বাহরাইনে অগ্নিকাণ্ডঃ নিহত ১০ বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে

বাহরাইনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত দশ বাংলাদেশি নাগরিকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন সাগীর আহমেদ, পিতা: নাজির আহমেদ, গ্রাম: চর খিজির পুর, থানা: বোয়ালখালী, জেলা চট্টগ্রাম।
জসিম মিয়া, পিতা: নাসের মিয়া, গ্রাম: গোয়ালি, থানা: নবীনগর, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

আপন সহোদর স্বপন ও সাইফুল, পিতা: মৃত শহীদ মিয়া, গ্রাম: কাইতলা,  থানা: নবীনগর, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

মাহবুব আলম, পিতা: হাজি রশীদ আহমেদ, গ্রাম: বতুয়া, থানা: পটিয়া, জেলা: চট্টগ্রাম।

জামাল, পিতা: আব্দুল আজিজ, গ্রাম: মারিপারা, থানা: পটিয়া, জেলা: চট্টগ্রাম।

সহোদর দুই ভাই শাহাদত ও টিটু মিয়া, পিতা: আলম , গ্রাম: নওপাড়া, থানা: কচুয়া, জেলা চাঁদপুর।

মোহাম্মদ আনোয়ার, পিতা: আবুল বাশার, গ্রাম: গুড়িগ্রাম, থানা: নবীনগর, জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এবং ওসমান গনি, পিতা: আব্দুর রহিম, গ্রাম: কাশিপুর, থানা: সোনাইমুড়ি, জেলা: নোয়াখালী।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে তাদের মৃত্যুর খবর ও পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার উইংয়ের মহাপরিচালক লায়লা হুসেইন বাংলানিউজকে দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিলেন।

নিহতদের লাশগুলো মানামার স্থানীয় সুলায়মানিয়া মেডিকেল কমপ্লেক্স মর্গে রাখা হয়েছে। আহতদের মানামার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটায় বাহরাইনের রাজধানী মানামার মুখারকা এলাকায় অবস্থিত একটি তিনতলা ভবনে আগুন লাগে। ওই ভবনটিতে মূলত বাংলাদেশি শ্রমিকরা বসবাস করতেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে মোট ১৩ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। নিহত দশ বাংলাদেশিও ওই ১৩ জনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।

তবে নিহতদের লাশগুলো পুড়ে যাওয়ায় মৃতের প্রকৃত সংখ্যা সম্বন্ধে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে স্থানীয় সূত্রগুলো সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।

স্থানীয় অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘ্টনায় ২০ জনেরও অধিক শ্রমিক এখনও নিখোঁজ। এদের মধ্যে কমপক্ষে ১৩ জন বাংলাদেশি। তবে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

বাহরাইনি নিরাপত্তা কর্মীরা অগ্নিকাণ্ডস্থল কর্ডন করে রাখে। এমনকি সাংবাদিকদেরও পুড়ে যাওয়া ভবনটিতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত ওই ভবনটির মোট ২৮টি কক্ষের মধ্যে ২৫টিতেই বাংলাদেশি শ্রমিকরা গাদাগাদি করে বাস করতেন বলে জানা গেছে। ভারতীয় ও পাকিস্তানি শ্রমিকরা অন্য কক্ষগুলোতে বাস করতেন।

No comments

Powered by Blogger.