সরকারি জমি উদ্ধার- হল-মার্কের শিল্পপার্কে উচ্ছেদ অভিযান
বহুল আলোচিত হল-মার্ক গ্রুপের দখলে থাকা প্রায় ১১ একর সরকারি জমি উদ্ধারে অবশেষে অভিযান শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযানে সাভারে হল-মার্কের শিল্পপার্ক এলাকায় খাসজমি ও অর্পিত সম্পত্তির ওপর নির্মিত পাঁচটি স্থাপনা এবং প্রাচীর ভেঙে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া কোনো স্থাপনা নেই—এমন নয় একর জমি সরকারের আয়ত্তে নেওয়া হয়েছে।
সকালে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলার কান্দিবৈলারপুর ও নন্দখালী মৌজায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। তাঁকে সহায়তা করেন সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু জাফর রাশেদ। সাভারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কবীর হোসেন সরদারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে হল-মার্কের প্রতিষ্ঠান পাহারায় নিয়োজিত আনসারদের জন্য নির্মিত একটি ঘর, একতলা দুটি আধা পাকা ভবন ও দুটি শৌচাগার ভেঙে দেওয়া হয়। ওই দুই ভবনের একটি হল-মার্ক গ্রুপের কেন্দ্রীয় গুদাম ও অপরটি স্টাইল নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানা হিসেবে ব্যবহূত হতো।
অভিযানকারী সূত্র জানায়, দু-এক দিনের মধ্যে খাসজমি ও অর্পিত সম্পত্তির ওপর নির্মিত হল-মার্কের আরও একটি আধা পাকা ভবন, একটি চারতলা এবং একটি দ্বিতল ভবনের আংশিক ভাঙা হবে।
সাভার উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, হল-মার্ক কর্তৃপক্ষ ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে কান্দিবৈলারপুর মৌজার ৬, ২৮, ৪২, ২৭৪, ২৮৪, ৩০৩, ৩২৪, ৩৩৪, ৩৪৪, ৩৪৬ ও ৩৫০ নম্বর দাগে ৫ দশমিক ৮০ একর খাস ও দশমিক ৫৮ একর অর্পিত সম্পত্তি এবং নন্দখালী মৌজার ১৭৬, ১৬৯, ২১২, ২৩৬, ২৬৮ ও ২৯৬ নম্বর দাগে ৩ দশমিক ১৮ একর খাস ও প্রায় এক একর অর্পিত সম্পত্তি দখল করে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় এসব জমি উদ্ধারে উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু নানা প্রভাবের কারণে উচ্ছেদ অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন সাভারের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান। ওই ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।
বুলডোজারের অভাবে অভিযান ব্যাহত: সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু জাফর রাশেদ জানান, উচ্ছেদ অভিযানের জন্য বুলডোজার চেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢাকা সিটি করপোরেশন এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তারা বুলডোজার সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল। কিন্তু গতকাল সকাল ১০টার মধ্যে কেবল সওজ একটি বুলডোজার পাঠায়। এটি দিয়ে স্থাপনা ভাঙা শুরু হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় গুদাম ও স্টাইল নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজের ভবন ভাঙার পর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বুলডোজারটি বিকল হয়ে পড়ে। এতে অভিযান ব্যাহত হয়।
পরে একটি ভেকুর সাহায্যে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চারতলা ভবন ভাঙার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সম্ভব হয়নি। সরকারি রাস্তার পাশের সীমানাপ্রাচীর ও একটি ফটক ভাঙার পর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উচ্ছেদ অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
বুলডোজারের চালক গাজী আমির হোসেন জানান, সওজের ঢাকা, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ বিভাগের জন্য অনেক পুরোনো এই একটি বুলডোজারই রয়েছে। ভবন অপসারণের সময় এটির গিয়ার বক্স ভেঙে যায়।
জনতা হাউজিং লিমিটেডের প্লট উদ্ধারের দাবি: নন্দখালীতে জনতা হাউজিং লিমিটেডের প্লট-মালিকদের সংগঠন ‘জনতা হাউজিং পরিবেশ রক্ষা ফোরামের’ সভাপতি অলিজা হাসান অভিযোগ করেন, স্থানীয় প্রশাসন খাসজমি ও অর্পিত সম্পত্তি উদ্ধারে অভিযান চালালেও হল-মার্কের দখলে থাকা তাঁদের প্লট উদ্ধারে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। হল-মার্ক কর্তৃপক্ষ ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই হাউজিংয়ের শতাধিক প্লট দখল করেছে। তিনি এসব প্লট উদ্ধারের দাবি জানান।
তবে হল-মার্ক গ্রুপের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক জামাল হোসেনের দাবি, ব্যক্তিমালিকানাধীন প্লট কেন, হল-মার্ক কোনো খাসজমি ও অর্পিত সম্পত্তি দখল করেনি। প্রতিষ্ঠানটির দখলে থাকা সব সম্পত্তিই কেনা।
প্রশাসনের বক্তব্য: নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেলিম হোসেন বলেন, হল-মার্ক কর্তৃপক্ষ খাসজমি ও অর্পিত সম্পত্তি দখল করে তাতে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছিল। সরকারি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমি ও ইমারত (দখল ও পুনরুদ্ধার) আদেশ, ১৯৭০-এর ক্ষমতাবলে গতকাল এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
সকালে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলার কান্দিবৈলারপুর ও নন্দখালী মৌজায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। তাঁকে সহায়তা করেন সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু জাফর রাশেদ। সাভারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কবীর হোসেন সরদারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে হল-মার্কের প্রতিষ্ঠান পাহারায় নিয়োজিত আনসারদের জন্য নির্মিত একটি ঘর, একতলা দুটি আধা পাকা ভবন ও দুটি শৌচাগার ভেঙে দেওয়া হয়। ওই দুই ভবনের একটি হল-মার্ক গ্রুপের কেন্দ্রীয় গুদাম ও অপরটি স্টাইল নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানা হিসেবে ব্যবহূত হতো।
অভিযানকারী সূত্র জানায়, দু-এক দিনের মধ্যে খাসজমি ও অর্পিত সম্পত্তির ওপর নির্মিত হল-মার্কের আরও একটি আধা পাকা ভবন, একটি চারতলা এবং একটি দ্বিতল ভবনের আংশিক ভাঙা হবে।
সাভার উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, হল-মার্ক কর্তৃপক্ষ ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে কান্দিবৈলারপুর মৌজার ৬, ২৮, ৪২, ২৭৪, ২৮৪, ৩০৩, ৩২৪, ৩৩৪, ৩৪৪, ৩৪৬ ও ৩৫০ নম্বর দাগে ৫ দশমিক ৮০ একর খাস ও দশমিক ৫৮ একর অর্পিত সম্পত্তি এবং নন্দখালী মৌজার ১৭৬, ১৬৯, ২১২, ২৩৬, ২৬৮ ও ২৯৬ নম্বর দাগে ৩ দশমিক ১৮ একর খাস ও প্রায় এক একর অর্পিত সম্পত্তি দখল করে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় এসব জমি উদ্ধারে উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু নানা প্রভাবের কারণে উচ্ছেদ অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন সাভারের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান। ওই ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।
বুলডোজারের অভাবে অভিযান ব্যাহত: সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু জাফর রাশেদ জানান, উচ্ছেদ অভিযানের জন্য বুলডোজার চেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢাকা সিটি করপোরেশন এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তারা বুলডোজার সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল। কিন্তু গতকাল সকাল ১০টার মধ্যে কেবল সওজ একটি বুলডোজার পাঠায়। এটি দিয়ে স্থাপনা ভাঙা শুরু হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় গুদাম ও স্টাইল নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজের ভবন ভাঙার পর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বুলডোজারটি বিকল হয়ে পড়ে। এতে অভিযান ব্যাহত হয়।
পরে একটি ভেকুর সাহায্যে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চারতলা ভবন ভাঙার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সম্ভব হয়নি। সরকারি রাস্তার পাশের সীমানাপ্রাচীর ও একটি ফটক ভাঙার পর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উচ্ছেদ অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
বুলডোজারের চালক গাজী আমির হোসেন জানান, সওজের ঢাকা, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ বিভাগের জন্য অনেক পুরোনো এই একটি বুলডোজারই রয়েছে। ভবন অপসারণের সময় এটির গিয়ার বক্স ভেঙে যায়।
জনতা হাউজিং লিমিটেডের প্লট উদ্ধারের দাবি: নন্দখালীতে জনতা হাউজিং লিমিটেডের প্লট-মালিকদের সংগঠন ‘জনতা হাউজিং পরিবেশ রক্ষা ফোরামের’ সভাপতি অলিজা হাসান অভিযোগ করেন, স্থানীয় প্রশাসন খাসজমি ও অর্পিত সম্পত্তি উদ্ধারে অভিযান চালালেও হল-মার্কের দখলে থাকা তাঁদের প্লট উদ্ধারে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। হল-মার্ক কর্তৃপক্ষ ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই হাউজিংয়ের শতাধিক প্লট দখল করেছে। তিনি এসব প্লট উদ্ধারের দাবি জানান।
তবে হল-মার্ক গ্রুপের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক জামাল হোসেনের দাবি, ব্যক্তিমালিকানাধীন প্লট কেন, হল-মার্ক কোনো খাসজমি ও অর্পিত সম্পত্তি দখল করেনি। প্রতিষ্ঠানটির দখলে থাকা সব সম্পত্তিই কেনা।
প্রশাসনের বক্তব্য: নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেলিম হোসেন বলেন, হল-মার্ক কর্তৃপক্ষ খাসজমি ও অর্পিত সম্পত্তি দখল করে তাতে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছিল। সরকারি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমি ও ইমারত (দখল ও পুনরুদ্ধার) আদেশ, ১৯৭০-এর ক্ষমতাবলে গতকাল এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
No comments