জ্বালানি সংকটে বিদ্যুৎ by অরুণ কর্মকার
বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে কয়লা আমদানির উদ্যোগ কিছুটা কাজ দিতে পারে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২০১৬ সালের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসেন মনসুর বলেছেন, ‘এমন আশা না করাই ভালো। যা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে, গ্যাস বেশি নেই।’ কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৬ সাল নাগাদ প্রায় পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য
বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২০১৬ সালের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসেন মনসুর বলেছেন, ‘এমন আশা না করাই ভালো। যা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে, গ্যাস বেশি নেই।’ কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৬ সাল নাগাদ প্রায় পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য
গ্যাসের সংস্থান করতে হবে। অথচ পেট্রোবাংলার গ্যাস উন্নয়ন কার্যক্রমে এত বিদ্যুতের জন্য গ্যাস জোগানোর সম্ভাবনা নেই।
গতকাল মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ওই উন্নয়ন কার্যক্রম ও বর্তমান সরকারের তিন বছরের শাসনমেয়াদে এই খাতের অর্জন তুলে ধরেন। তাতে দেখা যায়, গ্যাস খাতে উন্নয়ন কার্যক্রম আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় ত্বরান্বিত হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মকবুল-ই-ইলাহী প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাসভিত্তিক অনেক কেন্দ্রের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোন বছর কত গ্যাস বাড়তি লাগবে, সেটা বলতে হবে এবং সে অনুযায়ী উন্নয়ন কার্যক্রম নিতে হবে। এখন যেভাবে গ্যাস খাত চলছে, তাতে বিদ্যুতের ওই প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন কোম্পানির (বাপেক্স) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামালউদ্দিন বলেন, গ্যাসভিত্তিক এতগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাকে অবাস্তবই বলা যায়। সরকারের উচিত কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের ওপর আরও বেশি জোর দেওয়া।
উৎপাদন বেড়েছে কত: গতকালের সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোবাংলার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে গ্যাসের দৈনিক উত্তোলনক্ষমতা বেড়েছে ৫০ কোটি ৫০ লাখ (৫০৫ মিলিয়ন) ঘনফুট। কিন্তু এ হিসাবটিই সব নয়। কারণ, এর মধ্যে সাড়ে ১৮ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করা যাচ্ছে না সঞ্চালন লাইন নেই বলে। পেট্রোবাংলার ভাষায়, ওই সাড়ে ১৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস সঞ্চালন সংযোগ পায়নি।
এ ছাড়া পুরোনো নয়টি কূপের উৎপাদনক্ষমতা কমেছে মোট ১২ কোটি ঘনফুট। ফলে প্রকৃত হিসাবে উৎপাদন বেড়েছে ২০ কোটি ঘনফুট। এই উৎপাদন বৃদ্ধি চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সরকারি হিসাবে দেশে বর্তমানে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ২৫০ কোটি ঘনফুটের বেশি। আর দৈনিক উৎপাদন হচ্ছে ২০০ কোটি ঘনফুটের কিছু বেশি। ঘাটতি প্রায় ৫০ কোটি ঘনফুট।
পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী, এ বছর (২০১২ সাল) গ্যাসের দৈনিক চাহিদা বেড়ে হবে ৩০০ কোটি ঘনফুটের বেশি (৩০৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট)। এ হিসাব অনুযায়ী, গ্যাসের ঘাটতি মেটাতে হলে চলতি বছরের মধ্যে দৈনিক উৎপাদন বাড়াতে হবে ১০৫ কোটি ঘনফুট।
বৃদ্ধির পরিকল্পনা: কিন্তু উৎপাদন বাড়ানোর যে পরিকল্পনা নিয়ে পেট্রোবাংলা এগোচ্ছে, তাতে ওই ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে না। পেট্রোবাংলার পরিকল্পনা অনুযায়ী, এ বছর পূর্বোক্ত সঞ্চালন না পাওয়া সাড়ে ১৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস গ্রিডে যুক্ত করতে হবে সঞ্চালন লাইন করে। আরও ছয়টি ক্ষেত্র থেকে বাড়তি পাওয়া যাবে সাড়ে ১৬ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে জালালাবাদ ক্ষেত্র থেকে পাওয়া যাবে ছয় কোটি, সুন্দলপুর থেকে এক কোটি ২০ লাখ, ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে চার কোটি, সালদা নদী থেকে দুই কোটি, মৌলভীবাজার থেকে তিন কোটি এবং সেমুতাং থেকে ৩০ লাখ ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।
চলমান খননকাজের মাধ্যমে এ বছর উৎপাদন বাড়বে ১১ কোটি ২০ লাখ ঘনফুট। বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে শেভরন উৎপাদন বাড়াবে ৩০ কোটি ঘনফুট। এগুলো বাস্তবায়িত হলে মোট উৎপাদন বাড়বে ৭৭ কোটি ঘনফুট।
ভরসা ‘গ্যাজপ্রম’: এ অবস্থায় সরকার ভরসা করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কোম্পানি গ্যাজপ্রমের ওপর। ওই কোম্পানি তিতাসসহ দেশের বিদ্যমান কয়েকটি ক্ষেত্রে ১০টি নতুন কূপ খনন করে দেবে বলে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। চলতি মাসে এ ব্যাপারে পেট্রোবাংলা ও গ্যাজপ্রমের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। সমঝোতা অনুযায়ী, গ্যাজপ্রম ওই কূপ খননের জন্য মোট প্রায় ১৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নেবে।
সরকারি সূত্র জানায়, চুক্তি স্বাক্ষরের পরই গ্যাজপ্রম রিগসহ কূপ খননের যন্ত্রপাতি আনতে শুরু করবে। তারা প্রথম কাজ করবে তিতাস গ্যাসক্ষেত্রে। সেখানে তারা চারটি কূপ খনন করবে। তিতাস এখন পর্যন্ত দেশে আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র। সেখানে এখন ১৫টি কূপ চালু আছে, যার মাধ্যমে দৈনিক গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে ৪৪৫ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। প্রতিটি কূপে উত্তোলন করা হচ্ছে ৩০ মিলিয়নের কম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের প্রাথমিক মজুদ নির্ধারণ করা হয়েছিল তিন ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। এখন পর্যন্ত তিন টিসিএফের মতো গ্যাস তোলার পরও অনেক মজুদ আছে। তবে ক্ষেত্রটির গ্যাসের চাপ আগের চেয়ে অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে।
ফলে ওই ক্ষেত্রের চারটি কূপ চলতি বছরের মধ্যে খনন করা সম্ভব হলেও সেখান থেকে দৈনিক ১৫-১৬ কোটি ঘনফুটের বেশি গ্যাস তোলা সম্ভব হবে না। ফলে উপরিউক্ত সব কার্যক্রম সময়মতো সফল হলেও গ্যাসের ঘাটতি থাকবে।
গতকালের সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, গ্যাসের নতুন সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকলেও অবৈধ লাইনের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এ খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা চলছে।
রাজশাহী ও নাটোরে সরবরাহ: পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, রাজশাহী ও নাটোরে চলতি মাসের মধ্যেই গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে। তবে সারা দেশে গ্যাসের নতুন সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকলেও ওই দুটি স্থানে তা দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার সূত্রগুলো জানায়, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে সেখানে গ্যাস সরবরাহ শুরু হচ্ছে। হয়তো প্রতীকী কিছু সংযোগ দেওয়া হবে। তারপর সারা দেশের সঙ্গে সমন্বয় করেই সবকিছু করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোবাংলার পরিচালক ও কয়েকটি সহযোগী সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ওই উন্নয়ন কার্যক্রম ও বর্তমান সরকারের তিন বছরের শাসনমেয়াদে এই খাতের অর্জন তুলে ধরেন। তাতে দেখা যায়, গ্যাস খাতে উন্নয়ন কার্যক্রম আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় ত্বরান্বিত হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মকবুল-ই-ইলাহী প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাসভিত্তিক অনেক কেন্দ্রের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোন বছর কত গ্যাস বাড়তি লাগবে, সেটা বলতে হবে এবং সে অনুযায়ী উন্নয়ন কার্যক্রম নিতে হবে। এখন যেভাবে গ্যাস খাত চলছে, তাতে বিদ্যুতের ওই প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন কোম্পানির (বাপেক্স) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামালউদ্দিন বলেন, গ্যাসভিত্তিক এতগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাকে অবাস্তবই বলা যায়। সরকারের উচিত কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের ওপর আরও বেশি জোর দেওয়া।
উৎপাদন বেড়েছে কত: গতকালের সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোবাংলার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে গ্যাসের দৈনিক উত্তোলনক্ষমতা বেড়েছে ৫০ কোটি ৫০ লাখ (৫০৫ মিলিয়ন) ঘনফুট। কিন্তু এ হিসাবটিই সব নয়। কারণ, এর মধ্যে সাড়ে ১৮ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করা যাচ্ছে না সঞ্চালন লাইন নেই বলে। পেট্রোবাংলার ভাষায়, ওই সাড়ে ১৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস সঞ্চালন সংযোগ পায়নি।
এ ছাড়া পুরোনো নয়টি কূপের উৎপাদনক্ষমতা কমেছে মোট ১২ কোটি ঘনফুট। ফলে প্রকৃত হিসাবে উৎপাদন বেড়েছে ২০ কোটি ঘনফুট। এই উৎপাদন বৃদ্ধি চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সরকারি হিসাবে দেশে বর্তমানে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ২৫০ কোটি ঘনফুটের বেশি। আর দৈনিক উৎপাদন হচ্ছে ২০০ কোটি ঘনফুটের কিছু বেশি। ঘাটতি প্রায় ৫০ কোটি ঘনফুট।
পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী, এ বছর (২০১২ সাল) গ্যাসের দৈনিক চাহিদা বেড়ে হবে ৩০০ কোটি ঘনফুটের বেশি (৩০৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট)। এ হিসাব অনুযায়ী, গ্যাসের ঘাটতি মেটাতে হলে চলতি বছরের মধ্যে দৈনিক উৎপাদন বাড়াতে হবে ১০৫ কোটি ঘনফুট।
বৃদ্ধির পরিকল্পনা: কিন্তু উৎপাদন বাড়ানোর যে পরিকল্পনা নিয়ে পেট্রোবাংলা এগোচ্ছে, তাতে ওই ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে না। পেট্রোবাংলার পরিকল্পনা অনুযায়ী, এ বছর পূর্বোক্ত সঞ্চালন না পাওয়া সাড়ে ১৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস গ্রিডে যুক্ত করতে হবে সঞ্চালন লাইন করে। আরও ছয়টি ক্ষেত্র থেকে বাড়তি পাওয়া যাবে সাড়ে ১৬ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে জালালাবাদ ক্ষেত্র থেকে পাওয়া যাবে ছয় কোটি, সুন্দলপুর থেকে এক কোটি ২০ লাখ, ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে চার কোটি, সালদা নদী থেকে দুই কোটি, মৌলভীবাজার থেকে তিন কোটি এবং সেমুতাং থেকে ৩০ লাখ ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।
চলমান খননকাজের মাধ্যমে এ বছর উৎপাদন বাড়বে ১১ কোটি ২০ লাখ ঘনফুট। বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে শেভরন উৎপাদন বাড়াবে ৩০ কোটি ঘনফুট। এগুলো বাস্তবায়িত হলে মোট উৎপাদন বাড়বে ৭৭ কোটি ঘনফুট।
ভরসা ‘গ্যাজপ্রম’: এ অবস্থায় সরকার ভরসা করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কোম্পানি গ্যাজপ্রমের ওপর। ওই কোম্পানি তিতাসসহ দেশের বিদ্যমান কয়েকটি ক্ষেত্রে ১০টি নতুন কূপ খনন করে দেবে বলে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। চলতি মাসে এ ব্যাপারে পেট্রোবাংলা ও গ্যাজপ্রমের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। সমঝোতা অনুযায়ী, গ্যাজপ্রম ওই কূপ খননের জন্য মোট প্রায় ১৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নেবে।
সরকারি সূত্র জানায়, চুক্তি স্বাক্ষরের পরই গ্যাজপ্রম রিগসহ কূপ খননের যন্ত্রপাতি আনতে শুরু করবে। তারা প্রথম কাজ করবে তিতাস গ্যাসক্ষেত্রে। সেখানে তারা চারটি কূপ খনন করবে। তিতাস এখন পর্যন্ত দেশে আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র। সেখানে এখন ১৫টি কূপ চালু আছে, যার মাধ্যমে দৈনিক গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে ৪৪৫ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। প্রতিটি কূপে উত্তোলন করা হচ্ছে ৩০ মিলিয়নের কম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের প্রাথমিক মজুদ নির্ধারণ করা হয়েছিল তিন ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। এখন পর্যন্ত তিন টিসিএফের মতো গ্যাস তোলার পরও অনেক মজুদ আছে। তবে ক্ষেত্রটির গ্যাসের চাপ আগের চেয়ে অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে।
ফলে ওই ক্ষেত্রের চারটি কূপ চলতি বছরের মধ্যে খনন করা সম্ভব হলেও সেখান থেকে দৈনিক ১৫-১৬ কোটি ঘনফুটের বেশি গ্যাস তোলা সম্ভব হবে না। ফলে উপরিউক্ত সব কার্যক্রম সময়মতো সফল হলেও গ্যাসের ঘাটতি থাকবে।
গতকালের সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, গ্যাসের নতুন সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকলেও অবৈধ লাইনের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এ খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা চলছে।
রাজশাহী ও নাটোরে সরবরাহ: পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, রাজশাহী ও নাটোরে চলতি মাসের মধ্যেই গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে। তবে সারা দেশে গ্যাসের নতুন সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকলেও ওই দুটি স্থানে তা দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার সূত্রগুলো জানায়, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে সেখানে গ্যাস সরবরাহ শুরু হচ্ছে। হয়তো প্রতীকী কিছু সংযোগ দেওয়া হবে। তারপর সারা দেশের সঙ্গে সমন্বয় করেই সবকিছু করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোবাংলার পরিচালক ও কয়েকটি সহযোগী সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments