রাজনীতির মারপ্যাঁচে কিনারা হয়নি যে হত্যা মামলার
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। ২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডির লিয়াকত পার্কে নির্বাচনী জনসভায় হামলার শিকার হয়ে নিহত হন তিনি। সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়ে ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যা করে তাঁকে।
বহুল আলোচিত এ হত্যার বিচার শেষ হয়নি এখনো। বেনজিরের দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতৃত্বাধীন সরকারের ক্ষমতার মেয়াদও শেষের পথে। তাঁর স্বামী আসিফ আলী জারদারি এখন দেশের প্রেসিডেন্ট। তার পরও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বিচারকাজ।
তাই এ ব্যর্থতার দায় জারদারি এড়াতে পারেন না বলেই বিশেষজ্ঞদের অভিমত। হত্যাকারীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে না পারার ব্যর্থতা তাঁর দলের নেতৃত্বেরও। বেনজির হত্যার মাস কয়েক পর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে পিপিপি।
বেনজির নিহত হওয়ার তিন দিন পর এক সংবাদ সম্মেলন ডাকেন আসিফ আলী জারদারি। তখন তিনি বেনজিরের নিহত হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ ও সন্দেহের তীর ছোড়েন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের দিকে। পাকিস্তান মুসলিম লিগের একাংশ পিএমএলের (কিউ) দিকেও তীর ছোড়েন তিনি। জারদারি অবশ্য এ অভিযোগ তুলেছিলেন মুসলিম বিশ্বের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেনজিরের একটি ই-মেইলের সূত্র ধরে। সেই ই-মেইলে বেনজিরের অভিযোগ ছিল, পারভেজ মোশাররফ তাঁর নিরাপত্তার ব্যাপারে যত্নশীল নন। জীবদ্দশায় বেনজির সন্দেহ করতেন, দেশের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি তাঁকে হত্যার চেষ্টা চালাতে পারেন। তাঁর সন্দেহের তালিকায় ছিলেন পিএমএলের (কিউ) চৌধুরী পারভেজ ইলাহি, পাকিস্তানি আন্তবাহিনী গোয়েন্দা সংস্থা_আইএসআইয়ের তৎকালীন প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হামিদ গুল এবং পাকিস্তান পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান ইজাজ শাহ।
গেল পাঁচ বছরে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচারের ব্যাপারে জারদারি কতটা 'আন্তরিক' ছিলেন, তা বোঝা যায় একটি উদাহরণে। বেনজিরের 'সন্দেহভাজন' সেই চৌধুরী পারভেজ ইলাহি এখন সরকারের অন্যতম অংশীদার। তিনি উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
বেনজির হত্যাকাণ্ডের বিচারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিকেরও তোড়জোড় নেই। সম্প্রতি সিন্ধুর প্রাদেশিক পরিষদে তিনি বলেন, বেনজির ভুট্টো হত্যার নেপথ্য খলনায়কদের মুখোশ তিনি শিগগিরই খুলে দেবেন। তবে সেই মুখোশ খোলার কাজটি আইনি প্রক্রিয়ায় করবেন না, করবেন তাঁর প্রকাশিতব্য একটি বইয়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন 'অবাক' কথায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।
বেনজিরের মরদেহের ময়নাতদন্তও হয়নি। জারদারি গোড়া থেকেই এর বিরোধিতা করেন। তখন তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত কতটা ফল বয়ে আনবে, তা তিনি জানেন। অনেকেরই প্রশ্ন, এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি ময়নাতদন্ত করতে না দিয়ে জারদারি ও পিপিপি নেতারা আসলে কী হাসিল করতে চেয়েছেন? নাকি কিছু আড়াল করতে চেয়েছেন তাঁরা_উঠেছে সে প্রশ্নও।
পিপিরি নেতারাও এ হত্যাকাণ্ডের বিচারসংক্রান্ত বিষয়ে বরাবরই স্ববিরোধী কথা-বার্তা বলেছেন। তথ্যমন্ত্রী কামার জামান কাইরা এক জনসভায় একবার বলেছিলেন, শিগগিরই বেনজির হত্যার রহস্য উন্মোচিত হবে। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের সব তথ্য বের করা হয়েছে। এই মন্ত্রীই গতকাল বলেন, বেনজিরের হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন ছিলেন বায়তুল্লাহ মেহসুদ। ২০০৯ সালে মার্কিন চালকবিহীন (ড্রোন) হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন।
এই বিপরীত পরিস্থিতির মধ্যেও বেনজিরের কবরে গতকাল সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। জুলফিকার আলী ভুট্টোর আদরের বড় মেয়ে ও দেশটির দুই বারের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা জানায় তারা। দাবি জানায়, সুষ্ঠু বিচারের। সূত্র : ডন।
তাই এ ব্যর্থতার দায় জারদারি এড়াতে পারেন না বলেই বিশেষজ্ঞদের অভিমত। হত্যাকারীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে না পারার ব্যর্থতা তাঁর দলের নেতৃত্বেরও। বেনজির হত্যার মাস কয়েক পর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে পিপিপি।
বেনজির নিহত হওয়ার তিন দিন পর এক সংবাদ সম্মেলন ডাকেন আসিফ আলী জারদারি। তখন তিনি বেনজিরের নিহত হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ ও সন্দেহের তীর ছোড়েন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের দিকে। পাকিস্তান মুসলিম লিগের একাংশ পিএমএলের (কিউ) দিকেও তীর ছোড়েন তিনি। জারদারি অবশ্য এ অভিযোগ তুলেছিলেন মুসলিম বিশ্বের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেনজিরের একটি ই-মেইলের সূত্র ধরে। সেই ই-মেইলে বেনজিরের অভিযোগ ছিল, পারভেজ মোশাররফ তাঁর নিরাপত্তার ব্যাপারে যত্নশীল নন। জীবদ্দশায় বেনজির সন্দেহ করতেন, দেশের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি তাঁকে হত্যার চেষ্টা চালাতে পারেন। তাঁর সন্দেহের তালিকায় ছিলেন পিএমএলের (কিউ) চৌধুরী পারভেজ ইলাহি, পাকিস্তানি আন্তবাহিনী গোয়েন্দা সংস্থা_আইএসআইয়ের তৎকালীন প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হামিদ গুল এবং পাকিস্তান পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান ইজাজ শাহ।
গেল পাঁচ বছরে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচারের ব্যাপারে জারদারি কতটা 'আন্তরিক' ছিলেন, তা বোঝা যায় একটি উদাহরণে। বেনজিরের 'সন্দেহভাজন' সেই চৌধুরী পারভেজ ইলাহি এখন সরকারের অন্যতম অংশীদার। তিনি উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
বেনজির হত্যাকাণ্ডের বিচারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিকেরও তোড়জোড় নেই। সম্প্রতি সিন্ধুর প্রাদেশিক পরিষদে তিনি বলেন, বেনজির ভুট্টো হত্যার নেপথ্য খলনায়কদের মুখোশ তিনি শিগগিরই খুলে দেবেন। তবে সেই মুখোশ খোলার কাজটি আইনি প্রক্রিয়ায় করবেন না, করবেন তাঁর প্রকাশিতব্য একটি বইয়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন 'অবাক' কথায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।
বেনজিরের মরদেহের ময়নাতদন্তও হয়নি। জারদারি গোড়া থেকেই এর বিরোধিতা করেন। তখন তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত কতটা ফল বয়ে আনবে, তা তিনি জানেন। অনেকেরই প্রশ্ন, এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি ময়নাতদন্ত করতে না দিয়ে জারদারি ও পিপিপি নেতারা আসলে কী হাসিল করতে চেয়েছেন? নাকি কিছু আড়াল করতে চেয়েছেন তাঁরা_উঠেছে সে প্রশ্নও।
পিপিরি নেতারাও এ হত্যাকাণ্ডের বিচারসংক্রান্ত বিষয়ে বরাবরই স্ববিরোধী কথা-বার্তা বলেছেন। তথ্যমন্ত্রী কামার জামান কাইরা এক জনসভায় একবার বলেছিলেন, শিগগিরই বেনজির হত্যার রহস্য উন্মোচিত হবে। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের সব তথ্য বের করা হয়েছে। এই মন্ত্রীই গতকাল বলেন, বেনজিরের হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন ছিলেন বায়তুল্লাহ মেহসুদ। ২০০৯ সালে মার্কিন চালকবিহীন (ড্রোন) হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন।
এই বিপরীত পরিস্থিতির মধ্যেও বেনজিরের কবরে গতকাল সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। জুলফিকার আলী ভুট্টোর আদরের বড় মেয়ে ও দেশটির দুই বারের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা জানায় তারা। দাবি জানায়, সুষ্ঠু বিচারের। সূত্র : ডন।
No comments