বিক্ষোভ নিয়ে মন্তব্য-ক্ষমা চাইলেন প্রণবপুত্র
নয়াদিল্লিতে বাসে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ছেলে অভিজিৎ মুখার্জি। তাঁর মতে, 'বিক্ষোভে নারীদের অংশ নেওয়া আজকাল ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা ছাড়া নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীরা করছেন না।'
ওই মন্তব্যের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার অভিজিৎ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
বিক্ষোভ সম্পর্কে ভারতের বাংলা চ্যানেল এবিপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ বলেন, 'মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে যেসব নারী অংশ নিয়েছেন, বাস্তবতার সঙ্গে তাঁদের কোনো যোগাযোগ নেই। তা ছাড়া বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নারীরা বয়সী। আমার সন্দেহ হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে কতজন শিক্ষার্থী? এই বয়সে নারীরা সাধারণত শিক্ষার্থী থাকেন না।' তিনি আরো বলেন, '''অত্যন্ত পরিপাটি ও সাজুগুজু' থাকা নারীরা প্রথমে যান কোনো ডিসকো ক্লাবে ফুর্তি করতে। তারপর তাঁরাই এসে নামেন ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে। ছাত্র বিক্ষোভে যেসব নারীদের দেখা যায়, তাঁরা সুন্দরী ও অত্যন্ত পরিপাটি সাজুগুজু করে আসেন।"
এ মন্তব্যের পর প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়েন পশ্চিমবঙ্গের জাঙিপুর থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য অভিজিৎ। এর পরই তিনি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান। বলেন, 'আমি বুঝতে পেরেছি যে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের ছিল। কথাগুলো কাউকে আঘাত করে তাঁদের উদ্দেশে বলা হয়নি। আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি।'
এর আগে অভিজিতের বোন শর্মিষ্ঠা তাঁর পক্ষে ক্ষমা চান। ভারতের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি বলেন, 'যদি সে (অভিজিৎ) এমনটি বলে থাকে, তাহলে আমি তার পক্ষে ক্ষমা চাচ্ছি। পরিবার হিসেবে আমরা তার মন্তব্যকে সমর্থন করি না।'
উল্লেখ্য, নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভকে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি যৌক্তিক বললেও বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গে ফাঁপরে সিপিএম বিধায়ক : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সম্পর্কে অশোভন মন্তব্য করায় কলকাতা হাইকোর্টে মানহানির মামলায় পড়তে যাচ্ছেন সিপিএমের ডোমকলের বিধায়ক ও সাবেক মন্ত্রী আনিসুর রহমান। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার স্কুলে সিপিএমের এক রাজনৈতিক সভায় দিল্লি ও কলকাতায় ধর্ষণের ঘটনার সমালোচনা করেন আনিসুর। এ সময় তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় কলকাতা হাইকোর্টে মানহানি মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, দিল্লির ঘটনায় যখন গোটা দেশ বিক্ষোভে উত্তাল, ঠিক সে সময়ই কলকাতার পার্কস্ট্রিটে ধর্ষণের খবর প্রকাশিত হয়।
রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা আনিসুরের বিচার দাবি করেছেন। তাঁরা গতকাল বিকেলে মহাকরণে সংবাদ সম্মেলন করেন। সম্মেলনে বিধানসভায় সরকারির দলের নেতা ও শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আনিসুরের বিরুদ্ধে বিধানসভার স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিধানসভার সদস্য হয়ে এভাবে বিধানসভার মহিলা সদস্য এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করা যায় না।
এতে বিধানসভার অবমাননা হয়েছে। তাই এর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি তোলা হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় এ মন্তব্যের জন্য ধিক্কার জানানো হবে।' সূত্র : এএফপি।
বিক্ষোভ সম্পর্কে ভারতের বাংলা চ্যানেল এবিপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ বলেন, 'মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে যেসব নারী অংশ নিয়েছেন, বাস্তবতার সঙ্গে তাঁদের কোনো যোগাযোগ নেই। তা ছাড়া বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নারীরা বয়সী। আমার সন্দেহ হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে কতজন শিক্ষার্থী? এই বয়সে নারীরা সাধারণত শিক্ষার্থী থাকেন না।' তিনি আরো বলেন, '''অত্যন্ত পরিপাটি ও সাজুগুজু' থাকা নারীরা প্রথমে যান কোনো ডিসকো ক্লাবে ফুর্তি করতে। তারপর তাঁরাই এসে নামেন ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে। ছাত্র বিক্ষোভে যেসব নারীদের দেখা যায়, তাঁরা সুন্দরী ও অত্যন্ত পরিপাটি সাজুগুজু করে আসেন।"
এ মন্তব্যের পর প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়েন পশ্চিমবঙ্গের জাঙিপুর থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য অভিজিৎ। এর পরই তিনি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান। বলেন, 'আমি বুঝতে পেরেছি যে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের ছিল। কথাগুলো কাউকে আঘাত করে তাঁদের উদ্দেশে বলা হয়নি। আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি।'
এর আগে অভিজিতের বোন শর্মিষ্ঠা তাঁর পক্ষে ক্ষমা চান। ভারতের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি বলেন, 'যদি সে (অভিজিৎ) এমনটি বলে থাকে, তাহলে আমি তার পক্ষে ক্ষমা চাচ্ছি। পরিবার হিসেবে আমরা তার মন্তব্যকে সমর্থন করি না।'
উল্লেখ্য, নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভকে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি যৌক্তিক বললেও বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গে ফাঁপরে সিপিএম বিধায়ক : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সম্পর্কে অশোভন মন্তব্য করায় কলকাতা হাইকোর্টে মানহানির মামলায় পড়তে যাচ্ছেন সিপিএমের ডোমকলের বিধায়ক ও সাবেক মন্ত্রী আনিসুর রহমান। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার স্কুলে সিপিএমের এক রাজনৈতিক সভায় দিল্লি ও কলকাতায় ধর্ষণের ঘটনার সমালোচনা করেন আনিসুর। এ সময় তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় কলকাতা হাইকোর্টে মানহানি মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, দিল্লির ঘটনায় যখন গোটা দেশ বিক্ষোভে উত্তাল, ঠিক সে সময়ই কলকাতার পার্কস্ট্রিটে ধর্ষণের খবর প্রকাশিত হয়।
রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা আনিসুরের বিচার দাবি করেছেন। তাঁরা গতকাল বিকেলে মহাকরণে সংবাদ সম্মেলন করেন। সম্মেলনে বিধানসভায় সরকারির দলের নেতা ও শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আনিসুরের বিরুদ্ধে বিধানসভার স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিধানসভার সদস্য হয়ে এভাবে বিধানসভার মহিলা সদস্য এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করা যায় না।
এতে বিধানসভার অবমাননা হয়েছে। তাই এর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি তোলা হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় এ মন্তব্যের জন্য ধিক্কার জানানো হবে।' সূত্র : এএফপি।
No comments