জনপ্রতিনিধিরা বিক্রি করছেন বিনা মূল্যের ধানবীজ
ইরির আর্থিক সহায়তায় যশোরের অভয়নগরের আইলা-দুর্গত কৃষকদের মধ্যে বিনা মূল্যে ধানবীজ বিতরণের কথা। কিন্তু বীজ বিতরণের নামে জনপ্রতিনিধিরা কৃষকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।জানা গেছে, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) আর্থিক সহায়তায় অভয়নগর উপজেলার কৃষকদের মধ্যে ধানবীজ বিতরণ করা হচ্ছে। সাতক্ষীরাভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ‘সুশীলন’ এ বীজ বিতরণ করছে। কৃষকেরা অভিযোগ
করেছেন, ওই বীজ বিতরণ করতে তিনটি ইউনিয়নের কৃষকদের কাছ থেকে বস্তাপ্রতি (১০ কেজির বস্তা) ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অভয়নগরের আটটি ইউনিয়নের কৃষকদের মধ্যে ১৭ ডিসেম্বর থেকে প্রতি ইউনিয়নে পাঁচ মেট্রিক টন করে ৪০ মেট্রিক টন ধানবীজ বিতরণ করা হচ্ছে। কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন, সুন্দলী, চলিশিয়া ও পায়রা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা কৃষকদের কাছে প্রতি বস্তা ধানবীজ ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
সুন্দলী ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের কৃষক বিকাশ সরকার, ভবেশ মণ্ডল ও পরিতোষ রায় অভিযোগ করেন, ‘শুনেছি এই বীজ বিনা মূল্যে দেওয়ার কথা। কিন্তু চেয়ারম্যান আমাদের কাছ থেকে বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা করে নিয়েছেন।’
সুন্দলী বাজারের সার ও বীজ ব্যবসায়ী সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে মাত্র দুই বস্তা ধানবীজ বিক্রির জন্য এনে রেখেছি।’
জানতে চাইলে সুন্দলী ইউপির চেয়ারম্যান পরিতোষ বিশ্বাস মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে সামনা-সামনি কথা বলেন। ইউনিয়ন পরিষদে আসেন, এ ব্যাপারে কথা বলা যাবে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চলিশিয়া ইউপির এক সদস্য বলেন, ‘আমি ৫০ টাকা করে ২০ বস্তা ধানবীজ চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কিনে এনে কৃষকদের দিয়েছি। কৃষকদের কাছ থেকেও ৫০ টাকা করে নিয়েছি।’
চলিশিয়া ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ অভিযোগ করেন, ‘ওই এনজিওর প্রতিনিধি কামাল হোসেন ধানবীজ পৌঁছানোর খরচ বাবদ কৃষকদের কাছ থেকে বস্তাপ্রতি ৫০ টাকা করে নিয়েছেন। আমরা এই টাকা থেকে একটি টাকাও নিইনি।’ তিনি আরও বলেন, খরচ বাবদ তিনটি ইউনিয়নে কিছু টাকা নেওয়া হয়েছে। যা হওয়ার হয়েছে, আর টাকা নেওয়া হবে না।
পায়রা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মতিয়ার রহমান বিশ্বাস বলেন, ‘বস্তাপ্রতি ৫০ টাকা করে ধানবীজ কিনে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করেছি।’ পায়রা ইউপির চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম বলেন, ‘আমি উদ্বোধন করে চলে এসেছিলাম। টাকা নেওয়া হয়েছে কি না জানা নেই।’
সুশীলনের খুলনা জেলার ব্যবস্থাপক শাহিদা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইরির আর্থিক সহায়তায় আইলাদুর্গত এলাকার কৃষকদের মধ্যে এ ধানবীজ বিনা মূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। সুশীলন এ বীজ বিতরণের দায়িত্ব পেয়েছে। ভবদহের কূলঘেঁষা বলে আমরা অভয়নগর উপজেলাকে বেছে নিয়েছি। ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ধানবীজ পৌঁছানো এমনকি খালাস পর্যন্ত সব খরচ আমরাই বহন করছি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অভয়নগরের আটটি ইউনিয়নের কৃষকদের মধ্যে ১৭ ডিসেম্বর থেকে প্রতি ইউনিয়নে পাঁচ মেট্রিক টন করে ৪০ মেট্রিক টন ধানবীজ বিতরণ করা হচ্ছে। কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন, সুন্দলী, চলিশিয়া ও পায়রা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা কৃষকদের কাছে প্রতি বস্তা ধানবীজ ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
সুন্দলী ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের কৃষক বিকাশ সরকার, ভবেশ মণ্ডল ও পরিতোষ রায় অভিযোগ করেন, ‘শুনেছি এই বীজ বিনা মূল্যে দেওয়ার কথা। কিন্তু চেয়ারম্যান আমাদের কাছ থেকে বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা করে নিয়েছেন।’
সুন্দলী বাজারের সার ও বীজ ব্যবসায়ী সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে মাত্র দুই বস্তা ধানবীজ বিক্রির জন্য এনে রেখেছি।’
জানতে চাইলে সুন্দলী ইউপির চেয়ারম্যান পরিতোষ বিশ্বাস মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে সামনা-সামনি কথা বলেন। ইউনিয়ন পরিষদে আসেন, এ ব্যাপারে কথা বলা যাবে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চলিশিয়া ইউপির এক সদস্য বলেন, ‘আমি ৫০ টাকা করে ২০ বস্তা ধানবীজ চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কিনে এনে কৃষকদের দিয়েছি। কৃষকদের কাছ থেকেও ৫০ টাকা করে নিয়েছি।’
চলিশিয়া ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ অভিযোগ করেন, ‘ওই এনজিওর প্রতিনিধি কামাল হোসেন ধানবীজ পৌঁছানোর খরচ বাবদ কৃষকদের কাছ থেকে বস্তাপ্রতি ৫০ টাকা করে নিয়েছেন। আমরা এই টাকা থেকে একটি টাকাও নিইনি।’ তিনি আরও বলেন, খরচ বাবদ তিনটি ইউনিয়নে কিছু টাকা নেওয়া হয়েছে। যা হওয়ার হয়েছে, আর টাকা নেওয়া হবে না।
পায়রা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মতিয়ার রহমান বিশ্বাস বলেন, ‘বস্তাপ্রতি ৫০ টাকা করে ধানবীজ কিনে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করেছি।’ পায়রা ইউপির চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম বলেন, ‘আমি উদ্বোধন করে চলে এসেছিলাম। টাকা নেওয়া হয়েছে কি না জানা নেই।’
সুশীলনের খুলনা জেলার ব্যবস্থাপক শাহিদা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইরির আর্থিক সহায়তায় আইলাদুর্গত এলাকার কৃষকদের মধ্যে এ ধানবীজ বিনা মূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। সুশীলন এ বীজ বিতরণের দায়িত্ব পেয়েছে। ভবদহের কূলঘেঁষা বলে আমরা অভয়নগর উপজেলাকে বেছে নিয়েছি। ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ধানবীজ পৌঁছানো এমনকি খালাস পর্যন্ত সব খরচ আমরাই বহন করছি।’
No comments