রিয়াল মাদ্রিদ: ১ ১ বার্সেলোনা- ক্লাসিকো জেতায়নি কাউকেই
বক্সের ডান প্রান্ত থেকে উড়ে আসা ক্রস
ঠিকই খুঁজে নিলেন। তাতে তিনি মাথা ছোঁয়াবেন, এরপর সেই বল গোলার মতো ছুটে
যাবে জালে। অনেকের চোখে ভালদেসের চেয়ে তাঁকে কেন ভালো গোলরক্ষক বলা হয়,
সেই প্রমাণ বেশ কয়েকবার দেওয়া পিন্টোও অসহায় চেয়ে দেখবেন গোলাটাকে
জালবন্দী হতে—এটাই যেন ঠিক করে রাখা ছিল। ম্যাচটা দেখে থাকলে আপনি বলতে
বাধ্য হবেন, ৮১ মিনিটে রাফায়েল ভারান গোলটি করেননি। তাঁকে দিয়ে করিয়ে
নিয়েছেন কেউ। যিনি অলক্ষে বসে পরশুর এল ক্লাসিকোর চিত্রনাট্য লিখেছেন, যিনি
ঠিক করে রেখেছিলেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারান নামের প্রায় অখ্যাত এক ১৯ বছর
বয়সীকে এই ম্যাচ আনবে খ্যাতির আলোয়। হারতে বসা রিয়াল মাদ্রিদের সমতা
ফেরানো গোলটি করেছেন যোগ্যতম খেলোয়াড়টিই। ভারান ছাড়া এই গোল আর কারও নামের
পাশে মানাত না!
সোয়া ছয় ফুট লম্বা এই উঠতি ফুটবলার শুধু প্রথম লেগে সমতা ফিরিয়ে রিয়ালকে লড়াইয়ে রেখেছেন বলেই নয়; এই গোলটা না করলেও রিয়াল সমর্থকদের মনের কুঠুরিতে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছেন। পুরো ম্যাচে অন্তত দুটো নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন এই ভারান। প্রথমার্ধে একেবারে গোললাইন সেভ করেছেন। ৫০ মিনিটে গোল পাওয়া ফ্যাব্রিগাসকে কয়েক মিনিট পরই দ্বিতীয় গোল থেকে বঞ্চিত করেছেন দুর্দান্ত ট্যাকলে।
এমনিতে এল ক্লাসিকোতে নজর থাকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির ওপর। মেসি-রোনালদোকে এদিন অচেনা আলোয় ঠেলে দিয়ে নায়ক বনে গেছেন ফরাসি ডিফেন্ডার। সেন্টার ব্যাক পজিশনে খেললেও ভারান খেলতে পারেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবেও। রক্ষণ তাঁর কাজ হলেও ভারানের আদর্শ জিনেদিন জিদান! এই জিদানই আগের মৌসুমে লেঁস থেকে উড়িয়ে এনেছেন ভারানকে। প্রাক-মৌসুমের এক ম্যাচে তাঁর খেলা দেখার পর থেকে হোসে মরিনহোও মুগ্ধ তাঁর প্রতিভায়। নিজের প্রথম এল ক্লাসিকোর মানসিক চাপ সামলে ভারান যা খেললেন, সত্যিই অবিশ্বাস্য। পেপে-রামোসদের অনুপস্থিতি টেরই পেতে দেননি। নেতৃত্ব দিয়েছেন রক্ষণে। এরপর সমতা ফেরানো সেই গোল!
ভারান বুঝতেই দেননি তাঁর বয়স আর অনভিজ্ঞতা। তবে সেই খোলস বেরিয়ে এসেছে সংবাদ সম্মেলনে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, এখনো কৈশোর তাঁকে ছেড়ে যায়নি, ‘আমার জন্য এটা ছিল অবিশ্বাস্য একটা অভিজ্ঞতা। আর গোল করা তো ছিল একটা স্বপ্ন। আমি এখনো বিশ্বাসই করতে পারছি না!’
পরশুর এল ক্লাসিকো কয়েকটি দিক দিয়েই ছিল আলাদা। সাধারণত দুই দলের আক্রমণভাগের লড়াই হলেও এদিন আসল খেলাটি হয়েছে রক্ষণে। দুই দলই অসংখ্য সুযোগ তৈরি করেও তাই পুরো ম্যাচে একটি করে গোল পেয়েছে। রোনালদোকে ভারানের চেয়েও দুর্দান্ত এক স্লাইডিং ট্যাকল করেছেন জেরার্ড পিকে। পরশুর এল ক্লাসিকো যেন ছিল সত্যিকারের এক ক্লাসিক লড়াই। গত কয়েকটি এল ক্লাসিকোর কদর্যতা ছিল না। আগুন উত্তেজনার আঁচ প্রায় সময়ই অনুভব করা গেলেও খেলোয়াড়েরা শেষ পর্যন্ত খেলা হিসেবেই নিয়েছেন। ম্যাচ শেষে দুই দল আন্তরিকভাবে জার্সি বদল করেছেন, হাত মিলিয়েছেন। এই উষ্ণতা বিনিময়ের মিছিলে মেসি-রোনালদো হাত মিলিয়েছেন কি না, জানা যায়নি! তবে আশা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ফিরতি লেগে ওই দৃশ্যটা দেখবে ন্যু ক্যাম্প। এএফপি, রয়টার্স।
এল ক্লাসিকো উবাচ
লিডটা বাড়িয়ে নিতে আমরা বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিলাম। অবশ্য মাদ্রিদে ড্রও অনেক ভালো ফল। আগেই বলেছিলাম, এই লড়াই নিষ্পত্তি হবে বার্সেলোনায়। আমার কথাই সত্যি হলো।
—জর্ডি রৌরা, বার্সার ভারপ্রাপ্ত কোচ
আমরা তাদের ফাঁক গলে বেরিয়ে যেতে দিয়েছি। আমরাই ভালো দল ছিলাম। আমরা নিয়ন্ত্রণ করেছি, গোলের বেশি সুযোগ তৈরি করেছি। অদ্ভুত এক অনুভূতি হচ্ছে।
—জাভি, বার্সা মিডফিল্ডার
ও (ভারান) দুর্দান্ত খেলল। শুধু কয়েকটি দারুণ সেভই করেনি, সমতা ফেরানো গোলটিও করেছে। এটা ওকে অনেক আত্মবিশ্বাস জোগাবে। ওর বয়সও মাত্র ১৯।
—আইতর কারাঙ্কা, রিয়ালের সহকারী কোচ
ও (ভারান) অবিশ্বাস্য খেলেছে। দারুণ একটা পারফরম্যান্সের শেষটা টেনেছে হেড থেকে গোল করে, যে গোল আমাদের এই লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখল।
—এমিলিও বুত্রাগুয়েনো, রিয়ালের পরিচালক
সোয়া ছয় ফুট লম্বা এই উঠতি ফুটবলার শুধু প্রথম লেগে সমতা ফিরিয়ে রিয়ালকে লড়াইয়ে রেখেছেন বলেই নয়; এই গোলটা না করলেও রিয়াল সমর্থকদের মনের কুঠুরিতে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছেন। পুরো ম্যাচে অন্তত দুটো নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন এই ভারান। প্রথমার্ধে একেবারে গোললাইন সেভ করেছেন। ৫০ মিনিটে গোল পাওয়া ফ্যাব্রিগাসকে কয়েক মিনিট পরই দ্বিতীয় গোল থেকে বঞ্চিত করেছেন দুর্দান্ত ট্যাকলে।
এমনিতে এল ক্লাসিকোতে নজর থাকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির ওপর। মেসি-রোনালদোকে এদিন অচেনা আলোয় ঠেলে দিয়ে নায়ক বনে গেছেন ফরাসি ডিফেন্ডার। সেন্টার ব্যাক পজিশনে খেললেও ভারান খেলতে পারেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবেও। রক্ষণ তাঁর কাজ হলেও ভারানের আদর্শ জিনেদিন জিদান! এই জিদানই আগের মৌসুমে লেঁস থেকে উড়িয়ে এনেছেন ভারানকে। প্রাক-মৌসুমের এক ম্যাচে তাঁর খেলা দেখার পর থেকে হোসে মরিনহোও মুগ্ধ তাঁর প্রতিভায়। নিজের প্রথম এল ক্লাসিকোর মানসিক চাপ সামলে ভারান যা খেললেন, সত্যিই অবিশ্বাস্য। পেপে-রামোসদের অনুপস্থিতি টেরই পেতে দেননি। নেতৃত্ব দিয়েছেন রক্ষণে। এরপর সমতা ফেরানো সেই গোল!
ভারান বুঝতেই দেননি তাঁর বয়স আর অনভিজ্ঞতা। তবে সেই খোলস বেরিয়ে এসেছে সংবাদ সম্মেলনে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, এখনো কৈশোর তাঁকে ছেড়ে যায়নি, ‘আমার জন্য এটা ছিল অবিশ্বাস্য একটা অভিজ্ঞতা। আর গোল করা তো ছিল একটা স্বপ্ন। আমি এখনো বিশ্বাসই করতে পারছি না!’
পরশুর এল ক্লাসিকো কয়েকটি দিক দিয়েই ছিল আলাদা। সাধারণত দুই দলের আক্রমণভাগের লড়াই হলেও এদিন আসল খেলাটি হয়েছে রক্ষণে। দুই দলই অসংখ্য সুযোগ তৈরি করেও তাই পুরো ম্যাচে একটি করে গোল পেয়েছে। রোনালদোকে ভারানের চেয়েও দুর্দান্ত এক স্লাইডিং ট্যাকল করেছেন জেরার্ড পিকে। পরশুর এল ক্লাসিকো যেন ছিল সত্যিকারের এক ক্লাসিক লড়াই। গত কয়েকটি এল ক্লাসিকোর কদর্যতা ছিল না। আগুন উত্তেজনার আঁচ প্রায় সময়ই অনুভব করা গেলেও খেলোয়াড়েরা শেষ পর্যন্ত খেলা হিসেবেই নিয়েছেন। ম্যাচ শেষে দুই দল আন্তরিকভাবে জার্সি বদল করেছেন, হাত মিলিয়েছেন। এই উষ্ণতা বিনিময়ের মিছিলে মেসি-রোনালদো হাত মিলিয়েছেন কি না, জানা যায়নি! তবে আশা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ফিরতি লেগে ওই দৃশ্যটা দেখবে ন্যু ক্যাম্প। এএফপি, রয়টার্স।
এল ক্লাসিকো উবাচ
লিডটা বাড়িয়ে নিতে আমরা বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিলাম। অবশ্য মাদ্রিদে ড্রও অনেক ভালো ফল। আগেই বলেছিলাম, এই লড়াই নিষ্পত্তি হবে বার্সেলোনায়। আমার কথাই সত্যি হলো।
—জর্ডি রৌরা, বার্সার ভারপ্রাপ্ত কোচ
আমরা তাদের ফাঁক গলে বেরিয়ে যেতে দিয়েছি। আমরাই ভালো দল ছিলাম। আমরা নিয়ন্ত্রণ করেছি, গোলের বেশি সুযোগ তৈরি করেছি। অদ্ভুত এক অনুভূতি হচ্ছে।
—জাভি, বার্সা মিডফিল্ডার
ও (ভারান) দুর্দান্ত খেলল। শুধু কয়েকটি দারুণ সেভই করেনি, সমতা ফেরানো গোলটিও করেছে। এটা ওকে অনেক আত্মবিশ্বাস জোগাবে। ওর বয়সও মাত্র ১৯।
—আইতর কারাঙ্কা, রিয়ালের সহকারী কোচ
ও (ভারান) অবিশ্বাস্য খেলেছে। দারুণ একটা পারফরম্যান্সের শেষটা টেনেছে হেড থেকে গোল করে, যে গোল আমাদের এই লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখল।
—এমিলিও বুত্রাগুয়েনো, রিয়ালের পরিচালক
No comments