ত্রিরত্নের অভিযান! by ইকবাল হোসাইন চৌধুরী
ওসব চাঞ্চল্য-ফাঞ্চল্য দিয়ে কিছু হয় না’ এটি ডিজিটাল উপস্থাপক মোশাররফ করিমের সংলাপের একাংশ। কিন্তু চঞ্চল মানে চঞ্চল চৌধুরীকে দিয়ে যে বেশ হয়। তোফা হয়। সেটাই দেখেছেন ২৬ এপ্রিল হল অব ফেম-এ জড়ো হওয়া অতিথিরা। একটা ভালো চিত্রনাট্য দিয়েই সবকিছু হয় না। মূল খেলাটা খেলতে হয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরই।
চঞ্চল চৌধুরী ও তিশা সেই কঠিন খেলাটা খেলেছেন অসাধারণ। উপস্থাপকের চরিত্রে (চরিত্রই তো আসলে) তাঁরা যা করেছেন সেটি এককথায় তুলনারহিত। আর তাঁদের দুজনে মিলে যে উপস্থাপক জুটি দাঁড়িয়েছে, এর বাংলা বাগধারা হতে পারে একটাই, ‘সোনায় সোহাগা’।
ছোট্ট একটি উদাহারণ দেওয়া যেতে পারে। চিত্রনাট্যের একটা জায়গায় আছে, চঞ্চল ও তিশা রিমোট কন্ট্রোল চাপার সঙ্গে সঙ্গে পেছনের বড় পর্দায় ডিজিটাল মোশাররফ করিম ফ্রিজ হয়ে যাবেন। পুরো ব্যাপারটা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের। একটু ওদিক হলে পুরোটা ভণ্ডুল। চঞ্চলকে বলেছি, আপনি শুধু বিতাড়িত শব্দটা মনে রাখবেন। সঙ্গে সঙ্গে মোশাররফ করিম ফ্রিজ হয়ে যাবেন পেছনের পর্দায়। চঞ্চল অভয় দিয়ে বলেছেন ‘কোনো চিন্তা নেই আমি পারব।’ তারপর মঞ্চে কত কাণ্ড! কত কী! অনুষ্ঠান মোটামুটি শেষ পর্যায়ে। এত-শত ঝামেলার মধ্যে চঞ্চলের কি ওই একটা শব্দ মনে আছে? থাকার কোনো কারণ নেই। দেখতে না দেখতে সেই মুহূর্ত চলে এসেছে। আগেই রেকর্ড করা ডিজিটাল মোশাররফ করিম পর্দায় গড়গড় করে ডায়লগ বলতে শুরু করেছেন। আমি আতঙ্কে চোখ বন্ধ করে ফেলেছি। সাড়ে সর্বনাশটা চোখ মেলে দেখার কোনো মানে হয় না। কয়েক সেকেন্ড পরে ‘বিতাড়িত’ শব্দটা শুধু কানে বাজল। ভয়ে ভয়ে চোখ খুলেছি। পেছনের পর্দায় মোশাররফ ফ্রিজ। চঞ্চলের হাতে রিমোট কন্ট্রোল। চঞ্চল পেরেছেন! তিশা পেরেছেন! পুরো হল অব ফেম মজা পেয়ে হাসছে। আর আমি চোখের পানি কোথায় লুকোব ভাবছি।
দুই উপস্থাপকের কাছ থেকে আমরা সবচেয়ে বড় যে উপহারটি পেয়েছি, সেটি একাগ্রতা। অভাবনীয় কম সময়ের মধ্যে পুরো চিত্রনাট্য তাঁরা রপ্ত করেছেন। এর চেয়েও বড় ব্যাপার, নিজেদের উপস্থিত বুদ্ধি আর রসবোধ তাঁরা ব্যবহার করেছেন দুর্দান্তভাবে। অনুষ্ঠানের শেষে মোশাররফ করিম এসে দুই উপস্থাপককে দুটো ‘ব্যঙ্গাত্মক’ মেডেল পরিয়ে দেন। এই আইডিয়াটা পুরোপুরি তিশার।
একই কথা খাটবে ডিজিটাল মানে পর্দার ভেতরের উপস্থাপক মোশাররফ করিমের বেলায়ও। মোশাররফ করিমের অংশটি আগেই ধারণ করা ছিল। রেদওয়ান রনি ছিলেন এই অংশটি পরিচালনার দায়িত্বে। হরতালের ফেরে পড়ে শুটিং শুরু হতে হতে রাত সাড়ে ১২টা। শেষ হয়েছিল ভোর ছয়টায়। মোশাররফ বিনা আপত্তিতে পুরো রাত টানা শুটিং করেছেন এবং সব কটি সংলাপকে শতভাগ তাঁর নিজস্ব কায়দায় নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। ডিজিটাল ও অ্যানালগ উপস্থাপকের (তিশা ও চঞ্চল) দ্বন্দ্ব জমজমাট হয়ে ওঠার পেছনে বড় অবদান তাঁরই।
চঞ্চল চৌধুরী, নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মোশাররফ করিম। আপনাদের জন্য শ্রদ্ধা, প্রীতি, ভালোবাসা। কৃতজ্ঞতা এবং কৃতজ্ঞতা।
ছোট্ট একটি উদাহারণ দেওয়া যেতে পারে। চিত্রনাট্যের একটা জায়গায় আছে, চঞ্চল ও তিশা রিমোট কন্ট্রোল চাপার সঙ্গে সঙ্গে পেছনের বড় পর্দায় ডিজিটাল মোশাররফ করিম ফ্রিজ হয়ে যাবেন। পুরো ব্যাপারটা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের। একটু ওদিক হলে পুরোটা ভণ্ডুল। চঞ্চলকে বলেছি, আপনি শুধু বিতাড়িত শব্দটা মনে রাখবেন। সঙ্গে সঙ্গে মোশাররফ করিম ফ্রিজ হয়ে যাবেন পেছনের পর্দায়। চঞ্চল অভয় দিয়ে বলেছেন ‘কোনো চিন্তা নেই আমি পারব।’ তারপর মঞ্চে কত কাণ্ড! কত কী! অনুষ্ঠান মোটামুটি শেষ পর্যায়ে। এত-শত ঝামেলার মধ্যে চঞ্চলের কি ওই একটা শব্দ মনে আছে? থাকার কোনো কারণ নেই। দেখতে না দেখতে সেই মুহূর্ত চলে এসেছে। আগেই রেকর্ড করা ডিজিটাল মোশাররফ করিম পর্দায় গড়গড় করে ডায়লগ বলতে শুরু করেছেন। আমি আতঙ্কে চোখ বন্ধ করে ফেলেছি। সাড়ে সর্বনাশটা চোখ মেলে দেখার কোনো মানে হয় না। কয়েক সেকেন্ড পরে ‘বিতাড়িত’ শব্দটা শুধু কানে বাজল। ভয়ে ভয়ে চোখ খুলেছি। পেছনের পর্দায় মোশাররফ ফ্রিজ। চঞ্চলের হাতে রিমোট কন্ট্রোল। চঞ্চল পেরেছেন! তিশা পেরেছেন! পুরো হল অব ফেম মজা পেয়ে হাসছে। আর আমি চোখের পানি কোথায় লুকোব ভাবছি।
দুই উপস্থাপকের কাছ থেকে আমরা সবচেয়ে বড় যে উপহারটি পেয়েছি, সেটি একাগ্রতা। অভাবনীয় কম সময়ের মধ্যে পুরো চিত্রনাট্য তাঁরা রপ্ত করেছেন। এর চেয়েও বড় ব্যাপার, নিজেদের উপস্থিত বুদ্ধি আর রসবোধ তাঁরা ব্যবহার করেছেন দুর্দান্তভাবে। অনুষ্ঠানের শেষে মোশাররফ করিম এসে দুই উপস্থাপককে দুটো ‘ব্যঙ্গাত্মক’ মেডেল পরিয়ে দেন। এই আইডিয়াটা পুরোপুরি তিশার।
একই কথা খাটবে ডিজিটাল মানে পর্দার ভেতরের উপস্থাপক মোশাররফ করিমের বেলায়ও। মোশাররফ করিমের অংশটি আগেই ধারণ করা ছিল। রেদওয়ান রনি ছিলেন এই অংশটি পরিচালনার দায়িত্বে। হরতালের ফেরে পড়ে শুটিং শুরু হতে হতে রাত সাড়ে ১২টা। শেষ হয়েছিল ভোর ছয়টায়। মোশাররফ বিনা আপত্তিতে পুরো রাত টানা শুটিং করেছেন এবং সব কটি সংলাপকে শতভাগ তাঁর নিজস্ব কায়দায় নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। ডিজিটাল ও অ্যানালগ উপস্থাপকের (তিশা ও চঞ্চল) দ্বন্দ্ব জমজমাট হয়ে ওঠার পেছনে বড় অবদান তাঁরই।
চঞ্চল চৌধুরী, নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মোশাররফ করিম। আপনাদের জন্য শ্রদ্ধা, প্রীতি, ভালোবাসা। কৃতজ্ঞতা এবং কৃতজ্ঞতা।
No comments