হারুন আল রশিদের বাড়িতে তাণ্ডব: যে সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
সাবেক
প্রতিমন্ত্রী হারুন আল রশিদের বাড়ি ভাঙার বিষয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এখন
ব্যাপক আলোচিত। দেখা দিয়েছে সর্বত্র ক্ষোভ। ভাঙা বাড়ি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন
নানা শ্রেণির মানুষ। বাড়ি ভাঙায় জড়িতদের সাহস-শক্তি নিয়েও হচ্ছে আলোচনা।
এদিকে পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে। এর আগে এবিষয়ে
থানায় আলাদা অভিযোগ দেন ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া মডার্ন এক্সরে ক্লিনিকের পরিচালক
মো. জসিম উদ্দিন আহমেদ ও হারুন আল রশিদের চাচাতো ভাই শামিম রশিদ। ক্লিনিক
পরিচালক তার এজাহারে ভাঙচুর ও লুটপাটে ৮২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ
করেন। তার এজাহারে আসামি অজ্ঞাত উল্লেখ করা হলেও শামীম রশিদের এজাহারে
ঘটনায় জড়িত ৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
তারা হচ্ছেন প্রস্তাবিত ডা. জাকারিয়া মা ও শিশু জেনারেল হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মো. জাকারিয়া, শহর যুবলীগের আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন রনি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলার দারিয়াপুর এলাকার মিজান ওরফে জামাই মিজান, আবু কাউসার, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মনির হোসেন ও পৈরতলা এলাকার মিজান মিয়া। মঙ্গলবার রাতে শহরের হাসপাতাল রোডের পাশে ওই বাড়িটি ভাঙা হয়। এরআগে উপর থেকে ভাঙার পারমিশন হয়ে গেছে বলে রাত ১২টার দিকে মডার্ন এক্স-রে ও প্যাথলজি ক্লিনিকের মালিক আজিজুল হককে ফোন দেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা। ভাঙন শুরু হলে রাত দুটোর দিকে আবার তাকে ফোন দিয়ে ভাঙন শুরু হয়েছে বলে জানিয়ে দেন ওই নেতা। এ সময় ক্লিনিক মালিক মালপত্র সরানোর জন্য একদিনের সময় চান তার কাছে। ভাঙনের সময় ক্লিনিক কর্মচারীদের পৌরসভা থেকে ভাঙতে এসেছে বলে জানানো হয়।
বাড়ি ভাঙনে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতা ছাড়াও একাধিক ডাক্তার ও ব্যবসায়ী জড়িত বলে ঘটনার পরই অভিযোগ উঠে। তারা হারুন আল রশিদের বাড়ির পশ্চিম পাশে একটি জায়গা কিনে সেখানে হাসপাতাল করার উদ্যোগ নেন। সেই হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তা প্রশস্ত করতে তারা ওই বাড়ির সীমানা প্রাচীর ও বাড়ির ভেতরের স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেন। করাত দিয়ে বাড়ির ভেতরের বড়গাছও কেটে ফেলা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিসি ক্যামেরা অচল করে কয়েক ঘণ্টা ধরে এই তাণ্ডব চালানো হয় শহরের প্রাণকেন্দ্রের ওই বাড়িটিতে। এই ঘটনায় বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মডার্ন এক্সরে অ্যান্ড প্যাথলজি ক্লিনিকের পরিচালক জসিম উদ্দিন আহমেদ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দেন। এরপর রাত সাড়ে ১১টায় হারুন আল রশিদের চাচাতো ভাই শামীম রশিদ বাদী হয়ে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন। জসিম উদ্দিন আহমেদের এজাহারে খননযন্ত্র (ভেকু), বুলডোজার, রামদা, লোহার শাবল, কুড়াল ইত্যাদি অস্ত্র দিয়ে ক্লিনিকের লোহার ফটক, ভবনের দেয়াল, সীমানা প্রাচীর, ভেতরের গোডাউন ভাঙচুর করার কথা উল্লেখ করা হয়।
ক্লিনিকের তিনটি জেনারেটর, তিনটি আলট্রাসনোগ্রাফ মেশিন, চারটি এসিসহ ৮০ লাখ টাকার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ট্রাকে তুলে লুট করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়া ক্লিনিকের ভেতরে থাকা প্রাচীন তিনটি গাছ ইলেকট্রিক করাত দিয়ে কেটে দুই লাখ টাকার ক্ষতি করা হয়। হামলা ও ভাঙচুরের সময় বাধা দিতে গেলে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখানো হয়। এনিয়ে মামলা করা হলে রাতের অন্ধকারে প্রতিষ্ঠানটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়। শামীম রশিদের এজাহারে বলা হয়, হারুন আল রশিদের দুটি প্লটের পশ্চিম পাশে অভিযুক্ত সাতজন ব্যক্তি কিছু ভূমি খরিদ করেন। তাদের খরিদ করা জায়গায় গাড়ি নিয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ওই জায়গা থেকে বের হতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের পাশে একটি রাস্তা বিদ্যমান। ক্লিনিকের সঙ্গে লাগোয়া এই রাস্তাটি ওই সাতব্যক্তি মনগড়া মতো বড় করার জন্য পূর্ব থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছিল। তাদের ইচ্ছামতো জায়গা ছেড়ে না দিলে পরিণাম ভয়াবহ হবে বলে হুমকি প্রদান করা হয়। একারণেই গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে বিদ্যুৎ ও গোপন ক্যামেরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে হারুন আল রশিদের জায়গায় থাকা ওই ক্লিনিকের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের সীমানা প্রাচীর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। পরে ক্লিনিকের ভেতরে ভাঙচুরের তাণ্ডব চালানো হয়। ক্লিনিকের ভেতরের পুরনো আম ও মেহগনি গাছ কেটে ফেলা হয়। পরে ওই ক্লিনিকের চিকিৎসার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি লুটপাট করে ট্রাকে ভরে নিয়ে যাওয়া হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম উদ্দিন বলেন,ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ক্লিনিক মালিকপক্ষ একটি মামলা করেছেন। বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে তার চাচাতো ভাই একটি অভিযোগ দিয়েছেন। একই ঘটনায় দুটি মামলা হয় না। তার অভিযোগটি মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেই পুলিশ কাজ করছে। এদিকে গতকাল বিকালে এ ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
তারা হচ্ছেন প্রস্তাবিত ডা. জাকারিয়া মা ও শিশু জেনারেল হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মো. জাকারিয়া, শহর যুবলীগের আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন রনি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলার দারিয়াপুর এলাকার মিজান ওরফে জামাই মিজান, আবু কাউসার, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মনির হোসেন ও পৈরতলা এলাকার মিজান মিয়া। মঙ্গলবার রাতে শহরের হাসপাতাল রোডের পাশে ওই বাড়িটি ভাঙা হয়। এরআগে উপর থেকে ভাঙার পারমিশন হয়ে গেছে বলে রাত ১২টার দিকে মডার্ন এক্স-রে ও প্যাথলজি ক্লিনিকের মালিক আজিজুল হককে ফোন দেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা। ভাঙন শুরু হলে রাত দুটোর দিকে আবার তাকে ফোন দিয়ে ভাঙন শুরু হয়েছে বলে জানিয়ে দেন ওই নেতা। এ সময় ক্লিনিক মালিক মালপত্র সরানোর জন্য একদিনের সময় চান তার কাছে। ভাঙনের সময় ক্লিনিক কর্মচারীদের পৌরসভা থেকে ভাঙতে এসেছে বলে জানানো হয়।
বাড়ি ভাঙনে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতা ছাড়াও একাধিক ডাক্তার ও ব্যবসায়ী জড়িত বলে ঘটনার পরই অভিযোগ উঠে। তারা হারুন আল রশিদের বাড়ির পশ্চিম পাশে একটি জায়গা কিনে সেখানে হাসপাতাল করার উদ্যোগ নেন। সেই হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তা প্রশস্ত করতে তারা ওই বাড়ির সীমানা প্রাচীর ও বাড়ির ভেতরের স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেন। করাত দিয়ে বাড়ির ভেতরের বড়গাছও কেটে ফেলা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিসি ক্যামেরা অচল করে কয়েক ঘণ্টা ধরে এই তাণ্ডব চালানো হয় শহরের প্রাণকেন্দ্রের ওই বাড়িটিতে। এই ঘটনায় বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মডার্ন এক্সরে অ্যান্ড প্যাথলজি ক্লিনিকের পরিচালক জসিম উদ্দিন আহমেদ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দেন। এরপর রাত সাড়ে ১১টায় হারুন আল রশিদের চাচাতো ভাই শামীম রশিদ বাদী হয়ে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন। জসিম উদ্দিন আহমেদের এজাহারে খননযন্ত্র (ভেকু), বুলডোজার, রামদা, লোহার শাবল, কুড়াল ইত্যাদি অস্ত্র দিয়ে ক্লিনিকের লোহার ফটক, ভবনের দেয়াল, সীমানা প্রাচীর, ভেতরের গোডাউন ভাঙচুর করার কথা উল্লেখ করা হয়।
ক্লিনিকের তিনটি জেনারেটর, তিনটি আলট্রাসনোগ্রাফ মেশিন, চারটি এসিসহ ৮০ লাখ টাকার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ট্রাকে তুলে লুট করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়া ক্লিনিকের ভেতরে থাকা প্রাচীন তিনটি গাছ ইলেকট্রিক করাত দিয়ে কেটে দুই লাখ টাকার ক্ষতি করা হয়। হামলা ও ভাঙচুরের সময় বাধা দিতে গেলে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখানো হয়। এনিয়ে মামলা করা হলে রাতের অন্ধকারে প্রতিষ্ঠানটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়। শামীম রশিদের এজাহারে বলা হয়, হারুন আল রশিদের দুটি প্লটের পশ্চিম পাশে অভিযুক্ত সাতজন ব্যক্তি কিছু ভূমি খরিদ করেন। তাদের খরিদ করা জায়গায় গাড়ি নিয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ওই জায়গা থেকে বের হতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের পাশে একটি রাস্তা বিদ্যমান। ক্লিনিকের সঙ্গে লাগোয়া এই রাস্তাটি ওই সাতব্যক্তি মনগড়া মতো বড় করার জন্য পূর্ব থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছিল। তাদের ইচ্ছামতো জায়গা ছেড়ে না দিলে পরিণাম ভয়াবহ হবে বলে হুমকি প্রদান করা হয়। একারণেই গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে বিদ্যুৎ ও গোপন ক্যামেরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে হারুন আল রশিদের জায়গায় থাকা ওই ক্লিনিকের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের সীমানা প্রাচীর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। পরে ক্লিনিকের ভেতরে ভাঙচুরের তাণ্ডব চালানো হয়। ক্লিনিকের ভেতরের পুরনো আম ও মেহগনি গাছ কেটে ফেলা হয়। পরে ওই ক্লিনিকের চিকিৎসার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি লুটপাট করে ট্রাকে ভরে নিয়ে যাওয়া হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম উদ্দিন বলেন,ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ক্লিনিক মালিকপক্ষ একটি মামলা করেছেন। বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে তার চাচাতো ভাই একটি অভিযোগ দিয়েছেন। একই ঘটনায় দুটি মামলা হয় না। তার অভিযোগটি মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেই পুলিশ কাজ করছে। এদিকে গতকাল বিকালে এ ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
No comments