পর্যাপ্ত মজুদ সত্ত্বেও চালের মূল্যবৃদ্ধির নেপথ্যে_- কতিপয় ব্যবসায়ীর অতি মুনাফার নেশা দায়ী
কতিপয় মুনাফাখোর ব্যবসায়ী শৈত্যপ্রবাহকে পুঁজি করে হঠাৎ চালের দাম বাড়িয়েছে। পর্যাপ্ত মজুদ ও আমদানি বন্ধ থাকলেও কৌশলে এরা মূল্য বৃদ্ধি করেছে। হঠাৎ চালের মূল্য বৃদ্ধিতে চাপের মধ্যে পড়েছে সরকারও।
খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেছেন, শৈত্যপ্রবাহের কারণে সরবরাহ কমেছে।
খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেছেন, শৈত্যপ্রবাহের কারণে সরবরাহ কমেছে।
এ কারণে চালের দাম বেড়েছে। শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেলে দুই-একদিনের মধ্যে চালের মূল্য কমে আসবে। এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হাতিরপুল বাজারে আসা চাকরিজীবী ক্রেতা বাশার জানান, অতি মুনাফার নেশা ব্যবসায়ীদের মধ্যে এখনও বিরাজ করছে। যে কারণে কোন কারণ ছাড়াই তারা চালের মূল্য বাড়াচ্ছে। এই সময়ে চালের মৌসুম। বিদেশ থেকে কোন চাল আমদানি হচ্ছে না। অভ্যনত্মরীণ মজুদও পর্যাপ্ত। এরপরও মূল্য বৃদ্ধির পেছনে ব্যবসায়ীরা। চালের দাম আর বৃদ্ধি পাবে না_মন্ত্রীর এমন বক্তব্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি ফিরে এসেছে। একটি বেসরকারী হাসপাতালের নার্স তমালিকা তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই সময়ে কেন চালের দাম বাড়বে। এ ব্যাপারে সরকারের সঠিক ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
এদিকে সপ্তাহের শুরম্নতেই চিনি ও পামতেলের মূল্য বেড়েছে। দীর্ঘদিন পর নিম্নমুখী হচ্ছে আলুর দাম। খুচরা বাজারে চিনির মূল্য বেড়ে উঠেছে ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজিতে এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে। চিনির বাজারে সিন্ডিকেট ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সরকারের হিসাবে প্রতিকেজি চিনির মূল্য ৫০ টাকার উপরে হবে না। কিন্তু কয়েক দিন স্থিতিশীল থেকে ফের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা শুরম্ন হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের মূল্য বাড়ানো হয়েছে চিনির।
এদিকে দাম বাড়ছে পাম তেলের। এককেজি সুপার পামতেলের দাম হচ্ছে ৭০ টাকা এবং পামতেলের দাম হলো ৬৮ টাকা। প্রতিকেজিতে দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। সয়াবিন তেলের দাম স্থিতিশীল থাকলেও পামতেলের দাম বাড়ছে। এক মাসের ব্যবধানে পামতেলের কেজিতে ৭.৩৮ শতাংশ ও সয়াবিনের দাম বৃদ্ধি পায় ১.২৩ শতাংশ।
শুক্রবার রাজধানীর হাতিরপুল বাজার, নিউমার্কেট বাজার, হাজারীবাগ বাজার, ঝিকাতলা কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলুর দাম হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমানে এককেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা এবং মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ অব্যাহত রাখছে। বিশেষ করে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে খুব শীঘ্রই কম দামে বাজারে চাল বিক্রি করতে যাচ্ছে সরকার। এছাড়া বিদেশ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পণ্য আমদানি ও বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, মোটা চালের মূল্যের ওপর অন্যান্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির যোগসাজশ রয়েছে। তাই দ্রম্নত মোটা চালের বাজারকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। এতে মূল্যস্ফীতির চাপ হতদরিদ্র মানুষের ওপর কম পড়বে।
খুচরা বাজারের হিসাব মতে, আটার কেজি ২২ থেকে ২৫ টাকা, ময়দার কেজি ৩০ থেকে ৩৪ টাকা, মোটা চাল ২৬ থেকে ২৮ টাকা, মাঝারি চাল ৩০ থেকে ৩৪ টাকা ও সরম্ন চাল ৩২ থেকে ৪৪ টাকা, পেঁয়াজ ৩২ থেকে ৩৫ টাকা রসুন ৯৫ থেকে ১১৫ টাকা, হলুদ দেড় শ' থেকে ১৭০ টাকা।
এদিকে চলতি সপ্তাহে নির্মাণসামগ্রী রডের দাম বেড়েছে। এমএস রড ৪০ গ্রেডের মূল্য প্রতি টনে এক হাজার টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে এক টন রড বিক্রি হয় ৪৬ হাজার ৫শ' টাকা। ওই রড এ সপ্তাহে মূল্য উঠেছে ৪৭ হাজার ৫শ' টাকা।
এদিকে সপ্তাহের শুরম্নতেই চিনি ও পামতেলের মূল্য বেড়েছে। দীর্ঘদিন পর নিম্নমুখী হচ্ছে আলুর দাম। খুচরা বাজারে চিনির মূল্য বেড়ে উঠেছে ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজিতে এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে। চিনির বাজারে সিন্ডিকেট ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সরকারের হিসাবে প্রতিকেজি চিনির মূল্য ৫০ টাকার উপরে হবে না। কিন্তু কয়েক দিন স্থিতিশীল থেকে ফের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা শুরম্ন হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের মূল্য বাড়ানো হয়েছে চিনির।
এদিকে দাম বাড়ছে পাম তেলের। এককেজি সুপার পামতেলের দাম হচ্ছে ৭০ টাকা এবং পামতেলের দাম হলো ৬৮ টাকা। প্রতিকেজিতে দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। সয়াবিন তেলের দাম স্থিতিশীল থাকলেও পামতেলের দাম বাড়ছে। এক মাসের ব্যবধানে পামতেলের কেজিতে ৭.৩৮ শতাংশ ও সয়াবিনের দাম বৃদ্ধি পায় ১.২৩ শতাংশ।
শুক্রবার রাজধানীর হাতিরপুল বাজার, নিউমার্কেট বাজার, হাজারীবাগ বাজার, ঝিকাতলা কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলুর দাম হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমানে এককেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা এবং মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ অব্যাহত রাখছে। বিশেষ করে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে খুব শীঘ্রই কম দামে বাজারে চাল বিক্রি করতে যাচ্ছে সরকার। এছাড়া বিদেশ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পণ্য আমদানি ও বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, মোটা চালের মূল্যের ওপর অন্যান্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির যোগসাজশ রয়েছে। তাই দ্রম্নত মোটা চালের বাজারকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। এতে মূল্যস্ফীতির চাপ হতদরিদ্র মানুষের ওপর কম পড়বে।
খুচরা বাজারের হিসাব মতে, আটার কেজি ২২ থেকে ২৫ টাকা, ময়দার কেজি ৩০ থেকে ৩৪ টাকা, মোটা চাল ২৬ থেকে ২৮ টাকা, মাঝারি চাল ৩০ থেকে ৩৪ টাকা ও সরম্ন চাল ৩২ থেকে ৪৪ টাকা, পেঁয়াজ ৩২ থেকে ৩৫ টাকা রসুন ৯৫ থেকে ১১৫ টাকা, হলুদ দেড় শ' থেকে ১৭০ টাকা।
এদিকে চলতি সপ্তাহে নির্মাণসামগ্রী রডের দাম বেড়েছে। এমএস রড ৪০ গ্রেডের মূল্য প্রতি টনে এক হাজার টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে এক টন রড বিক্রি হয় ৪৬ হাজার ৫শ' টাকা। ওই রড এ সপ্তাহে মূল্য উঠেছে ৪৭ হাজার ৫শ' টাকা।
No comments