লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের প্রতিবেদন-পাকিস্তানে ড্রোন হামলা স্থগিত করেছে সিআইএ
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) পাকিস্তানে ড্রোন বা চালকবিহীন বিমান হামলা সাময়িকভাবে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। ইসলামাবাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কের টানাপোড়েনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে। পত্রিকাটি গত শুক্রবার কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলেছে, দুই দেশের পারস্পরিক বিশ্বাসে যে চিড় ধরেছে, তা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে সিআইএ এ
সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও এ সিদ্ধান্তের কথা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। গত মাসে আফগান সীমান্তবর্তী এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দফা বিমান হামলায় ২৪ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। এ ঘটনায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়।
এ হতাহতের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট একটি যৌথ তদন্ত করে। এতে বলা হয়, ভুল বোঝাবুঝি ও দুর্বল যোগাযোগের কারণে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে পাকিস্তান তদন্ত প্রতিবেদনের এ বক্তব্য নাকচ করে দিয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস বলেছে, পাকিস্তানে সিআইএর ড্রোন হামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে ওবামা প্রশাসনে তীব্র বিতর্ক চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিআইএ পাকিস্তানে ড্রোন হামলা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে, সিআইএ ২০০৪ সালে পাকিস্তানে প্রথম ড্রোন হামলা শুরু করার পর এ পর্যন্ত আল-কায়েদার বেশ কয়েকজন নেতা ও শত শত নিম্ন পর্যায়ের যোদ্ধা নিহত হয়েছে। তবে সিআইএর ড্রোন হামলায় সাধারণ পাকিস্তানিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকজন কর্মকর্তা দাবি করেছেন, এসব ড্রোন হামলার বেশ কটিই পাল্টা হামলা হিসেবে চালানো হয়। তাঁরা বলেন, সিআইএর ড্রোন হামলায় এ হতাহতের ঘটনা আসিফ আলী জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান সরকারকে নাজুক করে তুলেছে। দেশটির সাধারণ মানুষের দাবি, ড্রোন হামলায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনাও ঘটছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস বলেছে, সিআইএর আধাসামরিক বাহিনীর ভূমিকা কমিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন কিছু মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তাঁরা সিআইএকে গুপ্তচরবৃত্তির ওপর মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সামরিক অভিযানের দায়িত্বটা পেন্টাগনের জয়েন্ট স্পেশাল অপারেশন্স কমান্ডের ওপর ছেড়ে দেওয়া হোক। এই কমান্ডেরও নিজস্ব ড্রোন রয়েছে। তা ছাড়া এরা ইয়েমেন ও সোমালিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী গোপন অভিযান চালাচ্ছে। এএফপি।
এ হতাহতের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট একটি যৌথ তদন্ত করে। এতে বলা হয়, ভুল বোঝাবুঝি ও দুর্বল যোগাযোগের কারণে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে পাকিস্তান তদন্ত প্রতিবেদনের এ বক্তব্য নাকচ করে দিয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস বলেছে, পাকিস্তানে সিআইএর ড্রোন হামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে ওবামা প্রশাসনে তীব্র বিতর্ক চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিআইএ পাকিস্তানে ড্রোন হামলা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে, সিআইএ ২০০৪ সালে পাকিস্তানে প্রথম ড্রোন হামলা শুরু করার পর এ পর্যন্ত আল-কায়েদার বেশ কয়েকজন নেতা ও শত শত নিম্ন পর্যায়ের যোদ্ধা নিহত হয়েছে। তবে সিআইএর ড্রোন হামলায় সাধারণ পাকিস্তানিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকজন কর্মকর্তা দাবি করেছেন, এসব ড্রোন হামলার বেশ কটিই পাল্টা হামলা হিসেবে চালানো হয়। তাঁরা বলেন, সিআইএর ড্রোন হামলায় এ হতাহতের ঘটনা আসিফ আলী জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান সরকারকে নাজুক করে তুলেছে। দেশটির সাধারণ মানুষের দাবি, ড্রোন হামলায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনাও ঘটছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস বলেছে, সিআইএর আধাসামরিক বাহিনীর ভূমিকা কমিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন কিছু মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তাঁরা সিআইএকে গুপ্তচরবৃত্তির ওপর মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সামরিক অভিযানের দায়িত্বটা পেন্টাগনের জয়েন্ট স্পেশাল অপারেশন্স কমান্ডের ওপর ছেড়ে দেওয়া হোক। এই কমান্ডেরও নিজস্ব ড্রোন রয়েছে। তা ছাড়া এরা ইয়েমেন ও সোমালিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী গোপন অভিযান চালাচ্ছে। এএফপি।
No comments