এনসিটি টেন্ডার বাতিল আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত

চট্টগ্রাম বন্দর নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনালে (এনসিটি) অপারেটর নিয়োগে টেন্ডার বাতিলের আদেশ স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। দরপত্রে অংশগ্রহণকারী সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেডের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রায় দেন।


উল্লেখ্য, এর আগে সংক্ষুব্ধ একটি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে টেন্ডার স্থগিত করেছিল সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)। উচ্চ আদালত সিপিটিইউ’র আদেশের উপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ জারি করায় টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান রাখতে আপাতত আর কোন বাধা রইল না। আর এতে বৈধতা পেল সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড ও অন্য চার প্রতিষ্ঠানের জমা দেয়া দরপত্র। বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক। তাঁকে সহায়তা করেন এ্যাডভোকেট মোঃ সফিউল্লাহ।
বাদী পক্ষের অন্যতম কৌঁসুলি এ্যাডভোকেট সফিউল্লাহ জনকণ্ঠকে জানান, হাইকোর্টের বেঞ্চ সিপিটিইউর দেয়া আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে। ফলে ২০১০ সালের প্রাকযোগ্যতায় উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর টেন্ডারে অংশগ্রহণে আর কোন বাধা নেই। ইতোমধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষের জমা নেয়া টেন্ডারও আর বাতিল হচ্ছে না। তিনি জানান, একইসঙ্গে আদালত টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিলের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানাতে সিপিটিইউ’র উপর রুলনিশি জারি করেছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দরপত্রে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড রিট মামলাটি দায়ের করে।
চট্টগ্রাম বন্দর এনসিটির প্রকল্প পরিচালক ক্যাপ্টেন নাজমুল আলম মঙ্গলবার হাইকোর্টের আদেশ প্রসঙ্গে জনকণ্ঠকে বলেন, এমন আদেশ হয়েছে শুনেছি। তবে রায়ের কপি এখনও পাইনি। আদেশ পাওয়া সাপেক্ষে নির্দেশনা অনুযায়ী টেন্ডার প্রক্রিয়া চলবে। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
এদিকে, সিপিটিইউ’র আদেশ বাতিল হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে আন্দোলনকারীরা। হাইকোর্টের আদেশে টেন্ডার বৈধতা পাওয়ায় এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী কি করবেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে তাঁর ঘনিষ্ঠ এক নেতা বলেন, যেহেতু তিনি আইনত সংক্ষুব্ধ নন সেহেতু আদালতে যাবেন না। তবে বন্দর রক্ষা কমিটির অন্যতম নেতা আবদুল আহাদ জানান, দরপত্রে অংশগ্রহণকারী সংক্ষুব্ধ কোন পক্ষ আপিল করতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.