আবারো সামরিক বাহিনীকে উদ্ধারে এগিয়ে এসেছে এনএলডি
মিয়ানমারবিষয়ক
স্বাধীন আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধান মিশন সম্প্রতি ৫ আগস্ট তাদের সর্বশেষ
প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এটা সরকারকে একটি সুযোগও দিয়েছে।
প্রতিবেদনটি ছিল মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর (তাতমাদাও) বিপুল অর্থনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট। এসবের মধ্যে ছিল বিদেশী অংশীদারিত্ব ও আকর্ষণীয় রত্নপাথর শিল্পের সাথে এর সম্পর্ক।
বেশির ভাগ মিডিয়া কভারেজে প্রতিবেদনটিতে সামরিক বাহিনীর কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বিশেষ করে মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিংস লিমিটেড ও মিয়ানমার ইকোনমিক কোরপোরেশনের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করার সুপারিশবিষয়ক অংশটি ফলাও করে প্রচার করে।
ফলে স্বাভাবিকভাবেই মিয়ানমারের অনেকে একে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশী হস্তক্ষেপ হিসেবে সমালোচনা করে।
তবে বিনিয়োগের ওপর যতটা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী লাইমলাইটে আসেনি রাখাইন রাজ্য ও মিয়ানমারের অন্যান্য অংশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সামরিক বাহিনীকে শাস্তি প্রদানের বিষয়টি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পার্লামেন্টে ঘোষিত বাজেটের বাইরে অন্যান্য উৎস থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ সংগ্রহ করতে পারার ফলেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওপর বেসামরিক কর্তৃপক্ষের নজরদারি থাকে অনেক কম। প্রতিবেদেন আরো বলা হয়, জেড শিল্পসহ খনিতে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সম্পৃক্ততার কারণেই উত্তর মিয়ানমারে সঙ্ঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বেসামরিক সরকারকে দায়মুক্তি দেয়া হয়নি। বিশেষ করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ নষ্ট করা, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর স্বাভাবিক প্রত্যাবর্তন প্রয়াস নস্যাত করার করার জন্য দায়ী মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার।
তবে প্রতিবেদনে স্বল্প আলোকপাতের ফলে সরকারকে তার সামরিক বাহিনীর নীতি থেকে দূরে থাকা ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না গ্রহণের সুযোগ দেবে।
সরকার বলতে পারে, তারা সামরিক বাহিনীর ওপর বেসামরিক তদারকিকে সমর্থন করে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা তা নয়।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের এক দিন পরই মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সরকার এই প্রতিবেদন ও এর সুপারিশমালাকে প্রত্যাখ্যান করছে।
এতে বলা হয়, মিয়ানমার ও এর জনগণের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্যই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার আবারো তাদের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের পথ বন্ধ করে দিলো।
সামরিক বাহিনীর অর্থের উৎস সম্পর্কে জানিয়ে দিয়ে তথ্যানুসন্ধানী কমিটি আসলে মিয়ানমার বেসামরিক সরকারকে একটি পথ দেখিয়ে দিয়েছে। তা হলো সামরিক বাহিনীর ওই উৎসগুলো যদি বেসামরিক নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তবে দেশের জন্য সার্বিক কল্যাণকর হবে। দেশের অর্থনীতি বেগবান হবে।
উল্লেখ্য, এনএলডি ২০১৫ সালে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে সামরিক বাহিনীকে নির্বাহী বিভাগে আনার অধীনে আনার কথা বলেছিল।
কিন্তু এরপর থেকে অবস্থা অনেক বদলে গেছে। এনএলডি নেতৃত্ব রাখাইন রাজ্যের বাইরে থাকা বৃহত্তর দৃশ্য দেখতে পাচ্ছে কিনা তাই এখন দেখার বিষয়।
প্রতিবেদনটি ছিল মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর (তাতমাদাও) বিপুল অর্থনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট। এসবের মধ্যে ছিল বিদেশী অংশীদারিত্ব ও আকর্ষণীয় রত্নপাথর শিল্পের সাথে এর সম্পর্ক।
বেশির ভাগ মিডিয়া কভারেজে প্রতিবেদনটিতে সামরিক বাহিনীর কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বিশেষ করে মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিংস লিমিটেড ও মিয়ানমার ইকোনমিক কোরপোরেশনের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করার সুপারিশবিষয়ক অংশটি ফলাও করে প্রচার করে।
ফলে স্বাভাবিকভাবেই মিয়ানমারের অনেকে একে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশী হস্তক্ষেপ হিসেবে সমালোচনা করে।
তবে বিনিয়োগের ওপর যতটা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী লাইমলাইটে আসেনি রাখাইন রাজ্য ও মিয়ানমারের অন্যান্য অংশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সামরিক বাহিনীকে শাস্তি প্রদানের বিষয়টি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পার্লামেন্টে ঘোষিত বাজেটের বাইরে অন্যান্য উৎস থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ সংগ্রহ করতে পারার ফলেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওপর বেসামরিক কর্তৃপক্ষের নজরদারি থাকে অনেক কম। প্রতিবেদেন আরো বলা হয়, জেড শিল্পসহ খনিতে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সম্পৃক্ততার কারণেই উত্তর মিয়ানমারে সঙ্ঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বেসামরিক সরকারকে দায়মুক্তি দেয়া হয়নি। বিশেষ করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ নষ্ট করা, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর স্বাভাবিক প্রত্যাবর্তন প্রয়াস নস্যাত করার করার জন্য দায়ী মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার।
তবে প্রতিবেদনে স্বল্প আলোকপাতের ফলে সরকারকে তার সামরিক বাহিনীর নীতি থেকে দূরে থাকা ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না গ্রহণের সুযোগ দেবে।
সরকার বলতে পারে, তারা সামরিক বাহিনীর ওপর বেসামরিক তদারকিকে সমর্থন করে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা তা নয়।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের এক দিন পরই মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সরকার এই প্রতিবেদন ও এর সুপারিশমালাকে প্রত্যাখ্যান করছে।
এতে বলা হয়, মিয়ানমার ও এর জনগণের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্যই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার আবারো তাদের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের পথ বন্ধ করে দিলো।
সামরিক বাহিনীর অর্থের উৎস সম্পর্কে জানিয়ে দিয়ে তথ্যানুসন্ধানী কমিটি আসলে মিয়ানমার বেসামরিক সরকারকে একটি পথ দেখিয়ে দিয়েছে। তা হলো সামরিক বাহিনীর ওই উৎসগুলো যদি বেসামরিক নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তবে দেশের জন্য সার্বিক কল্যাণকর হবে। দেশের অর্থনীতি বেগবান হবে।
উল্লেখ্য, এনএলডি ২০১৫ সালে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে সামরিক বাহিনীকে নির্বাহী বিভাগে আনার অধীনে আনার কথা বলেছিল।
কিন্তু এরপর থেকে অবস্থা অনেক বদলে গেছে। এনএলডি নেতৃত্ব রাখাইন রাজ্যের বাইরে থাকা বৃহত্তর দৃশ্য দেখতে পাচ্ছে কিনা তাই এখন দেখার বিষয়।
No comments