দুই বিতর্কের ডিমে তা দিতে গিয়ে একটিতেও ছানা ফোটানো গেল না
সব মন্দ দিকেরই একটা ভালো দিক থাকে। যেমন ঘনঘোর কালো মেঘের কিনারায় থাকে সরু রুপালি আলোর রেখা। সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত ন্যায়বিচারের প্রতীক ভাস্কর্যটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে যখন দেশে জোর বিতর্ক চলছে, তখন তার মন্দ দিকটি সবাই দেখছেন; কিন্তু এর যে একটা মন্দের ভালো দিক আছে, সেদিকটা হয়তো অনেকে খতিয়ে দেখেননি। বিতর্কে লিপ্ত বুদ্ধিজীবী ও কলামিস্টদের দিকে আমি আজ দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। ভাস্কর্যটি নিয়ে বিতর্ক সত্যিই আওয়ামী লীগের জন্য মন্দের ব্যাপার। এই বিতর্ক আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তি অনেকটা ম্লান করেছে। আমিও সরকারের সমালোচনা করেছি। হেফাজতিদের জামায়াতের সংশ্রব থেকে দূরে রাখা এক কথা, আর তাদের মৌলবাদী হুঙ্কারের কাছে সরকারের দুর্বলতা প্রদর্শন যে এক কথা নয়, সে কথা আমিও লিখেছি। হেফাজতকে তুষ্ট করে চলার সরকারি নীতি যে ভোটের রাজনীতিতেও তাদের জন্য কোনো সাফল্য বয়ে আনবে না, সে কথাও লিখেছি। কিন্তু এই মন্দ অবস্থা থেকেও আওয়ামী লীগ কিছু ভালো ফসল কুড়িয়েছে বলে আমার ধারণা। বিএনপি একটা বড় মার খেয়েছে। কথাটা খোলাখুলিই বলি। বিএনপির কিছু শীর্ষ নেতার সঙ্গে আলাপ করে বুঝতে পেরেছিলাম, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে কেন্দ্র করে বিএনপি একটা বড় শোডাউনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। এটা জানা কথা ছিল শেখ হাসিনার এবারের দিল্লি সফরে যত প্রাপ্তিই ঘটুক তিস্তা চুক্তি হবে না।
তিস্তা নিয়ে ভারতের ঢিলেমির নীতিতে বাংলাদেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। তারা সন্দেহ করছে, মমতা ব্যানার্জির আপত্তিকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করে দিল্লিই আসলে তিস্তা চুক্তি করতে চাচ্ছে না। কেবল প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তিস্তা চুক্তি ছাড়া শেখ হাসিনার ভারত সফরের অন্য বড় বড় সাফল্য জনগণের চোখে পড়ছে না। এই তিস্তা চুক্তি না হলে আগামী সাধারণ নির্বাচনেও তা আওয়ামী লীগের জন্য বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। একথা জেনেই বিএনপি এবারের হাসিনা-মোদি বৈঠকে তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় এটাকেই তাদের বড় রাজনৈতিক মূলধন করতে চেয়েছিল এবং তাদের ভাঙা ঘর মেরামত করতে পারবে ভেবেছিল। ফলে শেখ হাসিনার দিল্লি সফর শেষ হতে না হতেই বিএনপি শিবিরে রণদামামা বেজে উঠেছিল। বেগম জিয়া, মির্জা ফখরুল, রিজভী প্রমুখ বিএনপির শীর্ষ নেতারা ফোরামে চিৎকার শুরু করেছিলেন, ‘শেখ হাসিনা খালি হাতে দেশে ফিরেছেন। তবে ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়ে এসেছেন।’ এই ফোরামে সমর্থন জুগিয়ে দেশের একমাত্র ‘নিরপেক্ষ’ বাংলা দৈনিকটি, তার পৃষ্ঠপোষক সুশীল সমাজের বুদ্ধিজীবীরা সংবাদপত্রের কলামে ও টিভি টকশোতে আবার সরব হয়ে উঠেছেন। নানা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে তারা বোঝাতে চেষ্টা করেছেন, দিল্লির সঙ্গে প্রতিরক্ষা সমঝোতা বাংলাদেশের দারুণ ক্ষতি করবে। তার সার্বভৌমত্বে আঘাত করবে। এ প্রচারণাটি জোরদার হয়ে উঠেছিল। কিন্তু পরবর্তী ভাস্কর্য সম্পর্কিত বিতর্কটিই আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতি বিএনপিকে উল্লসিত করেছিল। তারা হয়তো ভেবেছিলেন শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে তারা যদি প্রত্যাশিত সাফল্য লাভ করতে না পারেন, তাহলে ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক সেই সাফল্য এনে দেবে। ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্কে শেখ হাসিনা ভয়ানক সংকটে পড়ে যাবেন।
ভাস্কর্য নিয়ে হেফাজতিদের অনুকূলে কথা বললে আওয়ামী লীগের সেকুলার ভাবমূর্তি নষ্ট হবে, সেকুলারপন্থী ভোটদাতারা আওয়ামী লীগের কাছ থেকে দূরে সরে যাবে। আর হেফাজতিদের দাবির বিরুদ্ধে কথা বললে হেফাজতিরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করবে। বিএনপিকে কিছু করতে হবে না। এই পরিস্থিতিই আওয়ামী লীগ সরকারকে সংকটে ফেলে দেবে। এই প্রত্যাশাতেই বিএনপি ভাস্কর্য সম্পর্কিত বিতর্কটি উসকে দিয়েছে; কিন্তু নিজেরা তাতে তেমন জড়ায়নি। বরং সাধু সেজে চলার চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগই এখন ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে, তারা করছে না। সেজন্য তারা এই বিতর্কে জড়াচ্ছে না। বিএনপির এই হিসাব-নিকাশ ঠিকভাবে মেলেনি। বরং আওয়ামী লীগের জন্য শাপে বর হয়েছে। শেখ হাসিনার ভারত সফরকে ব্যর্থ আখ্যা দিয়ে এবং তিস্তা চুক্তি এবার করতে না পারায় জনমনের পুঞ্জীভূত সন্দেহ ও ক্ষোভকে মূলধন করে যখন সরকারকে একটা শক্ত চাপে ফেলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, তখন বিএনপি হঠাৎ ভাস্কর্য সম্পর্কে নতুন বিতর্ক সৃষ্টিতে সাহায্য জুগিয়ে আওয়ামী লীগকে আগের চাপ থেকে মুক্ত হওয়ার সহজ পথ কেন করে দিল এটা ভেবে বিস্মিত হচ্ছি। বিএনপির নীতিনির্ধাকরা কি বোকার স্বর্গে বাস করেন যে, তারা বুঝতে পারেননি, তিস্তার পানি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মনে যত ক্ষোভ ও অসন্তোষ, মূর্তি ও ভাস্কর্য নিয়ে তত নেই? বাংলাদেশের মুসলমানরা ধর্মপরায়ণ, কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। এই সত্য সাম্প্রতিককালে প্রমাণিত হয়েছে দু’দুবার। জামায়াতি যুদ্ধাপরাধী নেতাদের বিচারের সময় যতই তাদের আলেম-ওলামা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, তাতে জনগণ কান দেয়নি এবং তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার সময়েও প্রতিবাদ জানায়নি। হেফাজতিদের শাপলা চত্বর অভিযানও সরকার দমন করেছে। তাতে ২০ হাজার লোক হত্যা করার মিথ্যা প্রচার চালিয়েও সাধারণ মানুষকে সে কথা বিশ্বাস করানো বা মাঠে নামানো যায়নি।
বিএনপি চেষ্টা করেছিল। এরপরও বিএনপি এবং তার সমর্থক মহলগুলো কী করে বিশ্বাস করল, দিল্লি বৈঠক সম্পর্কিত বিতর্কের সঙ্গে ভাস্কর্য সম্পর্কিত বিতর্ক জুড়ে দিলেই সরকারের বিরুদ্ধে মহাগণঅভ্যুত্থান শুরু হবে? এখন দেখা যাচ্ছে, তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় জনমনের সন্দেহ ও ক্ষোভকে মূলধন করে যে শক্তিশালী সরকারবিরোধী জনমত তৈরি করা যেত; ভাস্কর্য নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু করায় জনগণের দৃষ্টি দিল্লি বৈঠক সম্পর্কিত বিতর্ক থেকে দ্রুত সরে গেছে। এখন বিতর্ক ভাস্কর্য নিয়ে। এ বিতর্ক বেশিদিন টিকবে না। আগেই বলেছি বাংলার মানুষ ধর্মপ্রাণ; কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। তারা ভাস্কর্য এবং মূর্তির মধ্যে পার্থক্য কী তা বোঝে। ভাস্কর্য নিয়ে এই বিতর্ক অবশ্যই বেশি দিন টিকবে না। ‘আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে মসজিদে উলুধ্বনি শোনা যাবে’- বিএনপির এই প্রচারণা যেমন দেশের মানুষের মনে দাগ কাটেনি, তেমনি ভাস্কর্য বিতর্ক নিয়েও মানুষ বেশিদিন মাথা ঘামাবে না। কিন্তু তিস্তা নদীর সমস্যা তারা ভুলবে না। কারণ তিস্তার সঙ্গে তাদের জীবন-মরণের প্রশ্ন জড়িত। তিস্তা সমস্যার প্রশ্নেই বিএনপি শক্তিশালী জনমত গড়ে তুলতে পারত। বিএনপি তা না করে ভাস্কর্য সম্পর্কিত বিতর্ক উসকে দিয়ে তিস্তা বিতর্ক থেকে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে এনেছে। এখন ভাস্কর্য সম্পর্কিত বিতর্ক দীর্ঘদিন জিইয়ে থাকার নয়। এই বিতর্ক শেষ হলে বিএনপির আম যাবে, ছালাও যাবে। সুপ্রিমকোর্টের ভাস্কর্য সম্পর্কে শেখ হাসিনার মন্তব্যে আমাদের অনেকের আপত্তি আছে। কিন্তু একথা স্বীকার করব, এই মন্তব্যে তিনি সূক্ষ্ম কূটনৈতিক বুদ্ধির প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি নিজে মূর্তি পছন্দ করেন না বলে হেফাজতিদের খুশি করেছেন;
কিন্তু পরবর্তী সময়ে তার সরকার বলেছে, ‘এই ভাস্কর্য সরকার অপসারণ করতে পারে না। এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার সুপ্রিমকোর্টের।’ এই ঘোষণায় সাধারণ মানুষ আশ্বস্ত হবে। অন্যদিকে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাকে উচ্চশিক্ষার স্বীকৃতি দান সম্পর্কিত সিদ্ধান্তও সহজে বাস্তবায়ন করা যাবে না। এজন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত তো খালেদা জিয়ার সরকারও নিয়েছিল। বাস্তবায়ন করতে পেরেছিল কি? সম্ভবত আওয়ামী লীগ এবারও একটা বড় ফ্যাকড়া থেকে বেঁচে গেল এবং তা বিএনপি ও তার ঘরানার বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের বুদ্ধির দোষে। একসঙ্গে দুই বিতর্কের ডিমে তা দিতে গিয়ে একটি ডিমকেও তারা ফোটাতে পারেননি। বিএনপি, সুশীলসমাজ এবং আরও কোনো কোনো মহলের এই ব্যর্থতায় আওয়ামী লীগের উল্লসিত না হয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। জামায়াতিদের ঠেকানোর জন্য হেফাজতি অস্ত্র ব্যবহার করা ভালো; কিন্তু সেই অস্ত্রের কাছে নতজানু হয়ে থাকার নীতি গ্রহণ করলে দেশের রাজনীতিতে আজ হোক কাল হোক যে নতুন মেরুকরণ শুরু হবে তাতে আওয়ামী লীগের অবস্থা ভারতের কংগ্রেস দলের বর্তমান অবস্থায় গিয়ে ঠেকতে পারে। পরিবারতন্ত্রের মাদুলি দিয়েও তখন পতন ঠেকানো যাবে না। সময় থাকতে আওয়ামী লীগ এবং সরকার সতর্ক হোন।
পুনশ্চ
লেখাটা শেষ করেছি এমন সময় মনে পড়ল আজ (২৪ এপ্রিল) দেশের প্রবীণ সাংবাদিক এবং দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খানের জন্মদিন। তারও বয়স আমার মতো আশির কোঠা পেরিয়েছে। তিনি আমার দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত বন্ধু। সৎ সাংবাদিকতার জন্য তিনি সবার কাছে শ্রদ্ধাভাজন এবং নীতিনিষ্ঠার জন্য তরুণ সাংবাদিকদের কাছে পথিকৃৎ। পেশার ক্ষেত্রে তাকে অনেক চড়াই-উতরাই পেরোতে হয়েছে। পুরস্কৃত হয়েছেন। আবার নির্যাতিতও হয়েছেন। সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতা এবং সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে তার আপসহীন ভূমিকা বাংলাদেশের সাংবাদিকতাকে এক অনন্য আসন দান করেছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ছিল তার বড় ভূমিকা। আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরও তিনি ছিলেন পরম স্নেহভাজন। বঙ্গবন্ধু নিজে তোয়াব খানকে তার প্রেস সেক্রেটারি এবং গণসংযোগ অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি তার নিষ্ঠা এবং আনুগত্য এখনও অটুট। দৈনিক সংবাদে তার কর্মজীবন শুরু। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তারপর অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলার সম্পাদনা করেছেন। তিনি শুধু সম্পাদক নন, বহু তরুণ সাংবাদিকের কাছে তিনি একজন আইকন। সেই তরুণ বয়স থেকে আমরা পরস্পরের বন্ধু। ব্যক্তিগত জীবনে এবং পেশাগত জীবনেও। তিনি এখনও বেঁচে আছেন এবং সাংবাদিক জীবনে সক্রিয় এটা আমার কাছে পরম আনন্দের বিষয়। জন্মদিনে তাকে অন্তরভরা শুভেচ্ছা জানাই। তিনি আরও বহুকাল বাঁচুন। সুস্থ সবল থাকুন, জাতির বিবেক হয়ে থাকার দায়িত্বটি পালন করুন। এটা আমার প্রার্থনা।
পুনশ্চ
লেখাটা শেষ করেছি এমন সময় মনে পড়ল আজ (২৪ এপ্রিল) দেশের প্রবীণ সাংবাদিক এবং দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খানের জন্মদিন। তারও বয়স আমার মতো আশির কোঠা পেরিয়েছে। তিনি আমার দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত বন্ধু। সৎ সাংবাদিকতার জন্য তিনি সবার কাছে শ্রদ্ধাভাজন এবং নীতিনিষ্ঠার জন্য তরুণ সাংবাদিকদের কাছে পথিকৃৎ। পেশার ক্ষেত্রে তাকে অনেক চড়াই-উতরাই পেরোতে হয়েছে। পুরস্কৃত হয়েছেন। আবার নির্যাতিতও হয়েছেন। সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতা এবং সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে তার আপসহীন ভূমিকা বাংলাদেশের সাংবাদিকতাকে এক অনন্য আসন দান করেছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ছিল তার বড় ভূমিকা। আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরও তিনি ছিলেন পরম স্নেহভাজন। বঙ্গবন্ধু নিজে তোয়াব খানকে তার প্রেস সেক্রেটারি এবং গণসংযোগ অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি তার নিষ্ঠা এবং আনুগত্য এখনও অটুট। দৈনিক সংবাদে তার কর্মজীবন শুরু। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তারপর অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলার সম্পাদনা করেছেন। তিনি শুধু সম্পাদক নন, বহু তরুণ সাংবাদিকের কাছে তিনি একজন আইকন। সেই তরুণ বয়স থেকে আমরা পরস্পরের বন্ধু। ব্যক্তিগত জীবনে এবং পেশাগত জীবনেও। তিনি এখনও বেঁচে আছেন এবং সাংবাদিক জীবনে সক্রিয় এটা আমার কাছে পরম আনন্দের বিষয়। জন্মদিনে তাকে অন্তরভরা শুভেচ্ছা জানাই। তিনি আরও বহুকাল বাঁচুন। সুস্থ সবল থাকুন, জাতির বিবেক হয়ে থাকার দায়িত্বটি পালন করুন। এটা আমার প্রার্থনা।
No comments