ভুটানকে ১৮ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হবে by মিজান চৌধুরী
ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রম্নতি বাসত্মবায়ন প্রক্রিয়া শুরম্ন হচ্ছে। অভ্যনত্মরীণ বাজারে ভুটানকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে আগামী রবিবার সচিব পর্যায়ে বৈঠক বসছে।
বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে সংশিস্নষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওই বৈঠকে ১৮টি পণ্যের তালিকা চূড়ানত্ম করবেন। ভুটান ওই পণ্যগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় এ দেশে রফতানি করতে পারবে। সংশিস্নষ্ট সূত্র মতে, পণ্যের চূড়ানত্ম তালিকা আগামী সপ্তাহের মধ্যে ভুটানের হাতে তুলে দেয়া হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী ফারম্নক খান বলেছেন, আগামী এক মাসের মধ্যে এ সুবিধা কার্যকর হবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময় বাংলাদেশে পণ্য রফতানির করতে ভুটানকে ভারতের ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার প্রসত্মাবে দিলস্নী একমত হয়। ওই কার্যক্রম বাসত্মবায়ন হিসাবে ভারত হয়ে নতুন রম্নটে ভুটান পণ্য রফতানি শুরম্ন করেছে। আট হাজার তিন শ' কিলোগ্রাম ওজনের কমলা নিয়ে বুধবার তিনটি ট্রাক ভুটান থেকে ভারত হয়ে সিলেটে পেঁৗছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৮ নবেম্বর ভুটান সফরের সময় ১৮টি পণ্য দেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন। গত পহেলা জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হওয়ার কথা। শুল্ক সুবিধা পেতে ভুটান থেকে ১৮টি পণ্যের তালিকা পাঠানো হয়। তালিকা থেকে বাংলাদেশ নতুন করে সংযোজনের জন্য আটটি পণ্য প্রত্যাহার করে। একাণেই কিছুটা সময় পিছিয়ে যায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই বিষয়টি চূড়ানত্ম করতে বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে কৃষি সচিব, বাণিজ্য সচিব, খাদ্য সচিব, অর্থ সচিবসহ সংশিস্নষ্ট সচিবদের নিয়ে একটি আনত্মঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগামী রবিবার। ওই বৈঠকে ভুটানকে দেয়া ১৮টি পণ্যের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে আলোচনা হবে। এরপর চূড়ানত্ম অনুমোদন দেয়া হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী ফারম্নক খান জানান, ভুটানকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলে উভয় দেশ লাভবান হবে। কারণ আবহাওয়ার দিক থেকে তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য রয়েছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই সময় ভুটানে প্রচুর টমেটো, ফুলকপি, বাধা কপিসহ বিভিন্ন সবজি উৎপাদন হয়। কিনত্মু আমাদের ওই সময় খড়া থাকে। এসময় তাদের উদ্বৃত্ত সবজি এ দেশে আসলে আমাদের ওই সময়ে সবজির ঘাটতি পূরণ হবে। পাশাপাশি আমাদের যখন এসব সবজি উৎপাদন হয় ওই সময় ভুটানে বরফ পড়ে। তাদের কোন সবজি উৎপাদন হয় না। ওই সময় আমাদের উদ্বৃত্ত সবজি সেখানে রফতানি করা যাবে। তিনি আরও বলেন, ভারত সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটানকে ভারতের ওপর দিয়ে ট্রানজিট দিতে প্রসত্মাব দেয়। ওই প্রসত্মাবে দিলস্নী একমত পোষণ করে। এ জন্য আমরা মঙ্গলা ও চট্টগ্রাম বন্দরের রাসত্মা ও রেলওয়ে উন্নয়ন করছি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের পর বুধবার প্রথম পণ্য ভুটান ভারতের নতুন রাসত্মা দিয়ে বাংলাদেশে রফতানি করেছে। ভারতের পশ্চিববঙ্গের শিলিগুড়ি সীমানত্ম ব্যবহার করে ভুটানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ এতদিন পণ্য রফতানি করেছে। ভারতের ডাউকি তামাবিল স্থলবন্দর ট্রানজিট দিতে সম্মতি দেয়ায় এখন থেকে তা ব্যবহার করে ভুটানের পণ্য দেশে আসবে। ব্যবসায়ীদের মতে, ভুটানের পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে প্রায় ৪৩০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে হতো। নতুন রম্নটে এ পথ ২৮০ কিলোমিটারে নেমে এসেছে।
জানাগেছে, ভুটানে প্রতিবছর এক লাখ মেট্রিক টন কমলা লেবু উৎপন্ন হয়, যার বড় ক্রেতা হচ্ছে বাংলাদেশ। নতুন রম্নট চালুর পর কম খরচে কমলালেবু বাংলাদেশে আসবে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
রফতানি উন্নয়ন বু্যরো সূত্রে জানা গেছে, ভুটান থেকে সাধারণত ফলমূল, সবজি, কাঠ ও কাঠের সামগ্রী, খনিজ পদার্থ ও পস্নাস্টিকের সামগ্রী আমদানি করা হয়। পাশাপাশি ভুটানে তৈরি পোশাক, রাসায়নিক সামগ্রী, শুকনা খাবার, প্রসাধনী পণ্য, ওষুধ ও হিমায়িত খাদ্য ইত্যাদি রফতানি করা হয়। শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হলে সবজি, চুনাপাথর, চুন তৈরির কাঁচামাল, রাসায়নিক সামগ্রী নতুনভাবে আসবে।
২০০৮-০৯ অর্থবছরে ভুটান থেকে এক কোটি ২১ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে রফতানি করা হয়েছে মাত্র ছয় লাখ ডলারের পণ্য। দ্বিপাকি বাণিজ্যে বাংলাদেশের ঘাটতি হচ্ছে এক কোটি ১৫ লাখ ডলার। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভুটান থেকে এক কোটি ৩৭ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করে। বিপরীতে রফতানি করা হয় ১৩ লাখ ৫০ হাজার ডলারের পণ্য। ২০০৬-০৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৪ লাখ ডলার পণ্য রফতানির বিপরীতে ভুটান থেকে আমদানি করে এক কোটি ডলারের পণ্য।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময় বাংলাদেশে পণ্য রফতানির করতে ভুটানকে ভারতের ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার প্রসত্মাবে দিলস্নী একমত হয়। ওই কার্যক্রম বাসত্মবায়ন হিসাবে ভারত হয়ে নতুন রম্নটে ভুটান পণ্য রফতানি শুরম্ন করেছে। আট হাজার তিন শ' কিলোগ্রাম ওজনের কমলা নিয়ে বুধবার তিনটি ট্রাক ভুটান থেকে ভারত হয়ে সিলেটে পেঁৗছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৮ নবেম্বর ভুটান সফরের সময় ১৮টি পণ্য দেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন। গত পহেলা জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হওয়ার কথা। শুল্ক সুবিধা পেতে ভুটান থেকে ১৮টি পণ্যের তালিকা পাঠানো হয়। তালিকা থেকে বাংলাদেশ নতুন করে সংযোজনের জন্য আটটি পণ্য প্রত্যাহার করে। একাণেই কিছুটা সময় পিছিয়ে যায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই বিষয়টি চূড়ানত্ম করতে বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে কৃষি সচিব, বাণিজ্য সচিব, খাদ্য সচিব, অর্থ সচিবসহ সংশিস্নষ্ট সচিবদের নিয়ে একটি আনত্মঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগামী রবিবার। ওই বৈঠকে ভুটানকে দেয়া ১৮টি পণ্যের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে আলোচনা হবে। এরপর চূড়ানত্ম অনুমোদন দেয়া হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী ফারম্নক খান জানান, ভুটানকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলে উভয় দেশ লাভবান হবে। কারণ আবহাওয়ার দিক থেকে তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য রয়েছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই সময় ভুটানে প্রচুর টমেটো, ফুলকপি, বাধা কপিসহ বিভিন্ন সবজি উৎপাদন হয়। কিনত্মু আমাদের ওই সময় খড়া থাকে। এসময় তাদের উদ্বৃত্ত সবজি এ দেশে আসলে আমাদের ওই সময়ে সবজির ঘাটতি পূরণ হবে। পাশাপাশি আমাদের যখন এসব সবজি উৎপাদন হয় ওই সময় ভুটানে বরফ পড়ে। তাদের কোন সবজি উৎপাদন হয় না। ওই সময় আমাদের উদ্বৃত্ত সবজি সেখানে রফতানি করা যাবে। তিনি আরও বলেন, ভারত সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটানকে ভারতের ওপর দিয়ে ট্রানজিট দিতে প্রসত্মাব দেয়। ওই প্রসত্মাবে দিলস্নী একমত পোষণ করে। এ জন্য আমরা মঙ্গলা ও চট্টগ্রাম বন্দরের রাসত্মা ও রেলওয়ে উন্নয়ন করছি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের পর বুধবার প্রথম পণ্য ভুটান ভারতের নতুন রাসত্মা দিয়ে বাংলাদেশে রফতানি করেছে। ভারতের পশ্চিববঙ্গের শিলিগুড়ি সীমানত্ম ব্যবহার করে ভুটানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ এতদিন পণ্য রফতানি করেছে। ভারতের ডাউকি তামাবিল স্থলবন্দর ট্রানজিট দিতে সম্মতি দেয়ায় এখন থেকে তা ব্যবহার করে ভুটানের পণ্য দেশে আসবে। ব্যবসায়ীদের মতে, ভুটানের পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে প্রায় ৪৩০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে হতো। নতুন রম্নটে এ পথ ২৮০ কিলোমিটারে নেমে এসেছে।
জানাগেছে, ভুটানে প্রতিবছর এক লাখ মেট্রিক টন কমলা লেবু উৎপন্ন হয়, যার বড় ক্রেতা হচ্ছে বাংলাদেশ। নতুন রম্নট চালুর পর কম খরচে কমলালেবু বাংলাদেশে আসবে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
রফতানি উন্নয়ন বু্যরো সূত্রে জানা গেছে, ভুটান থেকে সাধারণত ফলমূল, সবজি, কাঠ ও কাঠের সামগ্রী, খনিজ পদার্থ ও পস্নাস্টিকের সামগ্রী আমদানি করা হয়। পাশাপাশি ভুটানে তৈরি পোশাক, রাসায়নিক সামগ্রী, শুকনা খাবার, প্রসাধনী পণ্য, ওষুধ ও হিমায়িত খাদ্য ইত্যাদি রফতানি করা হয়। শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হলে সবজি, চুনাপাথর, চুন তৈরির কাঁচামাল, রাসায়নিক সামগ্রী নতুনভাবে আসবে।
২০০৮-০৯ অর্থবছরে ভুটান থেকে এক কোটি ২১ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে রফতানি করা হয়েছে মাত্র ছয় লাখ ডলারের পণ্য। দ্বিপাকি বাণিজ্যে বাংলাদেশের ঘাটতি হচ্ছে এক কোটি ১৫ লাখ ডলার। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভুটান থেকে এক কোটি ৩৭ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করে। বিপরীতে রফতানি করা হয় ১৩ লাখ ৫০ হাজার ডলারের পণ্য। ২০০৬-০৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৪ লাখ ডলার পণ্য রফতানির বিপরীতে ভুটান থেকে আমদানি করে এক কোটি ডলারের পণ্য।
No comments