অর্থনীতি-সুশাসন-সাফল্য ভেসে যাচ্ছে ভুলের স্রোতে by মইনুল ইসলাম

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহা-জোট সরকারের মেয়াদের তৃতীয় বছর অতিক্রম হওয়ার ক্রান্তিলগ্নে আমলনামা প্রকাশের ও প্রচারের হিড়িক পড়েছে দেশের পত্রপত্রিকার কলামে এবং টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোগুলোতে। এই প্রথাগত মূল্যায়ন-প্রক্রিয়াকে একেবারে বে-ফজুল বলা যাবে না, এমনকি প্রশংসার চেয়ে সমালোচনার মাত্রাধিক্য ঘটলেও ক্ষমতাসীন জোট এবং শেখ হাসিনার জন্য এই মূল্যায়নগুলো গুরুত্বপূর্ণ পথনির্দেশিকা হিসেবে বিবেচিত হওয়াই সমীচীন।


কারণ, ভুল সংশোধনের জন্য আগামী দুই বছরকে চাইলে তিনি ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারবেন। নিবন্ধের শিরোনামেই বলেছি, সাফল্যের কৃতিত্ব সরকার ঘরে তুলতে পারছে না প্রধানমন্ত্রীর ভুল সিদ্ধান্তের ‘স্রোতের’ কারণে। দু-একটা ভুল নয়, ‘ভুলের স্রোত’ বইয়ে দিয়েছেন তিনি, যা সাফল্যগুলোকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। নিচের ব্যাখ্যাটা বোঝা দরকার:
শেখ হাসিনার বর্তমান মেয়াদের প্রশংসনীয় সাফল্য এসেছে কৃষি ও শিক্ষা খাতে। বলাবাহুল্য, দেশের জনগণের জীবনমানের টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য এই দুটি খাতেই যুগান্তকারী পরিবর্তনের ধারা জোরদার হচ্ছে। এ দুটিই যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রগতির গুরুত্বপূর্ণ দুই খাত—তা-ও নির্দ্বিধায় স্বীকার করা উচিত। ধান-চাল উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জন বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ স্বল্লোন্নত দেশের জন্য যে কত বড় অর্জন, তা সবারই উপলব্ধি করা প্রয়োজন।
স্বাধীনতার উষালগ্নে এ দেশে ধান উৎপাদন ছিল বার্ষিক এক কোটি ১০ লাখ টনেরও কম। কিন্তু চাষযোগ্য জমির পরিমাণ গত ৪০ বছরে প্রায় এক-চতুর্থাংশ হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও ২০১১ সালে ধানের উৎপাদন ৩ কোটি ৫০ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের কৃষকেরাই এই চমকপ্রদ সাফল্যের নজির সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার এবং বর্তমান কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী যে দেশে একটি চলমান কৃষিবিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন, তা স্বীকার করতে যেন আমরা কার্পণ্য না করি। কৃষি ও ভূমির সংস্কারে আরও অনেক কিছু করণীয় বাকি রয়েছে উৎপাদনের এই সাফল্যকে টেকসই করার জন্য এবং উৎপাদনের সুফলের ন্যায্যহিস্যা মেহনতি কৃষকের দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। অভিনন্দন জানাই কৃষকসমাজ ও সরকারকে।
একই সঙ্গে অভিনন্দন জানাতে চাই শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের ৪০ বছরের আরাধ্য কাজটির শুভসূচনা করার জন্য। এ দেশের সংবিধানের ১৭ ধারায় রাষ্ট্র তার নাগরিকদের কাছে অঙ্গীকার করছে, শিক্ষাকে জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে সব নাগরিকের জন্য মানসম্পন্ন যুগোপযোগী অভিন্ন শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করার। কিন্তু ৪০ বছরেও এই সাংবিধানিক অধিকার প্রদানের জন্য যথোপযুক্ত শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে পারেনি এ দেশের কোনো সরকার, যদিও বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রণীত কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনটি তদানীন্তন সরকার সরকারিভাবেই গ্রহণ করেছিল; বরং ১৯৭৫-পরবর্তী সরকারগুলো মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রেসক্রিপশনকে ধন্বন্তরী ওষুধ হিসেবে গলাধঃকরণ করে শিক্ষাকে একটি বাজারের পণ্য হিসেবে ক্রয়-বিক্রয়ের সামগ্রীতে পরিণত করেছে, যে বাজারে উচ্চ-মধ্যবিত্ত ও ধনাঢ্য মাতা-পিতার সন্তানদের জন্য একধরনের, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের জন্য একধরনের এবং নিম্নবিত্ত (ও প্রধানত গ্রামীণ) শ্রমজীবী জনগণের সন্তানদের জন্য আলাদা শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এক বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে ১১ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। এ দেশে রাষ্ট্রীয় অর্থে ক্যাডেট কলেজ, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ও পাবলিক স্কুলও চালানো হয়, আবার যুগোপযোগিতাহীন শিক্ষা প্রদানের জন্য মাদ্রাসাও চালানো হয়। ফলে এক দেশে চার ধরনের নাগরিক গড়ে উঠছে। চার ধরনের সমাজের বাসিন্দা হিসেবে বড় হচ্ছে আমাদের সন্তানেরা। এই বৈষম্যের বেড়াজালে বন্দী শিক্ষাব্যবস্থাকে উদ্ধারের পথটি খুবই কণ্টকাকীর্ণ। কিন্তু শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার এই কঠিন সাধনার পথে যাত্রা শুরু করেছে। এ ক্ষেত্রেও সাফল্য অর্জিত হতে শুরু করেছে যুগোপযোগী একটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের চমকপ্রদ পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে। ইতিহাস এ জন্য বর্তমান সরকারকে সাধুবাদ জানাবে।
আমার কাছে বর্তমান সরকারের তৃতীয় সর্বোত্তম সাফল্যের নজির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসারকে বেগবান করার উদ্দেশ্যে সমাজ, অর্থনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ডিজিটাইজেশনকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন। ১৯৯১-৯৬ মেয়াদের বিএনপি সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের কারনে এ ব্যাপারে মারাত্মকভাবে পিছিয়ে পড়েছিলাম আমরা। ওই ভুলের মাশুলও দিতে হয়েছিল প্রায় হাজার কোটি টাকা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার নির্বাচনী অঙ্গীকারকে বাস্তবায়নের যে কর্মযজ্ঞ চলছে, তার সুদূরপ্রসারী অভিঘাত উপলব্ধি করে প্রযুক্তিবিপ্লবে বাংলাদেশকে শামিল করার এই প্রয়াসকে গুরুত্ব দিতেই হবে।
বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ২০০১-০৬ মেয়াদের বিএনপি-জামায়াত সরকার যে অমার্জনীয় ব্যর্থতার রেকর্ড রেখে গেছে তার ফলে ২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল থেকেই বিদ্যুতের লোডশেডিং অর্থনীতির জন্য এক ভয়াবহ বিপদ ডেকে এনেছিল। ওই মহাসংকট থেকে জনগণের দৈনন্দিন জীবন ও অর্থনীতির উৎপাদনের ধারাকে উদ্ধারের প্রয়াস ২০০৭ সাল থেকেই শুরু করা হলেও ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার গত তিন বছরে বিদ্যুতের লোডশেডিং প্রায় অসহনীয় ছিল বললে অত্যুক্তি হবে না। স্বল্পমেয়াদি কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে বর্তমান সরকারের তৃতীয় বছরে বেশ খানিকটা বাড়ানো গেলেও এটাকে অবিমিশ্র সাফল্য বলব না আমি। কারণ ডিজেল ও ফার্নেস তেলভিত্তিক ছোট ছোট বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে উৎপাদন খরচ পড়ছে অনেক বেশি। অন্যদিকে একবার ডিজেল ও ফার্নেস তেলের দামে ভর্তুকি এবং আরেকবার বিদ্যুতের বিক্রয় দামে ভর্তুকি দিতে গিয়ে সরকারি বাজেটে বড়সড় ঘাটতি ডেকে এনেছে সরকার। আবার এক দশকের মধ্যে দেশের লেনদেনের ভারসাম্যের চলতি হিসাবেও ঘাটতি সৃষ্টি করেছে বাণিজ্য ভারসাম্যের বিশাল ঘাটতির বোঝা। আমার ধারণা, অর্থনৈতিক নীতি-প্রণেতা ও পরিচালনাকারীরা এহেন ডবল সাবসিডির পরিমাণ, গতি-প্রকৃতি ও অভিঘাত প্রাক্কলনে বড় ধরনের ভুল করেছেন। তাঁদের ভুলের কারণে সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। এখন শীতকাল, তাই লোডশেডিংয়ের প্রকোপ তেমন একটা নেই। ফেব্রুয়ারি-মার্চে বিদ্যুতের চাহিদা যখন আবার তুঙ্গে উঠবে, তখন বোঝা যাবে লোডশেডিং সত্যি-সত্যিই কমবে কি না। আগেভাগেই এ ব্যাপারে সতর্কবাণী উচ্চারণ করছি। বিদ্যুৎ সমস্যার মধ্য মেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানগুলোর অগ্রগতি তেমন আশাপ্রদ মনে হচ্ছে না। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তাবিত প্ল্যান্টগুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন না করা গেলে সাময়িক স্বস্তিকর অবস্থাকে টেকসই করা যাবে না।
সরকারের আরেকটি প্রশংসনীয় সাফল্য হলো আপৎকালীন খাদ্য মজুতকে প্রায় ১৭ লাখ টনে উন্নীত করা এবং আগামী বছর তা ২০ লাখ টনে উন্নীত করার অবকাঠামো নির্মাণ করা।
আরও দুটি সাফল্য অভিনন্দনযোগ্য। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে। এখন সময়ের দাবি হলো, আরও দুই-তিনটি ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করে বিচারকার্য ত্বরান্বিত করা। একই সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন পকেট সংগঠন ২০০১-২০০৬ সালে সরকারি মদদে যেভাবে বাংলাদেশকে মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল, তা কঠোর হাতে দমন করাকেও সাফল্য বলা চলে। জামায়াত-শিবিরের গোপন প্রস্তুতি বা সশস্ত্র প্রশিক্ষণ হয়তো ঠিকই চালু আছে; কিন্তু জঙ্গিবাদের প্রকাশ্য আস্ফাালন থেকে জাতিকে তিন বছরের জন্য নিষ্কৃতি প্রদান করেছে শেখ হাসিনার সরকার। এই সাফল্য নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
এবার আসা যাক ব্যর্থতা এবং ভুলগুলোর সালতামামিতে। ব্যর্থতাগুলোকে আমি দেখতে চাই সুযোগ হিসেবে। আর অনেক ভুল—প্রায় সবগুলোর উৎস দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রী নিজেই। তাই ভুল সংশোধনের দায়িত্বও তাঁর। সরকারের তৃতীয় বছরের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা মূল্যস্ফীতির তাণ্ডব কমিয়ে আনতে বিস্ময়কর ব্যর্থতা। আন্তর্জাতিক বাজারের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কথা বলে এ ক্ষেত্রে পার পাওয়া যাবে না। দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় গলদ ও সমন্বয়হীনতা এই সমস্যাকে গুরুতর পর্যায়ে নিয়ে গেছে। রাজস্বনীতি, আর্থিকনীতি, আমদানিনীতি, বৈদেশিক বিনিময় হার ব্যবস্থাপনা—এই অতিগুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে দক্ষতা দেখাতে পারেনি সরকার। জ্বালানির ভর্তুকি, বিদ্যুতের ভর্তুকি, গ্যাস অনুসন্ধান ও ট্রান্সমিশন, কয়লানীতি—ওপরের ক্ষেত্রগুলোতেও সমন্বয়হীনতা ব্যর্থতাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। শেয়ারবাজারের ধস ব্যাংকিং খাতেও সংকট সৃষ্টি করেছে। আবার ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের অভূতপূর্ব হারে ঋণ নেওয়ার কারণে কয়েক বছর আগের উদ্বৃত্ত তারল্য সমস্যার পরিবর্তে এখন ব্যাংকগুলোর ঋণ দেওয়ার ক্ষমতাই মারাত্মকভাবে সংকুচিত হয়ে গেছে। তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। ব্যর্থ হয়েছেন ড. মনমোহন সিং, আমরা বঞ্চিত হয়েছি। জাতীয় সংসদ পুরোপুরি অকার্যকর রয়ে গেছে, কিন্তু বিএনপিকেই এই ব্যর্থতার সিংহভাগ দায়ভার বইতে হবে। উপজেলা ব্যবস্থা অনেকখানি অকার্যকর রয়ে গেছে, শেখ হাসিনা চাইলে আগামী দুই বছরে সংশোধনমূলক আইনি পরিবর্তন এ ক্ষেত্রে সাফল্য বয়ে আনবে।
এবার আসি ভুলের তালিকায়। মানুষের সবচেয়ে বড় ভোগান্তি ঘটিয়েছেন সৈয়দ আবুল হোসেন। যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে তিনি ব্যর্থ, এটা সারা দেশের মানুষ এক বছর আগেই বুঝতে পারা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তাঁকে সরিয়ে দিতে এত দেরি করলেন কেন? এই ভুলের মাশুল গুনতে হবে পুরো সরকারকে। আড়িয়ল বিলে বঙ্গবন্ধুর নামে বিমানবন্দর নির্মাণ না করলে বাঙালি জাতির বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠের হূদয় থেকে বিএনপি-জামায়াত কি তাঁকে তাড়াতে পারবে? তাঁর নামে আর কোনো কিছু বানানোর প্রয়োজন নেই। নামকরণের রাজনীতি থেকে রেহাই দিন, আল্লাহর ওয়াস্তে।
আগামী দুটি নির্বাচন সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ মোতাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীনে করার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে, ওই সরকারের গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে সংলাপ শুরু করতে হবে সরকারকে। তাহলে বিএনপি-জামায়াতের মূল রাজনৈতিক অস্ত্রটিই ভোঁতা হয়ে যাবে। অধ্যাপক ইউনূসকে হেনস্তা করতে গিয়ে সরকার ও দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই ফ্রন্টটা আল্লাহর ওয়াস্তে বন্ধ হওয়া দরকার। ঢাকা সিটি করপোরেশনের দ্বিধাবিভক্তি একেবারেই তুঘলকি সিদ্ধান্ত, পারলে এই আইনটা আবার বাতিল করুন। শামীম ওসমান, আবু তাহের, জয়নাল হাজারী—এ ধরনের গডফাদারেরা আওয়ামী লীগকে আর কোনো নির্বাচনেই জেতাতে পারবে না। জনগণের মন জয় করেই নির্বাচনে জিততে হবে আওয়ামী লীগকে। কারও মনে কারচুপি করার খায়েশ জাগলে পরিত্যাগ করুন। নয়তো জনরোষের স্রোতে সব হিসাব-কেতাব ভেসে যাবে।
সরকারের গত তিন বছরের সবচেয়ে বড় ভুল হিসেবে চিহ্নিত করব দুর্নীতিকে আশকারা দেওয়ার মানসিকতা প্রদর্শন। দুর্নীতি দমন কমিশনকে ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করা হয়েছে। অন্যদিকে শাসক দল আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতাকর্মী সারা দেশে দুর্নীতি ও লুটপাটের তাণ্ডবে মেতে উঠেছে। তিন বছর পূর্তিতে সরকারকে মনে করিয়ে দিচ্ছি, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের ভরাডুবি হয়েছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণের গণরায়ের কারণে। সাধু সাবধান!
ড. মইনুল ইসলাম: প্রফেসর, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

No comments

Powered by Blogger.