সোনালী ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতি-আরো পাঁচ প্রতিষ্ঠানের নামে ২৬ মামলা হচ্ছে
হলমার্কের পাশাপাশি আরো যে পাঁচ প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) শাখা থেকে শত শত কোটি আত্মসাৎ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মেলায় দুদক গতকাল বৃহস্পতিবার ২৬টি মামলা করার অনুমোদন দেয়। আগামী সপ্তাহেই মামলা দায়ের করা হবে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- টি অ্যান্ড ব্রাদার্স, প্যারাগন নিট অ্যান্ড কম্পোজিট, খানজাহান আলী সোয়েটার, নকশি নিট কম্পোজিট এবং ডিএন স্পোর্টস। দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কমিশন মামলার অনুমোদন দিয়েছে। আগামী সপ্তাহেই মামলা করা হবে।
এদিকে সরকারের ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক গতকাল বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) এক কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধেও পাঁচটি পৃথক মামলার অনুমোদন দেয়।
যারা আসামি হচ্ছেন : টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের চেয়ারম্যান জিনাত ফাতেমা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাওহীদ হাসান এবং পরিচালক তসলিম হাসান; প্যারাগন নিট অ্যান্ড কম্পোজিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল হাসান রাজা এবং দুই পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন ও এস এম মনিরুজ্জামান; নকশি নিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল মালেক ও চেয়ারম্যান আমেনা বেগম; খানজাহান সোয়েটারের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম মোল্লা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুল জলিল শেখ, দুই পরিচালক মীর মো. শওকত আলী ও রফিকুল ইসলাম; ডিএন স্পোটর্সের চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন চৌধুরী, পরিচালক ফাহমিদার স্বামী শফিকুর রহমানসহ আরো কিছু কর্মকর্তাকে মামলার আসামি করা হচ্ছে।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এ পাঁচ প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মকর্তা ছাড়াও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদেরও আসামি করা হতে পারে। এর মধ্যে হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত সোনালী ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) কে এম আজিজুর রহমান, সাইফুল ইসলামসহ একাধিক কর্মকর্তাও থাকতে পারেন।
এর আগে হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে এক হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২৭ জনকে আসামি করে ১১টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় দুদক এ পর্যন্ত সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন- হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ ওরফে তফছীর, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ, সোনালী ব্যাংকের শেরাটন শাখা ব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখাস্ত) এ কে এম আজিজুর রহমান, সোনালী ব্যাংকের জিএম মীর মহিদুর রহমান এবং দুই ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজ উদ্দিন আহমেদ।
দুদক জানায়, হলমার্কসহ এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক থেকে তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। হলমার্ক জালিয়াতি করে দুই হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা। সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে টি অ্যান্ড ব্রাদার্স ৬০৯ কোটি টাকা, প্যারাগন ব্রাদার্স ১৪৬ কোটি, ডিএন স্পোর্টস ৩৩ কোটি, নকশী নিট ৬৬ কোটি ও খানজাহান আলী গ্রুপের পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পায় দুদক।
বিআরটিএর বিরুদ্ধে মামলার আসামি : সরকারের ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিআরটিএর এক কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অনুমোদন পাওয়া পাঁচটি মামলার আসামিরা হলেন- কক্সবাজার বিআরটিএ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. আবু আশরাফ সিদ্দিকী, গাড়ির মালিক হারুন অর রশিদ বাহাদুর, নুরুল ইসলাম, ফয়েজ আহমেদ, শাহাজাহান খান ও নাসিরউদ্দিন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আশরাফ সিদ্দিকীর যোগসাজশে অন্য আসামিরা পাঁচটি গাড়ি ভুয়া কাগজপত্র (ব্যাংকের এলসি, শিপিং ডকুমেন্ট, বিল অব এন্ট্রি) দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নেয়। তারা বিআরটিএকে সোনালী ব্যাংকের কক্সবাজার কাস্টম হাউস শাখায় এ টাকা জমা দিয়েছেন বলে জানান। এখানে সরকারের ৩০ লাখ ১৪ হাজার ৩৮০ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপপরিচালক প্রণব ভট্টাচার্য বলেন, দুর্নীতির এ ঘটনাটি দুদকের উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন জমা দেন। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যেই মামলা করা হবে। প্রতিটি মামলায় আসামি হবেন বিআরটিএর আশরাফ সিদ্দিকী।
এদিকে সরকারের ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক গতকাল বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) এক কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধেও পাঁচটি পৃথক মামলার অনুমোদন দেয়।
যারা আসামি হচ্ছেন : টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের চেয়ারম্যান জিনাত ফাতেমা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাওহীদ হাসান এবং পরিচালক তসলিম হাসান; প্যারাগন নিট অ্যান্ড কম্পোজিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল হাসান রাজা এবং দুই পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন ও এস এম মনিরুজ্জামান; নকশি নিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল মালেক ও চেয়ারম্যান আমেনা বেগম; খানজাহান সোয়েটারের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম মোল্লা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুল জলিল শেখ, দুই পরিচালক মীর মো. শওকত আলী ও রফিকুল ইসলাম; ডিএন স্পোটর্সের চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন চৌধুরী, পরিচালক ফাহমিদার স্বামী শফিকুর রহমানসহ আরো কিছু কর্মকর্তাকে মামলার আসামি করা হচ্ছে।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এ পাঁচ প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মকর্তা ছাড়াও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদেরও আসামি করা হতে পারে। এর মধ্যে হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত সোনালী ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) কে এম আজিজুর রহমান, সাইফুল ইসলামসহ একাধিক কর্মকর্তাও থাকতে পারেন।
এর আগে হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে এক হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২৭ জনকে আসামি করে ১১টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় দুদক এ পর্যন্ত সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন- হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ ওরফে তফছীর, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ, সোনালী ব্যাংকের শেরাটন শাখা ব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখাস্ত) এ কে এম আজিজুর রহমান, সোনালী ব্যাংকের জিএম মীর মহিদুর রহমান এবং দুই ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজ উদ্দিন আহমেদ।
দুদক জানায়, হলমার্কসহ এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক থেকে তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। হলমার্ক জালিয়াতি করে দুই হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা। সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে টি অ্যান্ড ব্রাদার্স ৬০৯ কোটি টাকা, প্যারাগন ব্রাদার্স ১৪৬ কোটি, ডিএন স্পোর্টস ৩৩ কোটি, নকশী নিট ৬৬ কোটি ও খানজাহান আলী গ্রুপের পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পায় দুদক।
বিআরটিএর বিরুদ্ধে মামলার আসামি : সরকারের ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিআরটিএর এক কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অনুমোদন পাওয়া পাঁচটি মামলার আসামিরা হলেন- কক্সবাজার বিআরটিএ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. আবু আশরাফ সিদ্দিকী, গাড়ির মালিক হারুন অর রশিদ বাহাদুর, নুরুল ইসলাম, ফয়েজ আহমেদ, শাহাজাহান খান ও নাসিরউদ্দিন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আশরাফ সিদ্দিকীর যোগসাজশে অন্য আসামিরা পাঁচটি গাড়ি ভুয়া কাগজপত্র (ব্যাংকের এলসি, শিপিং ডকুমেন্ট, বিল অব এন্ট্রি) দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নেয়। তারা বিআরটিএকে সোনালী ব্যাংকের কক্সবাজার কাস্টম হাউস শাখায় এ টাকা জমা দিয়েছেন বলে জানান। এখানে সরকারের ৩০ লাখ ১৪ হাজার ৩৮০ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপপরিচালক প্রণব ভট্টাচার্য বলেন, দুর্নীতির এ ঘটনাটি দুদকের উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন জমা দেন। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যেই মামলা করা হবে। প্রতিটি মামলায় আসামি হবেন বিআরটিএর আশরাফ সিদ্দিকী।
No comments