রংপুর মেডিকেলে তাণ্ডব-পরিচালককে আসামি করে এবার সাংসদের পক্ষে মামলা
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংসদের তাণ্ডবের ঘটনায় এবার সাংসদের পক্ষে জেলা জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি সামছুল আলম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে দায়ের করা এই মামলার আসামি করা হয়েছে হাসপাতালের পরিচালক তৌফিকুল ইসলামসহ নয়জনকে।
এর আগে গত শনিবার রাতে সাংসদ হোসেন মকবুল শাহরিয়ারকে (আসিফ শাহরিয়ার) প্রধান আসামি করে হাসপাতালের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ আহত হওয়ায় তাদের পক্ষ থেকে আরও একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানায়।
মামলায় অন্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আনিছুল হক, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান ও হাসপাতালের যন্ত্রপাতি সরবরাহের ঠিকাদার মিঠু।
সাংসদ কয়েকটি ট্রাকভর্তি কর্মী-সমর্থক নিয়ে গত শনিবার হাসপাতালের পরিচালককে ঘেরাও করতে যান। তাঁদের হাতে কাঁচা বাঁশের লাঠি ছিল। জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের ভাতিজা সাংসদ আসিফ শাহরিয়ার কর্মচারী নিয়োগে কোটা দাবি করে হাসপাতালে চড়াও হন। এ সময় সংঘর্ষে সাত সাংবাদিকসহ আরও অনেকে আহত হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলতাফ হোসেন জানান, মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদে সাংসদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে লোকজন পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দিতে যান। তখন হাসপাতালের কর্মচারীরা সাংসদসহ তাঁর লোকজনের ওপর হামলা চালান। এতে সাংসদ গুরুতর আহত হন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার বাদী সামছুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘কী জানতে চান, তা মামলায় বলেছি।’
হাসপাতালের পরিচালক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত পরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘পরিচালককে আসামি করে মামলা হয়েছে বলে শুনেছি। লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করার ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হলো না। উপরন্তু ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।’
কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আনিছুল হক বলেন, ‘লাঠিসোঁটা নিয়ে হাসপাতালে এসে তারা হামলা চালাল, এর কি কোনো বিচার হবে না?’
পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। ওই দিনের ঘটনার পুরো ভিডিওচিত্র দেখা হচ্ছে। ছবি দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হবে। তবে সাংসদের বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ আহত হওয়ায় তাদের পক্ষ থেকে আরও একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানায়।
মামলায় অন্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আনিছুল হক, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান ও হাসপাতালের যন্ত্রপাতি সরবরাহের ঠিকাদার মিঠু।
সাংসদ কয়েকটি ট্রাকভর্তি কর্মী-সমর্থক নিয়ে গত শনিবার হাসপাতালের পরিচালককে ঘেরাও করতে যান। তাঁদের হাতে কাঁচা বাঁশের লাঠি ছিল। জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের ভাতিজা সাংসদ আসিফ শাহরিয়ার কর্মচারী নিয়োগে কোটা দাবি করে হাসপাতালে চড়াও হন। এ সময় সংঘর্ষে সাত সাংবাদিকসহ আরও অনেকে আহত হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলতাফ হোসেন জানান, মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদে সাংসদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে লোকজন পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দিতে যান। তখন হাসপাতালের কর্মচারীরা সাংসদসহ তাঁর লোকজনের ওপর হামলা চালান। এতে সাংসদ গুরুতর আহত হন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার বাদী সামছুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘কী জানতে চান, তা মামলায় বলেছি।’
হাসপাতালের পরিচালক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত পরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘পরিচালককে আসামি করে মামলা হয়েছে বলে শুনেছি। লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করার ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হলো না। উপরন্তু ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।’
কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আনিছুল হক বলেন, ‘লাঠিসোঁটা নিয়ে হাসপাতালে এসে তারা হামলা চালাল, এর কি কোনো বিচার হবে না?’
পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। ওই দিনের ঘটনার পুরো ভিডিওচিত্র দেখা হচ্ছে। ছবি দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হবে। তবে সাংসদের বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল বলে তিনি মন্তব্য করেন।
No comments