জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিন পেলেন খালেদা
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ মামলায় ১৪ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতা শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। খালেদা জিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জহুরুল হকের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক একজন আইনজীবীর জিম্মায় ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এই মামলায় হাইকোর্টের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় খালেদা জিয়া এ আবেদন করেছিলেন।
অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য খালেদা জিয়া ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এ হাজির হন। তিনি এ আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে শুনানির জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন। বিচারক মোজাম্মেল হোসেন তা মঞ্জুর করে আগামী ১৮ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়া দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ও আইনজীবীদের নিয়ে আদালতে হাজির হন। দুটি মামলায় মাত্র ১৫-২০ মিনিটের শুনানি শেষে তিনি আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
আদালত প্রাঙ্গণের পরিস্থিতি: খালেদা জিয়া আসছেন—এই খবর জানার পর সকাল থেকেই আইনজীবী ও দলীয় নেতা-কর্মীরা আদালত এলাকায় ভিড় করতে থাকেন। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা কয়েক দফা মিছিল বের করেন এবং খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি তোলেন।
সকাল থেকেই আদালত এলাকায় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রতিটি ফটকে আইনজীবীসহ সবাইকে তল্লাশি করে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণ: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে জমি কেনায় আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে গত বছরের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাকি তিন আসামি হলেন তাঁর সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, রাজনৈতিক সচিবের একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম (বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক) এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
আর দুদক জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি করে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল’ নামে সোনালী ব্যাংক ঢাকার রমনা শাখায় একটি চলতি হিসাব খোলা হয়। ভুয়া এফডিআরের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে এই এতিম তহবিলের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা তুলে আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুদক মামলা করে। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুুদক খালেদা জিয়া ও তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়। খালেদা জিয়া এ মামলায় জামিনে আছেন। তারেক রহমান উচ্চ আদালতের অনুমোদনক্রমে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আছেন।
No comments