মন্ত্রীর উদ্যোগে আশ্বস্ত ঘোষণার পরেও বুয়েটে অচলাবস্থা by বিভাষ বাড়ৈ
‘শিক্ষামন্ত্রীর উদ্যোগে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি। আমরা কর্মসূচী স্থগিত করছি’ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষার্থীদের এমন স্পষ্ট ঘোষণার পরেও অচলাবস্থা কাটছে না বুয়েটের। উপ-উপাচার্যের অব্যাহতি ও মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাসের পর শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী দুই পক্ষই ঘোষণা দিয়েছিল ‘আমরা আশ্বস্ত হয়েছি, আমরা সন্তুষ্ট।’
শিক্ষক সমিতি আন্দোলন বন্ধ করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুরও ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু এখন নতুন করে অচলাবস্থা জিইয়ে রাখার কৌশল নিয়েছেন বিতর্কিত কিছু নেতা। অভিযোগ উঠেছে, এর অংশ হিসাবেই ঘোষণা অনুসারে কাজে যোগদান না করে উল্টো কৌশলে সরকারকে দাবির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের শর্ত দেয়া হয়েছে। অচলাবস্থা জিইয়ে রাখতেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পর্কহীন এমনকি যে দাবি কখনই আসেনি সেই হলসহ প্রশাসনিক পদে রদবদলের আবদার তোলা হয়েছে। সরকারবিরোধী সেই বিতর্কিত শিক্ষক নেতারা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে হলসহ প্রশাসনিক পদে বিগত বিএনপি-জামায়াত আমলের সেই ব্যক্তিদের নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। প্রশ্ন উঠেছে এই আন্দোলন কতটুকু শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ?
এদিকে হঠাৎ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রশাসনিক রদবদলের নতুন দাবি তোলার ঘটনায় সঙ্কট বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে সাক্ষাত করে শনিবার আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কোন অনৈতিক দাবির কাছে মাথা নত না করার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সকালে মিন্টো রোডে শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ। তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫ মাস ধরে বুয়েটে অস্থিরতা চলছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা সকলেই ক্লাসে ফিরে যেতে উন্মুখ। কিন্তু কোন অবৈধ শক্তি যেন শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরা অনিশ্চিত করতে না পারে সেজন্যই মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছে ছাত্রলীগ। কোন অনৈতিক দাবি মানতে গিয়ে দেশের এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির যেন পরিবেশ নষ্ট না হয় সেজন্য মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সকল ধরনের সহযোগিতা করবে। এ সময় বুয়েট ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন তন্ময় আহমেদ, আমিনুল হক পলাশ, ফাইরুজ চৌধুরী, নিয়াজ রাসেল বাপ্পী, আরাফাত হাসান, মশিউর রহমান সাব্বির, তানভীর রহমান বন্ধন, মামুনুর রশীদ ও দেবজীৎ সরকার। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, দ্রুতই বুয়েটে ক্লাস শুরু হবে এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম, নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মামলা প্রত্যাহারের কাজ চলছে। থানায় কথা হয়েছে। আগামীকাল (আজ রবিবার) থানা মামলার ফাইনাল রিপোর্ট কোর্টে পাঠিয়ে দেবে বলে আশা করি। অন্যদিকে শিক্ষক সমিতির গত কয়েক দিনের কর্মকা-ে প্রশ্ন উঠেছে এ আন্দোলন শিক্ষার্থীদের নাকি শিক্ষক সমিতির আধিপত্য বিস্তারের আন্দোলন? এর কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, ঈদের পর থেকে আন্দোলনের মাত্রা যখন বাড়ল আন্দোলনরত শিক্ষকরা তখন ঘোষণা দেন, এটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ব্যক্তিগত পর্যায়ের আন্দোলন। এর সঙ্গে সমিতির কোন যোগাযোগ নেই। মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিস্তারিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ করে সমিতি। সমিতি ঘোষণা দেয়, শিক্ষকরা সরকারের প্রস্তাবনায় আশ্বস্ত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। অথচ গত মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলনে বেশিরভাগ প্রশ্নের জবাব দেন সমিতির নেতা কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক ড. হুমায়ুন কবির। এপ্রিল মাস থেকে শিক্ষকদের কর্মবিরতি চললেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দেন জুলাই মাসের ১২ তারিখে শিক্ষকরা গণপদত্যাগের আল্টিমেটাম ঘোষণা দিলে।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখানেও শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করেছেন শিক্ষকরা। সেদিন ৭ ব্যাচের সুদীপ্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষে শপথ করেছিলেন, ‘শিক্ষকরা গণপদত্যাগ করলে উপাচার্য ও উপউপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলবে। শিক্ষকদের আবার স্বকর্মস্থলে যোগদান না করানো পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।’ এ থেকে বোঝা যায় শিক্ষকরা পদত্যাগ করে ফিরে আসতে ঢাল হিসেবেই ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এটি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়াতে সকল শিক্ষার্থীই স্ব স্ব বিভাগের শিক্ষকের কাছে ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর দেয়ার ক্ষমতা থাকে। আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের অন্যতম কারণ এই নম্বর। এদিকে গতকাল বুধবার মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে আশ্বস্ত হয়েছেন বলে মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছিলেন শিক্ষার্থীদের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখানেও ছিল দুজন শিক্ষকের উপস্থিতি। প্রতিনিধিরা সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে জানিয়েছিল, ক্যাম্পাসে ফিরে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তবে তারা ক্যাম্পাসে শিক্ষক অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, অধ্যাপক এ টি এম মাসুদসহ আরও কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে সভা করেন। সভা শেষে কোন সিদ্ধান্ত জানাতে পারেননি। হুমায়ুন কবিরের কাছে সভার সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে তারাই বলবে। তাহলে আপনি শিক্ষার্থীদের মিটিংয়ে ছিলেন কেন জানতে চাইলে জবাব না দিয়ে তিনি চলে যান।
এর আগে জুলাই মাস জুড়ে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে যে অবস্থান ধর্মঘট চলছিল, সেখানেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্দোলনে উদ্দীপ্ত হওয়ার চাইতেও বেশি মশগুল দেখা গিয়েছিল টিভি দেখা, কার্ড খেলা আর আড্ডায়। শনিবার বুয়েটের বেশ কয়েক শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চাইলে অনেকেই সঠিকভাবে বলতে পারেননি বর্তমান উপাচার্যের অনিয়মগুলো এবং কোন প্রেক্ষিতে আন্দোলন হচ্ছে? তবে উপাচার্যের অপসারণ যে আন্দোলনের মূলে সেটি সকলেই জানেন। নতুন করে শর্ত জুড়ে দেয়া এবং নতুন নতুন দাবি তোলা প্রসঙ্গে শনিবার অনেক শিক্ষার্থীরই অভিযোগ ছিল কয়েক শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে। সাংবাদিকদের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, গত মঙ্গলবার শিক্ষক সমিতির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠকের পূর্বেই শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘আমরা মন্ত্রীর চাপে পড়ে শুধু উপ-উপাচার্য পদত্যাগের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি, তবে তোমরা মানবে না। তাহলে আমরা মন্ত্রীকে বলব, ‘শিক্ষার্থীরা মানতে চাইছে না। আমাদের কী করার আছে’।
এদিকে হঠাৎ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রশাসনিক রদবদলের নতুন দাবি তোলার ঘটনায় সঙ্কট বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে সাক্ষাত করে শনিবার আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কোন অনৈতিক দাবির কাছে মাথা নত না করার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সকালে মিন্টো রোডে শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ। তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫ মাস ধরে বুয়েটে অস্থিরতা চলছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা সকলেই ক্লাসে ফিরে যেতে উন্মুখ। কিন্তু কোন অবৈধ শক্তি যেন শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরা অনিশ্চিত করতে না পারে সেজন্যই মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছে ছাত্রলীগ। কোন অনৈতিক দাবি মানতে গিয়ে দেশের এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির যেন পরিবেশ নষ্ট না হয় সেজন্য মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সকল ধরনের সহযোগিতা করবে। এ সময় বুয়েট ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন তন্ময় আহমেদ, আমিনুল হক পলাশ, ফাইরুজ চৌধুরী, নিয়াজ রাসেল বাপ্পী, আরাফাত হাসান, মশিউর রহমান সাব্বির, তানভীর রহমান বন্ধন, মামুনুর রশীদ ও দেবজীৎ সরকার। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, দ্রুতই বুয়েটে ক্লাস শুরু হবে এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম, নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মামলা প্রত্যাহারের কাজ চলছে। থানায় কথা হয়েছে। আগামীকাল (আজ রবিবার) থানা মামলার ফাইনাল রিপোর্ট কোর্টে পাঠিয়ে দেবে বলে আশা করি। অন্যদিকে শিক্ষক সমিতির গত কয়েক দিনের কর্মকা-ে প্রশ্ন উঠেছে এ আন্দোলন শিক্ষার্থীদের নাকি শিক্ষক সমিতির আধিপত্য বিস্তারের আন্দোলন? এর কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, ঈদের পর থেকে আন্দোলনের মাত্রা যখন বাড়ল আন্দোলনরত শিক্ষকরা তখন ঘোষণা দেন, এটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ব্যক্তিগত পর্যায়ের আন্দোলন। এর সঙ্গে সমিতির কোন যোগাযোগ নেই। মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিস্তারিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ করে সমিতি। সমিতি ঘোষণা দেয়, শিক্ষকরা সরকারের প্রস্তাবনায় আশ্বস্ত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। অথচ গত মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলনে বেশিরভাগ প্রশ্নের জবাব দেন সমিতির নেতা কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক ড. হুমায়ুন কবির। এপ্রিল মাস থেকে শিক্ষকদের কর্মবিরতি চললেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দেন জুলাই মাসের ১২ তারিখে শিক্ষকরা গণপদত্যাগের আল্টিমেটাম ঘোষণা দিলে।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখানেও শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করেছেন শিক্ষকরা। সেদিন ৭ ব্যাচের সুদীপ্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষে শপথ করেছিলেন, ‘শিক্ষকরা গণপদত্যাগ করলে উপাচার্য ও উপউপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলবে। শিক্ষকদের আবার স্বকর্মস্থলে যোগদান না করানো পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।’ এ থেকে বোঝা যায় শিক্ষকরা পদত্যাগ করে ফিরে আসতে ঢাল হিসেবেই ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এটি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়াতে সকল শিক্ষার্থীই স্ব স্ব বিভাগের শিক্ষকের কাছে ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর দেয়ার ক্ষমতা থাকে। আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের অন্যতম কারণ এই নম্বর। এদিকে গতকাল বুধবার মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে আশ্বস্ত হয়েছেন বলে মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছিলেন শিক্ষার্থীদের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখানেও ছিল দুজন শিক্ষকের উপস্থিতি। প্রতিনিধিরা সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে জানিয়েছিল, ক্যাম্পাসে ফিরে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তবে তারা ক্যাম্পাসে শিক্ষক অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, অধ্যাপক এ টি এম মাসুদসহ আরও কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে সভা করেন। সভা শেষে কোন সিদ্ধান্ত জানাতে পারেননি। হুমায়ুন কবিরের কাছে সভার সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে তারাই বলবে। তাহলে আপনি শিক্ষার্থীদের মিটিংয়ে ছিলেন কেন জানতে চাইলে জবাব না দিয়ে তিনি চলে যান।
এর আগে জুলাই মাস জুড়ে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে যে অবস্থান ধর্মঘট চলছিল, সেখানেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্দোলনে উদ্দীপ্ত হওয়ার চাইতেও বেশি মশগুল দেখা গিয়েছিল টিভি দেখা, কার্ড খেলা আর আড্ডায়। শনিবার বুয়েটের বেশ কয়েক শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চাইলে অনেকেই সঠিকভাবে বলতে পারেননি বর্তমান উপাচার্যের অনিয়মগুলো এবং কোন প্রেক্ষিতে আন্দোলন হচ্ছে? তবে উপাচার্যের অপসারণ যে আন্দোলনের মূলে সেটি সকলেই জানেন। নতুন করে শর্ত জুড়ে দেয়া এবং নতুন নতুন দাবি তোলা প্রসঙ্গে শনিবার অনেক শিক্ষার্থীরই অভিযোগ ছিল কয়েক শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে। সাংবাদিকদের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, গত মঙ্গলবার শিক্ষক সমিতির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠকের পূর্বেই শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘আমরা মন্ত্রীর চাপে পড়ে শুধু উপ-উপাচার্য পদত্যাগের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি, তবে তোমরা মানবে না। তাহলে আমরা মন্ত্রীকে বলব, ‘শিক্ষার্থীরা মানতে চাইছে না। আমাদের কী করার আছে’।
No comments