প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব নয় : বিএনপি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। দলটির পক্ষে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, 'আপনার (প্রধানমন্ত্রী) পিতা '৭৩ সালে আইন করেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারে নাই। '৯৬ সালে আপনি করেন নাই, তা এবারও পারবেন না।' জামায়াত আওয়ামী লীগের পাশে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো বিচার করা হতো না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় রফিকুল ইসলাম মিয়া এ কথা বলেন। 'বাংলাদেশের মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক বিচার ট্রাইব্যুনালের নিরপেক্ষতা : বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট' শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে নাগরিক ফোরাম।
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, '১৯৭৩ সালে শেখ মুজিবুর রহমান আইন পাস করার পর '৭৪ ও '৭৫-এর আগস্ট মাস পর্যন্ত একমাত্র প্রসিকিউটর ছাড়া আর কাউকে নিয়োগ দিতে পারেননি। শেখ মুজিব বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানের ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দেওয়ার পর এই বিচার তাঁর পক্ষে করা সম্ভব নয়। একই ভাবে '৯১ সালে বদরুল হায়দার চৌধুরীকে ভোট দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা তখন গোলাম আযমের বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন। '৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেও বিচার করেননি। আজ যদি জামায়াত বিএনপির সঙ্গে না থেকে আপনাদের সঙ্গে থাকত তাহলে কার বিচার করতেন?'
ব্যারিস্টার রফিক বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য যুদ্ধ করতে হবে। তিনি সবাইকে এই যুদ্ধে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক বলেন, ফাঁসির আদেশ পৃথিবীতে হয় না। আসমান থেকে হয়। তিনি বলেন, 'নিজামী, সাঈদী ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ফাঁসি দেবেন আর এ দেশের মানুষ তা চেয়ে দেখবে, তা হবে না। বিচার করতে হলে পাঁচটি মহাদেশ থেকে ১৫ জন বিচারক আনুন অথবা হেগে নিয়ে যান, সেখানে বিচার করেন। অন্যথায় যদি বিচার করতে চান তাহলে দেশ ও জাতির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবেন।'
সালাহউদ্দিন কাদেরের স্ত্রীর উদ্দেশে ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, 'আপনি নিশ্চিত থাকেন এই ট্রাইব্যুনাল বিচার করতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ এই বিচার মেনে নেবে না। এ দেশের হাজার হাজার মানুষ আপনার পাশে আছে।'
সংগঠনের সভাপতি আবদুল্লাহিল মাসুদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাহিমা নাসরিন মুনি্ন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, '১৯৭৩ সালে শেখ মুজিবুর রহমান আইন পাস করার পর '৭৪ ও '৭৫-এর আগস্ট মাস পর্যন্ত একমাত্র প্রসিকিউটর ছাড়া আর কাউকে নিয়োগ দিতে পারেননি। শেখ মুজিব বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানের ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দেওয়ার পর এই বিচার তাঁর পক্ষে করা সম্ভব নয়। একই ভাবে '৯১ সালে বদরুল হায়দার চৌধুরীকে ভোট দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা তখন গোলাম আযমের বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন। '৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেও বিচার করেননি। আজ যদি জামায়াত বিএনপির সঙ্গে না থেকে আপনাদের সঙ্গে থাকত তাহলে কার বিচার করতেন?'
ব্যারিস্টার রফিক বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য যুদ্ধ করতে হবে। তিনি সবাইকে এই যুদ্ধে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক বলেন, ফাঁসির আদেশ পৃথিবীতে হয় না। আসমান থেকে হয়। তিনি বলেন, 'নিজামী, সাঈদী ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ফাঁসি দেবেন আর এ দেশের মানুষ তা চেয়ে দেখবে, তা হবে না। বিচার করতে হলে পাঁচটি মহাদেশ থেকে ১৫ জন বিচারক আনুন অথবা হেগে নিয়ে যান, সেখানে বিচার করেন। অন্যথায় যদি বিচার করতে চান তাহলে দেশ ও জাতির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবেন।'
সালাহউদ্দিন কাদেরের স্ত্রীর উদ্দেশে ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, 'আপনি নিশ্চিত থাকেন এই ট্রাইব্যুনাল বিচার করতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ এই বিচার মেনে নেবে না। এ দেশের হাজার হাজার মানুষ আপনার পাশে আছে।'
সংগঠনের সভাপতি আবদুল্লাহিল মাসুদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাহিমা নাসরিন মুনি্ন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
No comments