বিদ্যুৎ কম ব্যবহার করলে বিলে সুবিধা বেশি পাবেন গ্রাহক
নিম্ন ও মধ্যম শ্রেণীর যেসব আবাসিক গ্রাহক কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন, বিলের ক্ষেত্রে তাঁরা এখন থেকে বেশি সুবিধা পাবেন। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এই সুবিধা দেওয়ার বিধান করেছে। চলতি ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বিদ্যুতের পূর্বঘোষিত দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই এই বিধানও কার্যকর হবে বলে বিইআরসি সূত্র জানায়।
বিদ্যুতের ব্যবহার অনুযায়ী আবাসিক গ্রাহকেরা তিনটি বিলশ্রেণীতে (স্লাব) বিভক্ত। প্রথম শ্রেণীতে মাসে সর্বোচ্চ ১০০ ইউনিট (কিলোওয়াট ঘণ্টা) পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা। এই শ্রেণীর বিদ্যুতের দাম সবচেয়ে কম। দ্বিতীয় শ্রেণী ১০১ থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা। এদের ব্যবহূত বিদ্যুতের দাম প্রথম শ্রেণীর চেয়ে বেশি। ৪০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম আরও বেশি।
বর্তমানে কোনো গ্রাহকের মাসে ৪০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিল করা হয় ১০০ ইউনিট পর্যন্ত সর্বনিম্ন দামে এবং বাকি ৩০০ ইউনিট দ্বিতীয় বিলশ্রেণীর দামে। কিন্তু বিইআরসির এ জন্য নতুন বিধান করেছে। এখন কোনো গ্রাহক মাসে বিদ্যুতের ব্যবহার ৩০০ ইউনিটের মধ্যে সীমিত রাখতে পারলে তিনি প্রথম ১০০ ইউনিট আগের মতোই সর্বনিম্ন দামে পাবেন। বাকি ২০০ ইউনিটের দাম ধরা হবে দ্বিতীয় বিলশ্রেণী অনুযায়ী। কিন্তু কোনো গ্রাহক যদি মাসে ৩০০ ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, তাহলে প্রথম ১০০ ইউনিটের দামে সর্বনিম্ন বিলশ্রেণীর সুবিধা পাবেন না। তাঁর ব্যবহূত সম্পূর্ণ বিদ্যুতের দামই ধরা হবে দ্বিতীয় বিলশ্রেণী অনুযায়ী। আবাসিক গ্রাহকদের প্রায় ৭০ ভাগ ৪০০ ইউনিট শ্রেণীর মধ্যে পড়ে।
এ সম্পর্কে বিইআরসির সদস্য সেলিম মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, এর ফলে গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ ব্যবহারে আরেও সাশ্রয়ী হবেন। বিতরণকারী সংস্থাগুলোরও আয় বাড়বে।
বিইআরসির গত ডিসেম্বর মাসের ঘোষণা অনুযায়ী, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় দফায় সারা দেশে সব শ্রেণীর গ্রাহকের বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। এর ফলে এখন থেকে প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট-ঘণ্টা) বিদ্যুতের গড় খুচরা মূল্য দাঁড়িয়েছে পাঁচ টাকা দুই পয়সা। গত ডিসেম্বরে প্রথম দফায় দাম বাড়ার পর এটা হয়েছিল চার টাকা ৭১ পয়সা।
এ ছাড়া বিইআরসির গত ২৪ নভেম্বরের আরেক আদেশ আনুযায়ী, এ মাস থেকে বিদ্যুতের পাইকারি দামও বাড়ছে। ফলে বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাগুলোকে পিডিবির কাছ থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে হবে গড়ে তিন টাকা ৭৪ পয়সায়।
গ্রাহকভেদে দাম: নতুন মূল্যহার অনুযায়ী পিডিবি, ডিপিডিসি, ডেসকো এবং ওজোপাডিকোর আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত প্রতি ইউনিটের দাম হচ্ছে দুই টাকা ৮৭ পয়সা। ১০১ থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত চার টাকা চার পয়সা এবং ৪০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহার করলে প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে সাত টাকা ৪৩ পয়সা।
কৃষিতে প্রতি ইউনিট পড়বে দুই টাকা ১৩ পয়সা। ক্ষুদ্র শিল্পে পাঁচ টাকা ৬৭ পয়সা (ফ্লাট রেট)। বাণিজ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাত টাকা ৩৩ পয়সা (ফ্লাট রেট)।
পল্লী বিদ্যুতের দাম সমিতিভেদে আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত দুই টাকা ৯০ পয়সা থেকে তিন টাকা ৩৪ পয়সা। ১০১ থেকে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত তিন টাকা ৪৫ পয়সা থেকে তিন টাকা ৯৫ পয়সা। ৩০১ থেকে ৫০০ ইউনিট পর্যন্ত পাঁচ টাকা ৬৩ পয়সা থেকে পাঁচ টাকা ৯৮ পয়সা এবং ৫০০ ইউনিটের ওপর ব্যবহার করলে প্রতি ইউনিট পড়বে সাত টাকা ৪২ পয়সা থেকে আট টাকা ৮৩ পয়সা।
এ ছাড়া পল্লী বিদ্যুতের বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটের দাম (ফ্লাট রেট) সাত টাকা ৩৩ পয়সা। সেচে দুই টাকা ৮৭ পয়সা থেকে তিন টাকা ৩৬ পয়সা। সাধারণ শিল্পে (ফ্লাট রেট) পাঁচ টাকা ৬৭ পয়সা এবং বড় শিল্পে প্রতি ইউনিটের দাম (ফ্লাট রেট) হচ্ছে পাঁচ টাকা ৫৫ পয়সা।
বর্তমানে কোনো গ্রাহকের মাসে ৪০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিল করা হয় ১০০ ইউনিট পর্যন্ত সর্বনিম্ন দামে এবং বাকি ৩০০ ইউনিট দ্বিতীয় বিলশ্রেণীর দামে। কিন্তু বিইআরসির এ জন্য নতুন বিধান করেছে। এখন কোনো গ্রাহক মাসে বিদ্যুতের ব্যবহার ৩০০ ইউনিটের মধ্যে সীমিত রাখতে পারলে তিনি প্রথম ১০০ ইউনিট আগের মতোই সর্বনিম্ন দামে পাবেন। বাকি ২০০ ইউনিটের দাম ধরা হবে দ্বিতীয় বিলশ্রেণী অনুযায়ী। কিন্তু কোনো গ্রাহক যদি মাসে ৩০০ ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, তাহলে প্রথম ১০০ ইউনিটের দামে সর্বনিম্ন বিলশ্রেণীর সুবিধা পাবেন না। তাঁর ব্যবহূত সম্পূর্ণ বিদ্যুতের দামই ধরা হবে দ্বিতীয় বিলশ্রেণী অনুযায়ী। আবাসিক গ্রাহকদের প্রায় ৭০ ভাগ ৪০০ ইউনিট শ্রেণীর মধ্যে পড়ে।
এ সম্পর্কে বিইআরসির সদস্য সেলিম মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, এর ফলে গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ ব্যবহারে আরেও সাশ্রয়ী হবেন। বিতরণকারী সংস্থাগুলোরও আয় বাড়বে।
বিইআরসির গত ডিসেম্বর মাসের ঘোষণা অনুযায়ী, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় দফায় সারা দেশে সব শ্রেণীর গ্রাহকের বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। এর ফলে এখন থেকে প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট-ঘণ্টা) বিদ্যুতের গড় খুচরা মূল্য দাঁড়িয়েছে পাঁচ টাকা দুই পয়সা। গত ডিসেম্বরে প্রথম দফায় দাম বাড়ার পর এটা হয়েছিল চার টাকা ৭১ পয়সা।
এ ছাড়া বিইআরসির গত ২৪ নভেম্বরের আরেক আদেশ আনুযায়ী, এ মাস থেকে বিদ্যুতের পাইকারি দামও বাড়ছে। ফলে বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাগুলোকে পিডিবির কাছ থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে হবে গড়ে তিন টাকা ৭৪ পয়সায়।
গ্রাহকভেদে দাম: নতুন মূল্যহার অনুযায়ী পিডিবি, ডিপিডিসি, ডেসকো এবং ওজোপাডিকোর আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত প্রতি ইউনিটের দাম হচ্ছে দুই টাকা ৮৭ পয়সা। ১০১ থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত চার টাকা চার পয়সা এবং ৪০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহার করলে প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে সাত টাকা ৪৩ পয়সা।
কৃষিতে প্রতি ইউনিট পড়বে দুই টাকা ১৩ পয়সা। ক্ষুদ্র শিল্পে পাঁচ টাকা ৬৭ পয়সা (ফ্লাট রেট)। বাণিজ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাত টাকা ৩৩ পয়সা (ফ্লাট রেট)।
পল্লী বিদ্যুতের দাম সমিতিভেদে আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত দুই টাকা ৯০ পয়সা থেকে তিন টাকা ৩৪ পয়সা। ১০১ থেকে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত তিন টাকা ৪৫ পয়সা থেকে তিন টাকা ৯৫ পয়সা। ৩০১ থেকে ৫০০ ইউনিট পর্যন্ত পাঁচ টাকা ৬৩ পয়সা থেকে পাঁচ টাকা ৯৮ পয়সা এবং ৫০০ ইউনিটের ওপর ব্যবহার করলে প্রতি ইউনিট পড়বে সাত টাকা ৪২ পয়সা থেকে আট টাকা ৮৩ পয়সা।
এ ছাড়া পল্লী বিদ্যুতের বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটের দাম (ফ্লাট রেট) সাত টাকা ৩৩ পয়সা। সেচে দুই টাকা ৮৭ পয়সা থেকে তিন টাকা ৩৬ পয়সা। সাধারণ শিল্পে (ফ্লাট রেট) পাঁচ টাকা ৬৭ পয়সা এবং বড় শিল্পে প্রতি ইউনিটের দাম (ফ্লাট রেট) হচ্ছে পাঁচ টাকা ৫৫ পয়সা।
No comments