যানজটে বছরে ক্ষতি ॥ ২০ হাজার কোটি টাকা- ০ নষ্ট হচ্ছে ৩২ লাখ ঘণ্টা বাণিজ্যিক সময়- ০ শীঘ্রই কমিউটার ট্রেন সার্ভিসসহ রাজধানীর আশপাশের জেলাগুলোকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরামর্শ
রাজধানীতে যানজটের কারণে প্রতিদিন ৩২ লাখ ঘণ্টা বাণিজ্যিক সময় (বিজনেস আওয়ার) নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে ট্রাফিক জ্যামের কারণে বছরে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। যাত্রীদের ক্ষেত্রে যা ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যবসা-শিল্প ও রফতানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ৪ হাজার কোটি টাকা।
এছাড়া পরিবেশগত ক্ষতি দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা। জ্বালানি, দুর্ঘটনা ও মেডিক্যালসহ বিভিন্ন খাতে বাকি অর্থ অপচয় হয়ে থাকে। সমস্যা সমাধানে ঢাকা মহানগরীসহ আশপাশের জেলাগুলোকে দ্রুতগতির রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন বিভিন্ন সেক্টরের বিশেষজ্ঞরা। শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) পুরকৌশল বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে আইইবি ভবন কাউন্সিল হলে ‘কস্ট অব ট্রাফিক কনজেনশন ইন ঢাকা সিটি এ্যান্ড ইট্স ইম্পিøকেশন অন বিজনেস’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এ মত প্রকাশ করেন।
বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা বলেন, যানজটের কারণে বছরে জ্বালানি নষ্ট হচ্ছে প্রায় ১১ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকার। এর মধ্যে বাসের জ্বালানি নষ্ট হয় প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার। ট্যাক্সি, অটোরিকশাসহ অটোটেম্পোর জ্বালানি নষ্ট হচ্ছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার। এছাড়াও প্রাইভেটকারের জ্বালানি নষ্ট হচ্ছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী এমপি বলেন, যানজটের দিক থেকেও রাজধানী ঢাকা এখন চলাচলের অযোগ্য। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের কারণে রাস্তায় আটকে থাকতে হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে নগরবাসীকে পরিত্রাণ দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর বলেন, ঢাকা মহানগরীর সকল সমস্যা সমাধানে নগর সরকার গঠনের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক প্রকৌশলী আবু তাহের বলেন, একটি পরিকল্পিত রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মহানগরীর যোগাযোগ অবকাঠামো তৈরি করে জনপরিবহনে আমূল পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। টঙ্গী-ঢাকা রেলপথ তিন লেন এবং ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ দুই লেন বিশিষ্ট করে কমিউটার ট্রেন চালু করে এবং মেট্রো রেলওয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে যানজট অনেকাংশে দূর করা সম্ভব।
আরএইচডির নির্বাহী প্রকৌশলী এবং ট্রান্সপোর্ট পলিসি রিসার্চার প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর দেশের জিডিপিতে প্রায় ৩৫ শতাংশ অবদান রাখে। যানজট নিরসন করা গেলে তা প্রায় আড়াই গুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব। এজন্য ওভারপাস, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল তৈরি করা ছাড়াও ট্রাফিক ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা জরুরী।
তিনি জানান, যানজটের কারণে ঢাকা শহরে প্রতিদিন ৩২ লাখ ঘণ্টা বাণিজ্যিক সময় নষ্ট হচ্ছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। তাই যানজট নিরসন করতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই। কারণ একটি উন্নয়নশীল দেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ যদি যানজটের কারণে নষ্ট হয়, তাহলে সে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি বাড়তে পারে না। তাছাড়া দেশের ৬৪ জেলা শহরের মধ্যে একটি শহর বিভিন্ন দিক থেকে বসবাসের অযোগ্য হতে চলেছে। তাই সরকারের উচিত যে কোন মূল্যে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটিকে রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেয়া।
গোলটেবিল ওয়ার্কশপে সভাপতিত্ব করেন আইইবি পুরকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আজিম জোয়ার্দার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার। সেমিনারে প্রকৌশলী, সাংবাদিক, এ্যাডভোকেটসহ বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ঢাকা শহরে এখন বাইরে বের হলেই যানজটের মুখে পড়তে হয়। এ সমস্যার সমাধান রয়েছে রেল ব্যবস্থার উন্নয়নে। দেশের রেল ব্যবস্থা ঠিক করতে পারলে এবং রেললাইন বাড়ানো হলে রাজধানীতে যানজটের কারণে আর অযথা সময় নষ্ট হবে না। সরকারও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।
বক্তারা বলেন, পৃথিবীর কোথাও রেললাইনের ওপর লেভেল ক্রসিং নেই। এসব বৈধ-অবৈধ লেভেল ক্রসিংই রাজধানীতে যানজটের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, যানজট নিরসনে সরকারীভাবে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন গতি খুবই মন্থর। সরকারের গৃহীত প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে ঢাকায় আর যানজট থাকবে না।
বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা বলেন, যানজটের কারণে বছরে জ্বালানি নষ্ট হচ্ছে প্রায় ১১ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকার। এর মধ্যে বাসের জ্বালানি নষ্ট হয় প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার। ট্যাক্সি, অটোরিকশাসহ অটোটেম্পোর জ্বালানি নষ্ট হচ্ছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার। এছাড়াও প্রাইভেটকারের জ্বালানি নষ্ট হচ্ছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী এমপি বলেন, যানজটের দিক থেকেও রাজধানী ঢাকা এখন চলাচলের অযোগ্য। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের কারণে রাস্তায় আটকে থাকতে হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে নগরবাসীকে পরিত্রাণ দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর বলেন, ঢাকা মহানগরীর সকল সমস্যা সমাধানে নগর সরকার গঠনের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক প্রকৌশলী আবু তাহের বলেন, একটি পরিকল্পিত রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মহানগরীর যোগাযোগ অবকাঠামো তৈরি করে জনপরিবহনে আমূল পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। টঙ্গী-ঢাকা রেলপথ তিন লেন এবং ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ দুই লেন বিশিষ্ট করে কমিউটার ট্রেন চালু করে এবং মেট্রো রেলওয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে যানজট অনেকাংশে দূর করা সম্ভব।
আরএইচডির নির্বাহী প্রকৌশলী এবং ট্রান্সপোর্ট পলিসি রিসার্চার প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর দেশের জিডিপিতে প্রায় ৩৫ শতাংশ অবদান রাখে। যানজট নিরসন করা গেলে তা প্রায় আড়াই গুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব। এজন্য ওভারপাস, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল তৈরি করা ছাড়াও ট্রাফিক ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা জরুরী।
তিনি জানান, যানজটের কারণে ঢাকা শহরে প্রতিদিন ৩২ লাখ ঘণ্টা বাণিজ্যিক সময় নষ্ট হচ্ছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। তাই যানজট নিরসন করতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই। কারণ একটি উন্নয়নশীল দেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ যদি যানজটের কারণে নষ্ট হয়, তাহলে সে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি বাড়তে পারে না। তাছাড়া দেশের ৬৪ জেলা শহরের মধ্যে একটি শহর বিভিন্ন দিক থেকে বসবাসের অযোগ্য হতে চলেছে। তাই সরকারের উচিত যে কোন মূল্যে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটিকে রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেয়া।
গোলটেবিল ওয়ার্কশপে সভাপতিত্ব করেন আইইবি পুরকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আজিম জোয়ার্দার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার। সেমিনারে প্রকৌশলী, সাংবাদিক, এ্যাডভোকেটসহ বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ঢাকা শহরে এখন বাইরে বের হলেই যানজটের মুখে পড়তে হয়। এ সমস্যার সমাধান রয়েছে রেল ব্যবস্থার উন্নয়নে। দেশের রেল ব্যবস্থা ঠিক করতে পারলে এবং রেললাইন বাড়ানো হলে রাজধানীতে যানজটের কারণে আর অযথা সময় নষ্ট হবে না। সরকারও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।
বক্তারা বলেন, পৃথিবীর কোথাও রেললাইনের ওপর লেভেল ক্রসিং নেই। এসব বৈধ-অবৈধ লেভেল ক্রসিংই রাজধানীতে যানজটের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, যানজট নিরসনে সরকারীভাবে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন গতি খুবই মন্থর। সরকারের গৃহীত প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে ঢাকায় আর যানজট থাকবে না।
No comments