আফগানিস্তানে প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অপসারিত-* দুর্নীতি ও দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগ -* পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব পাস
দুর্নীতি ও দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগে আফগানিস্তানের দুই প্রভাবশালী মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এঁরা হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিসমিল্লাহ মোহাম্মাদী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবদুল রহিম ওয়ারদাক। গত শনিবার পার্লামেন্টে ওই দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয় এবং আইন প্রণেতারা এতে সমর্থন দেন।
গতকাল রবিবার প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই পার্লামেন্টের এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।
পার্লামেন্ট সদস্যদের অভিযোগ, আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তানের নির্বিচার গোলাবর্ষণ ঠেকাতে এবং তালেবান হামলা থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি তাঁরা দুর্নীতির সঙ্গেও জড়িত। তাই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ওলেসি জিরগাতে শনিবার এই দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুটি অনাস্থা প্রস্তাব তোলা হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়ারদাকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত প্রস্তাবটি ১৪৬-৭২ ভোটে পাস হয়। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদীর বিরুদ্ধের আনা প্রস্তাবটি পাস হয় ১২৬-৯০ ভোটে।
পার্লামেন্টে ভোটাভুটির আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়ারদাক দাবি করেন, সীমান্তে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে হামলা বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। এজন্য সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা ও কামান মোতায়েন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ওয়ারদাক আট বছর ধরে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আগে মোহাম্মাদী ২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ ছিলেন। এই দুই মন্ত্রীই পশ্চিমাদের আশীর্বাদপুষ্ট।
আফগান পার্লামেন্টের এ পদক্ষেপ কারজাই সরকারের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট কারজাই পার্লামেন্ট সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন। তবে নতুন মন্ত্রী নিয়োগের আগ পর্যন্ত ওই মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করবেন।
আফগান পার্লামেন্টে মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এর আগেও পাস হয়েছে। তবে বরাবরই প্রেসিডেন্ট কারজাই পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে তাঁর পছন্দের মন্ত্রীদের স্বপদে বহাল রেখেছেন। এবার এর ব্যতিক্রম ঘটল।
পাকিস্তানের সঙ্গে যখন সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে এবং জঙ্গি হামলা বৃদ্ধির কারণে ন্যাটো বাহিনী যখন তাদের বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছে, ঠিক তখনই এ ঘটনা ঘটল। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, গার্ডিয়ান।
পার্লামেন্ট সদস্যদের অভিযোগ, আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তানের নির্বিচার গোলাবর্ষণ ঠেকাতে এবং তালেবান হামলা থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি তাঁরা দুর্নীতির সঙ্গেও জড়িত। তাই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ওলেসি জিরগাতে শনিবার এই দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুটি অনাস্থা প্রস্তাব তোলা হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়ারদাকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত প্রস্তাবটি ১৪৬-৭২ ভোটে পাস হয়। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদীর বিরুদ্ধের আনা প্রস্তাবটি পাস হয় ১২৬-৯০ ভোটে।
পার্লামেন্টে ভোটাভুটির আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়ারদাক দাবি করেন, সীমান্তে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে হামলা বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। এজন্য সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা ও কামান মোতায়েন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ওয়ারদাক আট বছর ধরে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আগে মোহাম্মাদী ২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ ছিলেন। এই দুই মন্ত্রীই পশ্চিমাদের আশীর্বাদপুষ্ট।
আফগান পার্লামেন্টের এ পদক্ষেপ কারজাই সরকারের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট কারজাই পার্লামেন্ট সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন। তবে নতুন মন্ত্রী নিয়োগের আগ পর্যন্ত ওই মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করবেন।
আফগান পার্লামেন্টে মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এর আগেও পাস হয়েছে। তবে বরাবরই প্রেসিডেন্ট কারজাই পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে তাঁর পছন্দের মন্ত্রীদের স্বপদে বহাল রেখেছেন। এবার এর ব্যতিক্রম ঘটল।
পাকিস্তানের সঙ্গে যখন সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে এবং জঙ্গি হামলা বৃদ্ধির কারণে ন্যাটো বাহিনী যখন তাদের বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছে, ঠিক তখনই এ ঘটনা ঘটল। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, গার্ডিয়ান।
No comments