বাংলাদেশ আমাদের ঘরঃ পতেঙ্গা সৈকতের আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মজিনা
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে আমরা এতোটাই যত্নশীল যে এটি 'আমাদের ঘর'। বাংলাদেশের পরিবেশ সংরক্ষণ যেমন কাঙ্ক্ষিত তেমনি ব্যবসায়িকভাবেও লাভজনক। বাংলাদেশ ক্রমেই পরিবেশবান্ধব পর্যটনের স্থানে পরিণত হচ্ছে।
পরিবেশবান্ধব পর্যটন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। এর ফলে এখানে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হবে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণের মাধ্যমে দুইভাবে লাভবান হওয়া যাবে। এতে আমাদের ঘরও রক্ষা হলো এবং কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হলো। আর এ কারণে আমরা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে জড়ো হয়েছি।
গতকাল বুধবার সকালে চট্টগ্রামের বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য এসে তিনি একথা বলেন। আমেরিকা সপ্তাহ উপলক্ষে গত তিনদিন ধরে তিনি চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি ঢাকায় ফিরে গেছেন।
মজিনা বলেন, 'আমেরিকা বাংলাদেশের সাথে পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণে সহায়তা করতে এদেশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে। এদেশের বন, পাহাড়, নদী এদেশেরই সৈকত। আরো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হলো উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হুলক বাদড়, দক্ষিণ-পশ্চিমের এশিয়ান হাতি এবং সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এ কারণেই আমরা এখানে। আমাদের পরবর্তী ও তারও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশকে সুন্দর রাখতে আমরা এখানে।'
বক্তৃতাপর্ব শেষে হাতে গ্লাভস পরে সৈকতে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত কাগজ, খড়কুটো ও আবর্জনা পরিষ্কার করেন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী রাষ্ট্র আমেরিকার এই কূটনৈতিক। বক্তৃতাপর্বে তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, 'আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন থেকে এক কিলোমিটার দূরের কর্মস্থলে যাওয়া-আসার পথে সকল আবর্জনা হাতে তুলে নিতেন। এর ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে ওই রাস্তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।'
এই অনুষ্ঠানে ইউএসএইড মিশন ডিরেক্টর রিচার্ড গ্রিন, ৫০ জন বয় ও গার্লস স্কাউট, ৫০ জন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে পুরো অনুষ্ঠানের সমন্বয় করেন মার্কিন দূতাবাসের প্রেস সেকশনের চিফ মেরিনা ইয়াসমিন।
No comments