পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক অতিমাত্রায় রাজনীতি করেছে ॥ সুরঞ্জিত
দফতরবিহীনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের
উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বিশ্বব্যাংকের সততা নিয়ে প্রশ্ন
তুলে বলেছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে বিশ্বব্যাংক অতিমাত্রায় রাজনীতি
করেছে।
অনেক আগেই এ বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু
সরকারের মধ্য থেকে কিছু বিশ্বব্যাংকবিলাসী লোক সরকারকে ভুল বুঝিয়ে বলেছে
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নেই পদ্মা সেতু করতে হবে। নইলে ‘হ্যাভেন উইল ফল’
(মহাভারত অশুদ্ধ) হয়ে যাবে। যেন বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির উর্ধে।
শনিবার পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা বিভাগীয় শাখার উদ্যোগে চিত্রশিল্পী পটুয়া কামরুল হাসানের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত কার্যকর করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত, দেশব্যাপী জামায়াত-শিবিরের তা-বের প্রতিবাদ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, অনেক বুদ্ধিজীবী আছেন যাঁরা বিশ্বব্যাংকের প্যানেলে কাজ করেন। বিশ্বব্যাংকের প্যানেলে থেকে একটি স্বাধীন দেশের মানুষের অনুভূতির পক্ষে কথা বলা খুবই কঠিন। এ ধরনের লোক আমাদের সরকারেরও আছে। তাঁরাই বিশ্বব্যাংক জাতীয় অহমিকায় আঘাত করার পরও সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে ভুল পথে চালিয়েছেন। নইলে আমরা এত দিনে অনেক এগিয়ে যেতে পারতাম।
বিশ্বব্যাংকের নিজস্ব দুর্নীতির কারণে অনেক জায়গা থেকে তাদের ফিরে আসতে হয়েছে উল্লেখ করে প্রবীণ এই পার্লামেন্টারিয়ান আরও বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের আজ চ্যালেঞ্জ এসেছে, এটাকে গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের অনেক প্রাইভেট সেক্টর আছে। এর সঙ্গে ব্যাংক-বীমাসহ অন্য সকল সেক্টরকে যুক্ত করে নিজেরাই বহুল প্রত্যাশিত এ সেতু করতে পারি।
দেশের সম্মানের প্রশ্ন ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে বিরোধী দলকে বিরোধিতা না করার আহ্বান জানিয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, দেশে সরকার আসে, সরকার যায়। পদ্মা সেতু প্রকল্প বিরোধী দলেরও দেশপ্রেমের পরীক্ষা। এ নিয়ে আর কালক্ষেপণ নয়, নিজেদের মধ্যে বিভেদ নয়। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিতে পারি যে, বাঙালীরা পরাজয় মানার জাতি নয়। তবে এজন্য প্রয়োজনে সেতুর বাহুল্য কমিয়ে শুধু একটি সেতু করা যেতে পারে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা বিভাগীয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়িকা রুহুন্নেছা রুনার সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন তালুকদার মো. ইউনুস এমপি, খ্যাতনামা অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, অরুণ সরকার রানা, সোনারগাঁও চারুকারু ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপ, আবাহনী লিমিটেডের পরিচালক শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সুপ্রীমকোর্টের সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াদিয়া জামান প্রমুখ।
শনিবার পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা বিভাগীয় শাখার উদ্যোগে চিত্রশিল্পী পটুয়া কামরুল হাসানের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত কার্যকর করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত, দেশব্যাপী জামায়াত-শিবিরের তা-বের প্রতিবাদ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, অনেক বুদ্ধিজীবী আছেন যাঁরা বিশ্বব্যাংকের প্যানেলে কাজ করেন। বিশ্বব্যাংকের প্যানেলে থেকে একটি স্বাধীন দেশের মানুষের অনুভূতির পক্ষে কথা বলা খুবই কঠিন। এ ধরনের লোক আমাদের সরকারেরও আছে। তাঁরাই বিশ্বব্যাংক জাতীয় অহমিকায় আঘাত করার পরও সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে ভুল পথে চালিয়েছেন। নইলে আমরা এত দিনে অনেক এগিয়ে যেতে পারতাম।
বিশ্বব্যাংকের নিজস্ব দুর্নীতির কারণে অনেক জায়গা থেকে তাদের ফিরে আসতে হয়েছে উল্লেখ করে প্রবীণ এই পার্লামেন্টারিয়ান আরও বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের আজ চ্যালেঞ্জ এসেছে, এটাকে গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের অনেক প্রাইভেট সেক্টর আছে। এর সঙ্গে ব্যাংক-বীমাসহ অন্য সকল সেক্টরকে যুক্ত করে নিজেরাই বহুল প্রত্যাশিত এ সেতু করতে পারি।
দেশের সম্মানের প্রশ্ন ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে বিরোধী দলকে বিরোধিতা না করার আহ্বান জানিয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, দেশে সরকার আসে, সরকার যায়। পদ্মা সেতু প্রকল্প বিরোধী দলেরও দেশপ্রেমের পরীক্ষা। এ নিয়ে আর কালক্ষেপণ নয়, নিজেদের মধ্যে বিভেদ নয়। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিতে পারি যে, বাঙালীরা পরাজয় মানার জাতি নয়। তবে এজন্য প্রয়োজনে সেতুর বাহুল্য কমিয়ে শুধু একটি সেতু করা যেতে পারে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা বিভাগীয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়িকা রুহুন্নেছা রুনার সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন তালুকদার মো. ইউনুস এমপি, খ্যাতনামা অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, অরুণ সরকার রানা, সোনারগাঁও চারুকারু ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপ, আবাহনী লিমিটেডের পরিচালক শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সুপ্রীমকোর্টের সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াদিয়া জামান প্রমুখ।
No comments