'ইরানকে ঠেকাতে সব চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র'
ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির ব্যাপারে বাধা দেওয়ার জন্য যা যা দরকার, তার সবই করবে যুক্তরাষ্ট্র। পরমাণু অস্ত্রসমৃদ্ধ ইরান ইসরায়েলের অস্তিত্ব, পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর নিরাপত্তা এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।
জাতিসংঘে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা ওবামার ভাষণের টেঙ্ট থেকে তাঁর এ অঙ্গীকারের কথা জানা গেছে। বাংলাদেশ সময় গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওবামার এ ভাষণ দেওয়ার কথা।
আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ভাষণে ইসলামকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যকারী ভিডিও ও এই ভিডিওকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়েও বক্তব্য রয়েছে ওই সারসংক্ষেপে।
হোয়াইট হাউস প্রকাশিত ওবামার বক্তব্যের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, 'ভুল করা চলবে না। পরমাণু অস্ত্রসমৃদ্ধ ইরান এমন কোনো চ্যালেঞ্জে পরিণত হবে না_যাকে প্রতিহত করা যাবে না। কিন্তু সে ইসরায়েলের অস্তিত, পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর নিরাপত্তা এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এ জন্যই আন্তর্জাতিক একটি জোট ইরান সরকারকে জবাবদিহি করছে। আর এ জন্যই ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে বাধা দিতে যা যা করা দরকার, যুক্তরাষ্ট্র তার সবই করবে।'
সম্প্রতি আমেরিকায় তৈরি সিনেমা 'ইনোসেন্স অব মুসলিমস'-এর একটি ভিডিও ক্লিপ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অন্যান্য মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে যে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়েও বক্তব্য দিয়েছেন ওবামা। ভিডিওটিতে ইসলাম ও মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে। ওবামা বলেন, 'আজ আমাদের শপথ নেওয়া উচিত যে ক্রিস স্টিভেন্সের (লিবিয়ায় নিহত মার্কিন রাষ্ট্রদূত) মতো লোকেরাই আমাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবেন। তাঁর হত্যাকারীরা নয়। আমাদের ঘোষণা করতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতা ও অসহিষ্ণুতার কোনো স্থান নেই। নিরপরাধ ব্যক্তিদের হত্যা করার পক্ষে সাফাই গাওয়ার মতো কোনো শব্দ নেই। দূতাবাসে হামলার পক্ষ সমর্থনের মতো কোনো ভিডিও নেই। এমন কোনো আপত্তিকর মন্তব্য ছিল না, যার জন্য লেবাননে রেস্টুরেন্টে হামলা বা তিউনিসে স্কুলে আগুন দেওয়া অথবা পাকিস্তানে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পেছনে যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ থাকতে পারে।'
জাতিসংঘের দেওয়া ওবামার ভাষণের পেছনে নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশ্য থাকবে না বলেও দাবি করেছে হোয়াইট হাউস। মিসরকে সাহায্য কমাবে না যুক্তরাষ্ট্র : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে আশ্বস্ত করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র মিসরকে সাহায্য অব্যাহত রাখবে। ইনোসেন্স অব মুসলিমসকে কেন্দ্র করে মিসরে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী সহিংসতা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চালু থাকবে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে উপস্থিত মুরসির সঙ্গে এক সাক্ষাতে হিলারি এই আশ্বাস দিয়েছেন। সূত্র : রয়টার্স, এএফপি।
আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ভাষণে ইসলামকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যকারী ভিডিও ও এই ভিডিওকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়েও বক্তব্য রয়েছে ওই সারসংক্ষেপে।
হোয়াইট হাউস প্রকাশিত ওবামার বক্তব্যের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, 'ভুল করা চলবে না। পরমাণু অস্ত্রসমৃদ্ধ ইরান এমন কোনো চ্যালেঞ্জে পরিণত হবে না_যাকে প্রতিহত করা যাবে না। কিন্তু সে ইসরায়েলের অস্তিত, পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর নিরাপত্তা এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এ জন্যই আন্তর্জাতিক একটি জোট ইরান সরকারকে জবাবদিহি করছে। আর এ জন্যই ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে বাধা দিতে যা যা করা দরকার, যুক্তরাষ্ট্র তার সবই করবে।'
সম্প্রতি আমেরিকায় তৈরি সিনেমা 'ইনোসেন্স অব মুসলিমস'-এর একটি ভিডিও ক্লিপ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অন্যান্য মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে যে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়েও বক্তব্য দিয়েছেন ওবামা। ভিডিওটিতে ইসলাম ও মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে। ওবামা বলেন, 'আজ আমাদের শপথ নেওয়া উচিত যে ক্রিস স্টিভেন্সের (লিবিয়ায় নিহত মার্কিন রাষ্ট্রদূত) মতো লোকেরাই আমাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবেন। তাঁর হত্যাকারীরা নয়। আমাদের ঘোষণা করতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতা ও অসহিষ্ণুতার কোনো স্থান নেই। নিরপরাধ ব্যক্তিদের হত্যা করার পক্ষে সাফাই গাওয়ার মতো কোনো শব্দ নেই। দূতাবাসে হামলার পক্ষ সমর্থনের মতো কোনো ভিডিও নেই। এমন কোনো আপত্তিকর মন্তব্য ছিল না, যার জন্য লেবাননে রেস্টুরেন্টে হামলা বা তিউনিসে স্কুলে আগুন দেওয়া অথবা পাকিস্তানে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পেছনে যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ থাকতে পারে।'
জাতিসংঘের দেওয়া ওবামার ভাষণের পেছনে নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশ্য থাকবে না বলেও দাবি করেছে হোয়াইট হাউস। মিসরকে সাহায্য কমাবে না যুক্তরাষ্ট্র : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে আশ্বস্ত করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র মিসরকে সাহায্য অব্যাহত রাখবে। ইনোসেন্স অব মুসলিমসকে কেন্দ্র করে মিসরে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী সহিংসতা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চালু থাকবে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে উপস্থিত মুরসির সঙ্গে এক সাক্ষাতে হিলারি এই আশ্বাস দিয়েছেন। সূত্র : রয়টার্স, এএফপি।
No comments