প্রাথমিক ও জেএসসি পরীক্ষার ফল-সোনামণিদের অভিনন্দন
সোনামণিদের আনন্দের দিন গেল গতকাল। শুধু প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায়ই ২৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩৯৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে যথাক্রমে প্রাথমিকে ৯৭.৩৫ শতাংশ এবং ইবতেদায়ি সমাপনীতে ৯২.৪৫ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়েছে।
পাসের হার এবং ভালো ফল করার ক্ষেত্রেও তারা গত বছরের তুলনায় এগিয়ে গেছে আরেক ধাপ। একই সময় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফলও প্রকাশ হয়েছে। সেখানেও শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করেছে। ৮৬.৯৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করে আগের বছরের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। সোনামণিদের এই সাফল্য আমাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণে সহায়ক হবে। পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ভালো ফল করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে পূর্ণ জিপিএ অর্থাৎ জিপিএ ৫ পাওয়ার বিষয়টি। শুধু পাসের হারেই এগিয়ে যায়নি, ভালো ফলের দিক থেকেও ছোট ছোট শিক্ষার্থী এগিয়ে গেছে। গত বছরের তুলনায় জিপিএ ৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এক লাখ ২০ হাজার যোগ হওয়া থেকে তা-ই প্রমাণ হয়। যদিও পাসের হারে অগ্রগতি সামান্য বেশি। কিন্তু সে ক্ষেত্রে শতভাগের কাছাকাছি উত্তীর্ণ হওয়াটাকে অসামান্য বলতে দ্বিধা থাকার কথা নয়।
বিভাগওয়ারি ফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সিলেট বিভাগে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯৫.৩৪ শতাংশ উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে নিম্নস্থানে রয়েছে। অতীতের রেকর্ড অনুযায়ী যদিও এই হার কম নয়, কিন্তু হালের ফল বিশ্লেষণে তাকে অন্য বিভাগের তুলনায় পিছিয়ে পড়াকেই বোঝায়। সুতরাং সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীরা কেন অন্যদের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না তা তলিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে। বলা হয়ে থাকে হাওরাঞ্চলের শিশুদের বিদ্যালয়বিমুখ থাকার কারণেই পরীক্ষার ফলে তারা পিছিয়ে পড়েছে। হাওরাঞ্চলের শিশুদের ঝরে পড়ার হারও সারা দেশের মধ্যে সর্বাধিক। তাও হচ্ছে আর্থ-সামাজিক কারণে। আমরা মনে করি, পিছিয়ে পড়া সেই জনপদের শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করতে হলে সেখানে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। নভেম্বর মাসে হাওরাঞ্চলে মাছ ধরা এবং ফসল বোনার মৌসুমে পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলোয় শিক্ষার্থীদের এই সময় ঘরসংসারের কাজে অভিভাবকদের সহযোগিতা করতে হয়। যে কারণে তাদের পড়ালেখায় মনোনিবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ে। কিভাবে ঝরে পড়ার হার কমিয়ে আনা যায় এবং অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়মুখী করা যায়, সে বিষয়ে ভাবতে হবে নতুন করে।
পরীক্ষার ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে আমাদের ইতিবাচক অর্জন প্রমাণ হয়েছে স্বল্পসময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার মাধ্যমে। এটা কয়েক বছর ধরেই চলে আসছে। এবার বাড়তি অর্জন হিসেবে দুই পরীক্ষার ফল একসঙ্গে প্রকাশ করার কথা উল্লেখ করা যায়। জানুয়ারিতে সেশন শুরু হওয়ার আগেই এই ফল প্রকাশের কারণে শিক্ষার্থীদের ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশেষ সুবিধা হবে। এতে করে সময় নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকছে না। ইতিমধ্যে স্কুলগুলোর অন্যান্য ক্লাসের পরীক্ষার ফল প্রকাশও প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। কিন্ডারগার্টেনগুলোও তাদের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে। ফলে জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু করার ক্ষেত্রে আগের মতো কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকছে না। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের বই পৌঁছে যাওয়ার বিষয়টি। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগও সফল বলে মনে করা যায়। কারণ ইতিমধ্যে প্রায় সর্বত্রই বই পৌঁছে গেছে।
সোনামণিদের এই সাফল্যের জন্য তাদের অভিনন্দন। এই ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে ভবিষ্যতে অন্যান্য ঘাটতি ও ত্রুটির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে, যাতে করে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার শূন্যে নামিয়ে আনা যায় এবং শতভাগ শিশুর শিক্ষালাভের সরকারি নীতিমালা কার্যকর হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।
বিভাগওয়ারি ফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সিলেট বিভাগে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯৫.৩৪ শতাংশ উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে নিম্নস্থানে রয়েছে। অতীতের রেকর্ড অনুযায়ী যদিও এই হার কম নয়, কিন্তু হালের ফল বিশ্লেষণে তাকে অন্য বিভাগের তুলনায় পিছিয়ে পড়াকেই বোঝায়। সুতরাং সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীরা কেন অন্যদের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না তা তলিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে। বলা হয়ে থাকে হাওরাঞ্চলের শিশুদের বিদ্যালয়বিমুখ থাকার কারণেই পরীক্ষার ফলে তারা পিছিয়ে পড়েছে। হাওরাঞ্চলের শিশুদের ঝরে পড়ার হারও সারা দেশের মধ্যে সর্বাধিক। তাও হচ্ছে আর্থ-সামাজিক কারণে। আমরা মনে করি, পিছিয়ে পড়া সেই জনপদের শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করতে হলে সেখানে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। নভেম্বর মাসে হাওরাঞ্চলে মাছ ধরা এবং ফসল বোনার মৌসুমে পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলোয় শিক্ষার্থীদের এই সময় ঘরসংসারের কাজে অভিভাবকদের সহযোগিতা করতে হয়। যে কারণে তাদের পড়ালেখায় মনোনিবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ে। কিভাবে ঝরে পড়ার হার কমিয়ে আনা যায় এবং অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়মুখী করা যায়, সে বিষয়ে ভাবতে হবে নতুন করে।
পরীক্ষার ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে আমাদের ইতিবাচক অর্জন প্রমাণ হয়েছে স্বল্পসময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার মাধ্যমে। এটা কয়েক বছর ধরেই চলে আসছে। এবার বাড়তি অর্জন হিসেবে দুই পরীক্ষার ফল একসঙ্গে প্রকাশ করার কথা উল্লেখ করা যায়। জানুয়ারিতে সেশন শুরু হওয়ার আগেই এই ফল প্রকাশের কারণে শিক্ষার্থীদের ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশেষ সুবিধা হবে। এতে করে সময় নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকছে না। ইতিমধ্যে স্কুলগুলোর অন্যান্য ক্লাসের পরীক্ষার ফল প্রকাশও প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। কিন্ডারগার্টেনগুলোও তাদের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে। ফলে জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু করার ক্ষেত্রে আগের মতো কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকছে না। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের বই পৌঁছে যাওয়ার বিষয়টি। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগও সফল বলে মনে করা যায়। কারণ ইতিমধ্যে প্রায় সর্বত্রই বই পৌঁছে গেছে।
সোনামণিদের এই সাফল্যের জন্য তাদের অভিনন্দন। এই ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে ভবিষ্যতে অন্যান্য ঘাটতি ও ত্রুটির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে, যাতে করে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার শূন্যে নামিয়ে আনা যায় এবং শতভাগ শিশুর শিক্ষালাভের সরকারি নীতিমালা কার্যকর হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।
No comments