ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র বিরোধে মধ্যস্ততাকারী হিসেবে কেন এগিয়ে আসছে না ভারত by হাসান আল হাসান
পারস্য
উপসাগরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঘনীভূত হতে থাকা সঙ্ঘাত বৈশ্বিক
জ্বালানি বাজারের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করেছে। যুদ্ধ যদি লেগেই যায়, তবে
প্রধান খেলোয়াড়দের কে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে? আসলে তাদের কেউ নয়। ওই
অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব পড়বে ভারতের ওপর, যার দুই-তৃতীয়াংশ তেল আসে পারস্য
উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে।
কিন্তু তারপরও নয়া দিল্লি প্রবল মাত্রায় নীরব। ভারত ১৯৯০-৯১ সালের প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠিয়েছিল, সম্ভাব্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিল, কিন্তু এবারের বিরোধে মধ্যস্ততা করার কোনো কূটনৈতিক উদ্যোগ বলতে গেলে নজরে আসেনি। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা উপসাগরীয় অঞ্চলের জ্বালানি রফতানিতে ক্রমাগত দীর্ঘ ছায়াপাত করছে।
আমেরিকান স্টিলথ বোমারু বিমান, মেরিন পরিবহন জাহাজ, একটি ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ ও অতিরিক্ত ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি এই অঞ্চলে ঘুরে বেড়ালেও হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে ইরান। এখন পর্যন্ত ছয়টি তেল ট্যাংকার ও সৌদি তেল পাইপলাইনগুলো মাইন ও ড্রোন হামলার টার্গেট হয়েছে। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ রাখার অবসান ঘটানোর ইরানের ঘোষণা (যা ছিল ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির সম্মত শর্ত) উত্তেজনা বাড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে।
ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জ্বালানি সরবরাহ ব্যাপকভাবে নির্ভর করছে উপসাগরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতার ওপর। ২০১৮ সালে ইরান তার মোট অপরিশোধিত তেলের ৮৪ আমদানি করেছে। আর এই আমদানির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ করেছে এই অঞ্চল থেকে। ভারতের বৃহত্তম দুই সরবরাহকারী ইরান ও ভেনেজুয়েলার ওপর তেল নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি তেল জায়ান্ট আরামকো দিনে দুই লাখ ব্যারেল পর্যন্ত তেল ভারতে সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু ইরান থেকে দিনে আনা হতো চার লাখ ৭৯ হাজার ব্যারেল। অর্থাৎ ইরান থেকে যে পরিমাণ আমদানি করা হতো, তা পূরণ হচ্ছে না। জরুরি মজুত আরেকটি সমস্যা। ভারতে ১০ দিনের প্রয়োজন পূরণের মতো মজুত থাকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি উপসাগরে ভারতীয় জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ পাঠিয়েছেন।
অর্থাৎ উত্তেজনা হ্রাসের মতো কূটনৈতিক সম্পদ রয়েছে ভারতের। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকার কারণে এই কাজে সে আছে ভালো অবস্থানে। সদ্য নিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই জটিলতা অবসানে আদর্শ ব্যক্তি হতে পারতেন। তিনি ২০১৩-১৫ সময়কালে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তাছাড়া তার ডক্টরেট করার বিষয় ছিল পরমাণু কূটনীতি।
ভারতের নিজের স্বার্থে ও জরুরি প্রয়োজন হওয়া সত্ত্বেও এই উত্তেজনা প্রশমনের কূটনীতিতে ভারত অনুপস্থিত কেন?
বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। আঞ্চলিক পর্যায়ে ভারতীয় নীতিনির্ধারকেরা উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা জটিলতার বিষয়টি বোঝেন। এখানে বিদ্যমান গভীর অবিশ্বাস এমন বৃত্তের সৃষ্টি করে যা অনেক সময়ই নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়, আমেরিকার অনিশ্চয়তাপূর্ণ আচরণ ও ইরানের অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতার ফলে ওই অবিশ্বাস যেকোনো সম্ভাব্য মধ্যস্ততাকারীর সাফল্য নস্যাৎ করে দিতে পারে। জুনে জাপানি পরিচালনায় থাকা একটি তেল ট্যাংকারে হামলায় তা স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছিল। মধ্যস্ততা প্রয়াসে জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের দুদিনের ইরান সফরের পরপরই ওই ঘটনা ঘটে।
সৌদি-ইরান প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে ভারসাম্য বিধান করা ভারতের জন্য একটি কঠিন কাজ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গতিশীলতা ও গত ৫ বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ওপর তার গুরুত্বারোপও যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্কের কূটনৈতিক মাইনফিল্ডে গভীরভাবে প্রবেশ করতে ইতস্তত করার একটি কারণ। অ্যাবের সফরের পরপরই জাপানি স্বার্থে আঘাতের কারণেই নয়া দিল্লি উপসাগরীয় অঞ্চলে ওই ধরনের ভূমিকা পালন থেকে বিরত থাকতে পারে।
উপসাগরীয় অঞ্চলের সংশয়পূর্ণ বাস্তবতা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের এখনকার শীতল সম্পর্কও এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কার্যকর করার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেইও ২২ এপ্রিল ঘোষণা করেন যে ইরান থেকে তেল আমদানির ওপর ছাড় বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে ভারতের জ্বালানি আমদানি কঠিন হয়ে পড়ে। ৩১ মে ভারতের বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা জিএসপি বাতিল করেন ট্রাম্প। এর জবাবে কয়েকটি মার্কিন পণ্যের ওপর করারোপ করে ভারত।
যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক নাজুক অবস্থায় থাকার ফলে উপসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের জোরালো কূটনৈতিক ভূমিকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
সবশেষে বলা যায়, ভারতীয় পররাষ্ট্র দফতরে সম্পদের ব্যাপক অভাব রয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের অবস্থান ও এর বৈশ্বিক উচ্চাভিলাষের তুলনায় ভারতের কূটনৈতিক বহর অনেক পিছিয়ে আছে। এমনকি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স বা জাপানের মতোও নয় তাদের কূটনৈতিক বহর। ফলে উপসাগরে কূটনৈতিক ভূমিকা গ্রহণ তাদের জন্য আরো সমস্যাই সৃষ্টি করবে।
ফলে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সমস্যা সমাধানে অন্তত নিজের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য ও উপসাগরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতার উপর নিজের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নির্ভর করায় ভারতের এগিয়ে আসাই ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু ইতিহাস যখন ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী দেখায়, তখন পেছনে থাকার ঐতিহ্যবাহী অবস্থানই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
কিন্তু তারপরও নয়া দিল্লি প্রবল মাত্রায় নীরব। ভারত ১৯৯০-৯১ সালের প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠিয়েছিল, সম্ভাব্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিল, কিন্তু এবারের বিরোধে মধ্যস্ততা করার কোনো কূটনৈতিক উদ্যোগ বলতে গেলে নজরে আসেনি। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা উপসাগরীয় অঞ্চলের জ্বালানি রফতানিতে ক্রমাগত দীর্ঘ ছায়াপাত করছে।
আমেরিকান স্টিলথ বোমারু বিমান, মেরিন পরিবহন জাহাজ, একটি ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ ও অতিরিক্ত ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি এই অঞ্চলে ঘুরে বেড়ালেও হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে ইরান। এখন পর্যন্ত ছয়টি তেল ট্যাংকার ও সৌদি তেল পাইপলাইনগুলো মাইন ও ড্রোন হামলার টার্গেট হয়েছে। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ রাখার অবসান ঘটানোর ইরানের ঘোষণা (যা ছিল ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির সম্মত শর্ত) উত্তেজনা বাড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে।
ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জ্বালানি সরবরাহ ব্যাপকভাবে নির্ভর করছে উপসাগরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতার ওপর। ২০১৮ সালে ইরান তার মোট অপরিশোধিত তেলের ৮৪ আমদানি করেছে। আর এই আমদানির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ করেছে এই অঞ্চল থেকে। ভারতের বৃহত্তম দুই সরবরাহকারী ইরান ও ভেনেজুয়েলার ওপর তেল নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি তেল জায়ান্ট আরামকো দিনে দুই লাখ ব্যারেল পর্যন্ত তেল ভারতে সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু ইরান থেকে দিনে আনা হতো চার লাখ ৭৯ হাজার ব্যারেল। অর্থাৎ ইরান থেকে যে পরিমাণ আমদানি করা হতো, তা পূরণ হচ্ছে না। জরুরি মজুত আরেকটি সমস্যা। ভারতে ১০ দিনের প্রয়োজন পূরণের মতো মজুত থাকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি উপসাগরে ভারতীয় জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ পাঠিয়েছেন।
অর্থাৎ উত্তেজনা হ্রাসের মতো কূটনৈতিক সম্পদ রয়েছে ভারতের। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকার কারণে এই কাজে সে আছে ভালো অবস্থানে। সদ্য নিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই জটিলতা অবসানে আদর্শ ব্যক্তি হতে পারতেন। তিনি ২০১৩-১৫ সময়কালে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তাছাড়া তার ডক্টরেট করার বিষয় ছিল পরমাণু কূটনীতি।
ভারতের নিজের স্বার্থে ও জরুরি প্রয়োজন হওয়া সত্ত্বেও এই উত্তেজনা প্রশমনের কূটনীতিতে ভারত অনুপস্থিত কেন?
বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। আঞ্চলিক পর্যায়ে ভারতীয় নীতিনির্ধারকেরা উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা জটিলতার বিষয়টি বোঝেন। এখানে বিদ্যমান গভীর অবিশ্বাস এমন বৃত্তের সৃষ্টি করে যা অনেক সময়ই নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়, আমেরিকার অনিশ্চয়তাপূর্ণ আচরণ ও ইরানের অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতার ফলে ওই অবিশ্বাস যেকোনো সম্ভাব্য মধ্যস্ততাকারীর সাফল্য নস্যাৎ করে দিতে পারে। জুনে জাপানি পরিচালনায় থাকা একটি তেল ট্যাংকারে হামলায় তা স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছিল। মধ্যস্ততা প্রয়াসে জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের দুদিনের ইরান সফরের পরপরই ওই ঘটনা ঘটে।
সৌদি-ইরান প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে ভারসাম্য বিধান করা ভারতের জন্য একটি কঠিন কাজ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গতিশীলতা ও গত ৫ বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ওপর তার গুরুত্বারোপও যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্কের কূটনৈতিক মাইনফিল্ডে গভীরভাবে প্রবেশ করতে ইতস্তত করার একটি কারণ। অ্যাবের সফরের পরপরই জাপানি স্বার্থে আঘাতের কারণেই নয়া দিল্লি উপসাগরীয় অঞ্চলে ওই ধরনের ভূমিকা পালন থেকে বিরত থাকতে পারে।
উপসাগরীয় অঞ্চলের সংশয়পূর্ণ বাস্তবতা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের এখনকার শীতল সম্পর্কও এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কার্যকর করার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেইও ২২ এপ্রিল ঘোষণা করেন যে ইরান থেকে তেল আমদানির ওপর ছাড় বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে ভারতের জ্বালানি আমদানি কঠিন হয়ে পড়ে। ৩১ মে ভারতের বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা জিএসপি বাতিল করেন ট্রাম্প। এর জবাবে কয়েকটি মার্কিন পণ্যের ওপর করারোপ করে ভারত।
যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক নাজুক অবস্থায় থাকার ফলে উপসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের জোরালো কূটনৈতিক ভূমিকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
সবশেষে বলা যায়, ভারতীয় পররাষ্ট্র দফতরে সম্পদের ব্যাপক অভাব রয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের অবস্থান ও এর বৈশ্বিক উচ্চাভিলাষের তুলনায় ভারতের কূটনৈতিক বহর অনেক পিছিয়ে আছে। এমনকি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স বা জাপানের মতোও নয় তাদের কূটনৈতিক বহর। ফলে উপসাগরে কূটনৈতিক ভূমিকা গ্রহণ তাদের জন্য আরো সমস্যাই সৃষ্টি করবে।
ফলে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সমস্যা সমাধানে অন্তত নিজের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য ও উপসাগরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতার উপর নিজের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নির্ভর করায় ভারতের এগিয়ে আসাই ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু ইতিহাস যখন ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী দেখায়, তখন পেছনে থাকার ঐতিহ্যবাহী অবস্থানই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
No comments