থানরত ছাত্ররা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুর আড়াইটায় কেএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে ছাত্ররা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। তাদের নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের মাথা ফেটে যায়। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা পরে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীরের বাসভবন ঘিরে রেখে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা উপাচার্যের বাসভবন, প্রশাসনিক ভবন, যন্ত্রকৌশল ভবন এবং উপাচার্যের বাসভবনে থাকা দুটি গাড়ি ভাংচুর করেন। পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছাত্ররা আবারও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। ছাত্রদের নিক্ষিপ্ত ইটপাটকেলে ৪ জন শিক্ষক আহত হন।
সন্ধ্যায় কুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কুয়েট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যা ৬টায় হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার পর তারা হল ছাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
No comments