পাসে ছেলেদের, জিপিএ ৫-এ মেয়েদের রাজত্ব
এবার রেকর্ড সৃষ্টি করেছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে। গতকাল একসঙ্গে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা, ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
৪টি পরীক্ষার ফলেই পাসের হারে ছেলেরা ও জিপিএ ৫-এর সংখ্যায় মেয়েরা এগিয়ে। জেএসসি-জেডিসিতে পাসের হার ৮৬.৯৭ ভাগ। এর মধ্যে ছেলেদের পাসের হার ৮৮.০১ ভাগ এবং মেয়েদের পাসের হার ৮৬.০১ ভাগ। ৮টি স্কুল বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬ হাজার ৯৪২ জন। এরমধ্যে ২৩ হাজার ৯৬৬ জন মেয়ে জিপিএ-৫ এবং ২২ হাজার ৯৭৬ জন ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ২২০ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে মেয়ে ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৪৭ জন। আর ছেলে ১ লাখ ৬ হাজার ৬৭৩ জন। প্রাথমিকে অংশগ্রহণের দিক দিয়ে মেয়েরা এগিয়ে থাকলেও পাসের হারে ছেলেরা এগিয়ে। ছেলেদের পাসের হার ৯৭.৫৩ ভাগ এবং মেয়েদের পাসের হার ৯৭.১৯ ভাগ। ইবতেদায়ীতে ছাত্রদের পাসের হার ৯৩.২৮ ভাগ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৯১.৭১ ভাগ। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় রেকর্ডসংখ্যক ৪৬ হাজার ৯৪৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ সংখ্যা গতবারের চেয়ে ১৬ হাজার ৯০ জন বেশি। গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩০ হাজার ৮৫২ জন। জেএসসি-জেডিসিতে পাসের হার ৮৬.৯৭ ভাগ- যা গত বছরের চেয়ে ৩.২৬ ভাগ বেশি। এবার প্রাথমিক সমাপনীতে (৫ম শ্রেণীতে) জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ২২০ জন শিক্ষার্থী- যা গত বছরের চেয়ে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৭ জন বেশি। গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৬৭৩ জন। এবার প্রাথমিকে পাসের হার ৯৭.৩৫ ভাগ। ইবতেদায়ীতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯২০ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯২.৪৫ ভাগ। ৪টি পরীক্ষা মিলে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া, একসঙ্গে ৪টি পরীক্ষার ফল প্রকাশের বিষয়টিও নতুন এক রেকর্ড। গতকাল একসঙ্গে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা, ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আফছারুল আমীন গতকাল সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দুই পরীক্ষার ফলের অনুলিপি তুলে দেন। এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, শিক্ষা সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব (ভারপ্রাপ্ত) এমএম নিয়াজউদ্দিন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান-উর রশীদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব- কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ফাহিমা খাতুনসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী সচিবালয়ে আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে দুই পরীক্ষার ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
জেএসসি: ২০১২ সালের ৪ঠা নভেম্বর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ১৫ই নভেম্বর। ৪১ দিন পর এ পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হলো। ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪৭২ জন শিক্ষার্থী তালিকাভুক্ত হয়। এরমধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৫ লাখ ৭ হাজার ৬৭৫ জন। পাস করে ১২ লাখ ৯৮ হাজার ১৮৮ জন। পাসের হার ৮৬.১১। যা গত বছরের চেয়ে ৩.৪৪ ভাগ বেশি। গতবছর পাসের হার ছিল ৮২.৬৭ ভাগ। এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪ হাজার ১৫৮ জন। এ সংখ্যা গতবছরের চেয়ে ১৪ হাজার ৩২০ জন বেশি। ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬ হাজার ৯৪২ জন। জিপিএ-৫ এর থেকে জিপিএ-৪ পেয়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৮২০ জন। জিপিএ-৪ এর থেকে জিপিএ ৩.৫ পেয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৬৫১ জন। জিপিএ ৩.৫ এর থেকে জিপিএ ৩ পেয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৭১৫ জন, জিপিএ ৩ এর থেকে জিপিএ-২ পেয়েছে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮৯২ জন, জিপিএ ২ এর থেকে জিপিএ-১ পেয়েছে ৮০ হাজার ৭৩০ জন। সব বোর্ডে মিলে ১৯ লাখ ১০ হাজার ৫০৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য তালিকাভুক্ত হয়। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৮ লাখ ৪১ হাজার ৭২৬ জন। এরমধ্যে পাস করে ১৬ লাখ ১ হাজার ৭৫০ জন। সাধারণ বোর্ডে পাসের হার ৮৬.১১ ভাগ এবং মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০.৮৭ ভাগ।
মাদরাসা বোর্ড: মোট ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩৬ জন শিক্ষার্থী তালিকাভুক্ত হয়ে জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫১ জন। যা গত বছরের চেয়ে ২৪ হাজার ১৪৯ জন বেশি। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ জন। সব বিষয়ে পাস করেছে ৩ লাখ ৩ হাজার ৫৬২ জন। পাসের হার ৯০.৮৭। যা গত বছরের চেয়ে ২.১৬ ভাগ বেশি। গতবছর পাসের হার ছিল ৮৮.৭১ ভাগ।
বিদেশ কেন্দ্র: বিদেশের ৭টি কেন্দ্রে ৩৬২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৫২ জন। পাসের হার ৯৭.২৪ ভাগ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ জন।
ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পার্থক্য: পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দিক দিয়ে ছাত্রীরা এগিয়ে থাকলেও পাসের হারে ছাত্ররা এগিয়ে। জেএসসি-জেডিসিতে ছাত্রদের পাসের হার ৮৮.০১ ভাগ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৮৬.০৪ ভাগ। মোট পাসের হার ৮৬.৯৭। তবে জিপিএ-৫ এর সংখ্যার দিক দিয়ে ছাত্রীরা এগিয়ে। ২৩ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে এবং ২২ হাজার ৯৭৬ জন ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে। মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৮ লাখ ৩৭ হাজার ১১৮ জন এবং ছাত্র ৭ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩২ জন। মোট ১৮ লাখ ৪১ হাজার ৭২৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে ছেলে ৮ লাখ ৬৮ হাজার ৭৯০ জন এবং মেয়ে ৯ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৬ জন।
শতভাগ উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠান: এবার সব বোর্ডে শতভাগ উত্তীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪৮৯৯টি। এরমধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৫০২টি, রাজশাহী বোর্ডে ৩৩৫টি, কুমিল্লা বোর্ডে ৪১১টি, যশোর বোর্ডে ২৫৭টি, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৫৮টি, বরিশাল বোর্ডে ৫৯৯টি, সিলেট বোর্ডে ১৫৯টি, দিনাজপুর বোর্ডে ৪৭৬টি এবং মাদরাসা বোর্ডে ২১০২টি। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ১৮৩১টি।
শতভাগ ফেল প্রতিষ্ঠান: শতভাগ ফেল করেছে ৮৫টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে ঢাকা বোর্ডে ১০টি, রাজশাহী বোর্ডে ১৩টি, যশোর বোর্ডে ৭টি, বরিশাল বোর্ডে ৩টি, দিনাজপুর বোর্ডে ২২টি এবং মাদরাসা বোর্ডে ৩০টি।
মোট বহিষ্কার: সব বোর্ডে এবার ৫০৯ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে পরীক্ষায়। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ২৭৫ জন। গতবছরের চেয়ে এবছর ২৩৪ জন শিক্ষার্থী বেশি বহিষ্কার হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে ১ জন ও সবচেয়ে বেশি দিনাজপুর বোর্ডে ২৭২ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে।
প্রাথমিক সমাপনী: এবার ৫ম শ্রেণীতে রেকর্ডসংখ্যক ২ লাখ ৩০ হাজার ২২০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৬৭৩ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৩৫ ভাগ। গতবছর পাসের হার ছিল ৯৭.২৬ ভাগ। ২০১২ সালের ২১ শে নভেম্বর প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হয় ২৯শে নভেম্বর। ২৮ দিনের মাথায় পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। দেশের বাইরে ৮টিসহ ৬ হাজার ১৭৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন ধরনের ৯২ হাজার ৩২৮টি স্কুলের মোট ২৬ লাখ ৪১ হাজার ৯০৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য তালিকাভুক্ত হয়। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৪ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছাত্র ১১ লাখ ২৫ হাজার ৮৩৪ জন এবং ছাত্রী ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৮৫ জন। মোট ২৪ লাখ ১৫ হাজার ৩৪১ জন শিক্ষার্থী সব বিষয়ে পাস করেছে। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৭৩ জন এবং ছাত্রী ১৩ লাখ ১৭ হাজার ২৬৮ জন। জিপিএ-৫ ছাড়াও জিপিএ-৪ থেকে জিপিএ-৫ এর কম পেয়েছে ৬ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮৩ জন, জিপিএ-৩.৫ থেকে জিপিএ-৪ এর কম পেয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৯০৭ জন, জিপিএ-৩ থেকে জিপিএ-৩.৫ এর কম পেয়েছে ৪ লাখ ১৭ হাজার ৯৯ জন, জিপিএ-২ থেকে ৩ এর কম পেয়েছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯৬৮ জন, জিপিএ-১ থেকে ২ এর কম পেয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৪ জন।
পাসের হারে ছেলেরা এগিয়ে: প্রাথমিকে অংশগ্রহণের দিক দিয়ে মেয়েরা এগিয়ে থাকলেও পাসের হারে ছেলেরা এগিয়ে। ছেলেদের পাসের হার ৯৭.৫৩ ভাগ এবং মেয়েদের পাসের হার ৯৭.১৯ ভাগ।
ঢাকার শীর্ষ ৩ প্রতিষ্ঠান: ডিআরভুক্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা, অনুপস্থিতির হার, জিপিএ-৫ প্রাপ্তি এবং পাসের হারের ভিত্তিতে ঢাকার মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ শীর্ষ স্থান দখল করেছে। দ্বিতীয় স্থানে ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল ও ৩য় স্থান দখল করেছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
কোন বিদ্যালয়ে কত ভাগ পাস: পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের পাসের হার সর্বোচ্চ ৯৯ দশমিক ৮৯ ভাগ। অন্যান্য বিদ্যালয়ের মধ্যে ব্র্যাক পরিচালিত বিদ্যালয়ে ৯৯.৭৩ ভাগ, কিন্ডারগার্টেন ৯৮.৮৩ ভাগ, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৮.৫৬ ভাগ, উচ্চ বিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৮.৪৭ ভাগ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৭.৬৯ ভাগ, রেজি. বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৫.৮৭ ভাগ, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৫.৭০ ভাগ, শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৩.৫২ ভাগ এবং আনন্দ স্কুলে ৮২.২৯ ভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
শীর্ষ ও নিম্ন বিভাগ ও জেলা: পাসের হারের বিবেচনায় শীর্ষ স্থান দখল করেছে বরিশাল বিভাগ। এ বিভাগে পাসের হার ৯৯.১৯ ভাগ। ৬৪টি জেলার মধ্যে লালমনিরহাট শীর্ষ স্থান দখল করেছে। এ বিভাগে পাসের হার শত ভাগ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যশোর বিভাগ। এ বিভাগে পাসের হার ৯৯.১৭ ভাগ। ৫০৫টি উপজেলা-থানার মধ্যে ৩৯টিতে শতভাগ পাস করেছে। পাসের হারের দিক দিয়ে সর্বনিম্ন সিরাজগঞ্জে ৯১.৯৮ ভাগ পাস করেছে। ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাছিরনগর উপজেলার পাসের হার সর্বনিম্ন ৭৮.২৯ ভাগ।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী: সারা দেশের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ৫৫০২ জন শিক্ষার্থী ডিআরভুক্ত (তালিকাভুক্ত) হয়। তাদের মধ্য থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৪৯৭৯ জন। পাস করেছে ৪৭৯৪ জন। পাসের হার ৯৬.২৮ ভাগ।
ইংরেজি ভার্সন: সারা দেশে ইংরেজি ভার্সনে ৪৭৫১ জন শিক্ষার্থী ডিআরভুক্ত হয়। তারমধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৪৫৩৮ জন। পাস করেছে ৪৫১১ জন। পাসের হার ৯৯.৪১ ভাগ।
ইবতেদায়ী: ইবতেদায়ীতে ৯২ দশমিক ৪৫ ভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে এ বছর। গতবছর এ হার ছিল ৯১.২৮ ভাগ। ২ ধরনের ১১ হাজার ৬০২টি প্রতিষ্ঠানের ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৬৯ জন শিক্ষার্থী তালিকাভুক্ত হলেও পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭৩ জন। এরমধ্যে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৪৯৪ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৯২০ জন। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১৫০ জন। জিপিএ-৪ থেকে জিপিএ-৫ এর কম পেয়েছে ৩৯ হাজার ৬৩৪ জন, জিপিএ ৩.৫ থেকে জিপিএ-৪ এর কম পেয়েছে ৪৬ হাজার, জিপিএ-৩ থেকে জিপিএ ৩.৫ এর কম পেয়েছে ৫৪ হাজার ১৮৬ জন, জিপিএ-২ থেকে জিপিএ-৩ এর কম পেয়েছে ৮৫ হাজার ২৭৭ জন, জিপিএ-১ থেকে ২ এর কম পেয়েছে ২৭ হাজার ৪৭৭ জন। ইবতেদায়ীতে অংশগ্রহণের দিক দিয়ে ছাত্রীরা এগিয়ে থাকলেও পাসের হারে ছাত্ররা এগিয়ে। ছাত্রদের পাসের হার ৯৩.২৮ ভাগ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৯১.৭১ ভাগ। পাসের হারে সংযুক্ত ইবতেদায়ীতে ৯১.৩২ ভাগ এবং স্বতন্ত্র ইবতেদায়ীতে ৯২.৬২ ভাগ।
সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বিভাগ-জেলা: পাসের হারে বরিশাল শীর্ষ স্থান দখল করেছে। এ বিভাগে পাসের হার ৯৬.৭৩ ভাগ ও জেলার মধ্যে বরগুনা জেলা ৯৯.৬৭ ভাগ নিয়ে শীর্ষ স্থান দখল করেছে। ৫০৫টি উপজেলা-থানার মধ্যে ৪৩টি উপজেলায় শতভাগ পাস করেছে। পাসের হারের দিক দিয়ে গোপালগঞ্জ জেলা সর্বনিম্ন ৬৯.৮৩ ভাগ পাস করেছে। হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলায় পাসের হার সর্বনিম্ন ৫০.৯৮ ভাগ।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী: সারা দেশের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ৮১৮ জন শিক্ষার্থী ডিআরভুক্ত হয়ে ৭৪৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৬১৪ জন। পাসের হার ৮২.৩১ ভাগ।
শতভাগ ফেল ও পাস বিদ্যালয়: প্রাথমিকের ৭১০টি প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৯০৯ জন। শতভাগ ফেল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বোচ্চ আনন্দ স্কুল ২৬২টি এবং সর্বনিম্ন শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ১টি। এছাড়া শতভাগ পাস বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭২ হাজার ২২৭টি।
জেএসসি: ২০১২ সালের ৪ঠা নভেম্বর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ১৫ই নভেম্বর। ৪১ দিন পর এ পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হলো। ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪৭২ জন শিক্ষার্থী তালিকাভুক্ত হয়। এরমধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৫ লাখ ৭ হাজার ৬৭৫ জন। পাস করে ১২ লাখ ৯৮ হাজার ১৮৮ জন। পাসের হার ৮৬.১১। যা গত বছরের চেয়ে ৩.৪৪ ভাগ বেশি। গতবছর পাসের হার ছিল ৮২.৬৭ ভাগ। এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪ হাজার ১৫৮ জন। এ সংখ্যা গতবছরের চেয়ে ১৪ হাজার ৩২০ জন বেশি। ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬ হাজার ৯৪২ জন। জিপিএ-৫ এর থেকে জিপিএ-৪ পেয়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৮২০ জন। জিপিএ-৪ এর থেকে জিপিএ ৩.৫ পেয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৬৫১ জন। জিপিএ ৩.৫ এর থেকে জিপিএ ৩ পেয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৭১৫ জন, জিপিএ ৩ এর থেকে জিপিএ-২ পেয়েছে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮৯২ জন, জিপিএ ২ এর থেকে জিপিএ-১ পেয়েছে ৮০ হাজার ৭৩০ জন। সব বোর্ডে মিলে ১৯ লাখ ১০ হাজার ৫০৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য তালিকাভুক্ত হয়। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৮ লাখ ৪১ হাজার ৭২৬ জন। এরমধ্যে পাস করে ১৬ লাখ ১ হাজার ৭৫০ জন। সাধারণ বোর্ডে পাসের হার ৮৬.১১ ভাগ এবং মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০.৮৭ ভাগ।
মাদরাসা বোর্ড: মোট ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩৬ জন শিক্ষার্থী তালিকাভুক্ত হয়ে জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫১ জন। যা গত বছরের চেয়ে ২৪ হাজার ১৪৯ জন বেশি। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ জন। সব বিষয়ে পাস করেছে ৩ লাখ ৩ হাজার ৫৬২ জন। পাসের হার ৯০.৮৭। যা গত বছরের চেয়ে ২.১৬ ভাগ বেশি। গতবছর পাসের হার ছিল ৮৮.৭১ ভাগ।
বিদেশ কেন্দ্র: বিদেশের ৭টি কেন্দ্রে ৩৬২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৫২ জন। পাসের হার ৯৭.২৪ ভাগ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ জন।
ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পার্থক্য: পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দিক দিয়ে ছাত্রীরা এগিয়ে থাকলেও পাসের হারে ছাত্ররা এগিয়ে। জেএসসি-জেডিসিতে ছাত্রদের পাসের হার ৮৮.০১ ভাগ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৮৬.০৪ ভাগ। মোট পাসের হার ৮৬.৯৭। তবে জিপিএ-৫ এর সংখ্যার দিক দিয়ে ছাত্রীরা এগিয়ে। ২৩ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে এবং ২২ হাজার ৯৭৬ জন ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে। মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৮ লাখ ৩৭ হাজার ১১৮ জন এবং ছাত্র ৭ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩২ জন। মোট ১৮ লাখ ৪১ হাজার ৭২৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে ছেলে ৮ লাখ ৬৮ হাজার ৭৯০ জন এবং মেয়ে ৯ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৬ জন।
শতভাগ উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠান: এবার সব বোর্ডে শতভাগ উত্তীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪৮৯৯টি। এরমধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৫০২টি, রাজশাহী বোর্ডে ৩৩৫টি, কুমিল্লা বোর্ডে ৪১১টি, যশোর বোর্ডে ২৫৭টি, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৫৮টি, বরিশাল বোর্ডে ৫৯৯টি, সিলেট বোর্ডে ১৫৯টি, দিনাজপুর বোর্ডে ৪৭৬টি এবং মাদরাসা বোর্ডে ২১০২টি। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ১৮৩১টি।
শতভাগ ফেল প্রতিষ্ঠান: শতভাগ ফেল করেছে ৮৫টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে ঢাকা বোর্ডে ১০টি, রাজশাহী বোর্ডে ১৩টি, যশোর বোর্ডে ৭টি, বরিশাল বোর্ডে ৩টি, দিনাজপুর বোর্ডে ২২টি এবং মাদরাসা বোর্ডে ৩০টি।
মোট বহিষ্কার: সব বোর্ডে এবার ৫০৯ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে পরীক্ষায়। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ২৭৫ জন। গতবছরের চেয়ে এবছর ২৩৪ জন শিক্ষার্থী বেশি বহিষ্কার হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে ১ জন ও সবচেয়ে বেশি দিনাজপুর বোর্ডে ২৭২ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে।
প্রাথমিক সমাপনী: এবার ৫ম শ্রেণীতে রেকর্ডসংখ্যক ২ লাখ ৩০ হাজার ২২০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৬৭৩ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৩৫ ভাগ। গতবছর পাসের হার ছিল ৯৭.২৬ ভাগ। ২০১২ সালের ২১ শে নভেম্বর প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হয় ২৯শে নভেম্বর। ২৮ দিনের মাথায় পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। দেশের বাইরে ৮টিসহ ৬ হাজার ১৭৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন ধরনের ৯২ হাজার ৩২৮টি স্কুলের মোট ২৬ লাখ ৪১ হাজার ৯০৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য তালিকাভুক্ত হয়। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৪ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছাত্র ১১ লাখ ২৫ হাজার ৮৩৪ জন এবং ছাত্রী ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৮৫ জন। মোট ২৪ লাখ ১৫ হাজার ৩৪১ জন শিক্ষার্থী সব বিষয়ে পাস করেছে। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৭৩ জন এবং ছাত্রী ১৩ লাখ ১৭ হাজার ২৬৮ জন। জিপিএ-৫ ছাড়াও জিপিএ-৪ থেকে জিপিএ-৫ এর কম পেয়েছে ৬ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮৩ জন, জিপিএ-৩.৫ থেকে জিপিএ-৪ এর কম পেয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৯০৭ জন, জিপিএ-৩ থেকে জিপিএ-৩.৫ এর কম পেয়েছে ৪ লাখ ১৭ হাজার ৯৯ জন, জিপিএ-২ থেকে ৩ এর কম পেয়েছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯৬৮ জন, জিপিএ-১ থেকে ২ এর কম পেয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৪ জন।
পাসের হারে ছেলেরা এগিয়ে: প্রাথমিকে অংশগ্রহণের দিক দিয়ে মেয়েরা এগিয়ে থাকলেও পাসের হারে ছেলেরা এগিয়ে। ছেলেদের পাসের হার ৯৭.৫৩ ভাগ এবং মেয়েদের পাসের হার ৯৭.১৯ ভাগ।
ঢাকার শীর্ষ ৩ প্রতিষ্ঠান: ডিআরভুক্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা, অনুপস্থিতির হার, জিপিএ-৫ প্রাপ্তি এবং পাসের হারের ভিত্তিতে ঢাকার মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ শীর্ষ স্থান দখল করেছে। দ্বিতীয় স্থানে ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল ও ৩য় স্থান দখল করেছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
কোন বিদ্যালয়ে কত ভাগ পাস: পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের পাসের হার সর্বোচ্চ ৯৯ দশমিক ৮৯ ভাগ। অন্যান্য বিদ্যালয়ের মধ্যে ব্র্যাক পরিচালিত বিদ্যালয়ে ৯৯.৭৩ ভাগ, কিন্ডারগার্টেন ৯৮.৮৩ ভাগ, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৮.৫৬ ভাগ, উচ্চ বিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৮.৪৭ ভাগ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৭.৬৯ ভাগ, রেজি. বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৫.৮৭ ভাগ, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৫.৭০ ভাগ, শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৩.৫২ ভাগ এবং আনন্দ স্কুলে ৮২.২৯ ভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
শীর্ষ ও নিম্ন বিভাগ ও জেলা: পাসের হারের বিবেচনায় শীর্ষ স্থান দখল করেছে বরিশাল বিভাগ। এ বিভাগে পাসের হার ৯৯.১৯ ভাগ। ৬৪টি জেলার মধ্যে লালমনিরহাট শীর্ষ স্থান দখল করেছে। এ বিভাগে পাসের হার শত ভাগ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যশোর বিভাগ। এ বিভাগে পাসের হার ৯৯.১৭ ভাগ। ৫০৫টি উপজেলা-থানার মধ্যে ৩৯টিতে শতভাগ পাস করেছে। পাসের হারের দিক দিয়ে সর্বনিম্ন সিরাজগঞ্জে ৯১.৯৮ ভাগ পাস করেছে। ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাছিরনগর উপজেলার পাসের হার সর্বনিম্ন ৭৮.২৯ ভাগ।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী: সারা দেশের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ৫৫০২ জন শিক্ষার্থী ডিআরভুক্ত (তালিকাভুক্ত) হয়। তাদের মধ্য থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৪৯৭৯ জন। পাস করেছে ৪৭৯৪ জন। পাসের হার ৯৬.২৮ ভাগ।
ইংরেজি ভার্সন: সারা দেশে ইংরেজি ভার্সনে ৪৭৫১ জন শিক্ষার্থী ডিআরভুক্ত হয়। তারমধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৪৫৩৮ জন। পাস করেছে ৪৫১১ জন। পাসের হার ৯৯.৪১ ভাগ।
ইবতেদায়ী: ইবতেদায়ীতে ৯২ দশমিক ৪৫ ভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে এ বছর। গতবছর এ হার ছিল ৯১.২৮ ভাগ। ২ ধরনের ১১ হাজার ৬০২টি প্রতিষ্ঠানের ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৬৯ জন শিক্ষার্থী তালিকাভুক্ত হলেও পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭৩ জন। এরমধ্যে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৪৯৪ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৯২০ জন। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১৫০ জন। জিপিএ-৪ থেকে জিপিএ-৫ এর কম পেয়েছে ৩৯ হাজার ৬৩৪ জন, জিপিএ ৩.৫ থেকে জিপিএ-৪ এর কম পেয়েছে ৪৬ হাজার, জিপিএ-৩ থেকে জিপিএ ৩.৫ এর কম পেয়েছে ৫৪ হাজার ১৮৬ জন, জিপিএ-২ থেকে জিপিএ-৩ এর কম পেয়েছে ৮৫ হাজার ২৭৭ জন, জিপিএ-১ থেকে ২ এর কম পেয়েছে ২৭ হাজার ৪৭৭ জন। ইবতেদায়ীতে অংশগ্রহণের দিক দিয়ে ছাত্রীরা এগিয়ে থাকলেও পাসের হারে ছাত্ররা এগিয়ে। ছাত্রদের পাসের হার ৯৩.২৮ ভাগ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৯১.৭১ ভাগ। পাসের হারে সংযুক্ত ইবতেদায়ীতে ৯১.৩২ ভাগ এবং স্বতন্ত্র ইবতেদায়ীতে ৯২.৬২ ভাগ।
সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বিভাগ-জেলা: পাসের হারে বরিশাল শীর্ষ স্থান দখল করেছে। এ বিভাগে পাসের হার ৯৬.৭৩ ভাগ ও জেলার মধ্যে বরগুনা জেলা ৯৯.৬৭ ভাগ নিয়ে শীর্ষ স্থান দখল করেছে। ৫০৫টি উপজেলা-থানার মধ্যে ৪৩টি উপজেলায় শতভাগ পাস করেছে। পাসের হারের দিক দিয়ে গোপালগঞ্জ জেলা সর্বনিম্ন ৬৯.৮৩ ভাগ পাস করেছে। হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলায় পাসের হার সর্বনিম্ন ৫০.৯৮ ভাগ।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী: সারা দেশের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ৮১৮ জন শিক্ষার্থী ডিআরভুক্ত হয়ে ৭৪৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৬১৪ জন। পাসের হার ৮২.৩১ ভাগ।
শতভাগ ফেল ও পাস বিদ্যালয়: প্রাথমিকের ৭১০টি প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৯০৯ জন। শতভাগ ফেল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বোচ্চ আনন্দ স্কুল ২৬২টি এবং সর্বনিম্ন শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ১টি। এছাড়া শতভাগ পাস বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭২ হাজার ২২৭টি।
No comments