অমিত সম্ভাবনার শূটিং এখন ছন্নছাড়া_ তবুও আশার আলো!
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে ১৯৯৩ সালের কমনওয়েলথ গেমসে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে আতিক-নিনির স্বর্ণ জয়ের মধ্যে দিয়ে এদেশের শূটিংয়ের অগ্রযাত্রা শুরম্ন। অর্থাৎ রাতারাতি আলোচনায় এবং সাধারণের খুব কাছাকাছি চলে আসে এই ক্রীড়া।
পরবর্তীতে সাফল্যের আগ্রযাত্রার সোপান তৈরি হয়। বিদেশের মাটিতে, বিশেষ করে মহাদেশীয় অঞ্চলের ক্রীড়ায় সাফল্যের স্বাৰরও রাখেন এদেশের শূটাররা। কিন্তু অমিত সম্ভাবনার এই শূটিং এখন দশবাও পানির নিচে। শূটারদের সাফল্যকে পুঁজি করে কর্মকর্তা রূপী একশ্রেণীর ধান্ধাবাজের খপ্পরে পড়ে অগ্রযাত্রা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ক্রীড়ার নামে অস্ত্র, গুলি আমদানি করে তা খোলাবাজারে বিক্রির মাধ্যমে ফেডারশনকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়। যার মাসুল আজকের এই পরিণতি, বুকে হাত দিয়ে স্বর্ণের কথা বলার অবস্থা নেই কারও মধ্যে। যদি মৃতপ্রায় এই ক্রীড়াকে আবার জাগিয়ে তুলতে বর্তমান কমিটির রয়েছে প্রাণানত্ম চেষ্টা। এখন তাদের এই পরিশ্রম, চেষ্টা কতটুকু বাসত্মবরূপ লাভ করে তারই প্রমাণ মিলবে এবারের এসএ গেমসের আসরে। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ বাবলু আশা করছেন শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত গত এসএ গেমসে ব্যর্থতা শূটাররা কাটিয়ে উঠবেন। স্বর্ণখনি বলে বিবেচিত শূটিংকে কলম্বোতে এয়ার রাইফেলের মেয়েদের ইভেন্টে দুই রৌপ্য নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। তবে সেই ব্যর্থতা কাটিয়ে এবার নিজ মাটিতে এসএ গেমসে শূটিং ফেডারেশন স্বর্ণের প্রত্যাশা করছে। গত বছর ৩ জানুয়ারি থেকে শূটিং দলের প্রশিৰণ একজন চীনা কোচের অধীনে শুরম্ন হলেও সেটা দীর্ঘায়িত হয়নি। স্থানীয় ৩ জন কোচ এবং পরবর্তী সময়ে ২ জন স্থানীয় শূটিং কনসালট্যান্ট এবং ২ জন স্থানীয় কোচ নিয়োগের মাধ্যমে প্রশিৰণ শিবির চালু রাখা হয়। গত ৪ অক্টোবর থেকে কোরিয়ান কোচ হুয়াং ইন কাউনের নেতৃত্বে শূটারদের প্রশিৰণ কার্যক্রম চলছে। ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে গুলশানস্থ জাতীয় শূটিং কমপেস্নক্সের নির্মাণ, সংস্কার কাজ করা হয়েছে। সাভারে জাতীয় শটগান রেঞ্জের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এসএ গেমসের চূড়ানত্ম দলে রাইফেলের পুরম্নষ ও মহিলা বিভাগের ২২ জন শূটারের মধ্যে ১৮ জন এসএ গেমসে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছেন। স্কিট শূটিংয়ে ৩জনসহ রাইফেল ও পিসত্মল ইভেন্টে ৭ জন শূটারের এসএ গেমসে অংশ নেবার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশের আশার ইভেন্ট হয়ে থাকছে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্ট। জার্মানিতে নিয়ে সর্বোচ্চ প্রশিৰণের সুবিধা দেয়া সত্ত্বেও কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণজয়ী আসিফ হোসেন খানের স্কোরের ক্রমাবনতি, তারপরও তিনি কি করতে পারেন সেদিকে তাকিয়ে সবাই।
No comments