হামাসকে ইসরায়েলের ছয় শর্ত না মানলে স্থল অভিযান-* ইসরায়েলি হামলা চলছে -* গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৮
যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসকে ছয় শর্ত দিয়েছে ইসরায়েল। সিদ্ধান্ত নিতে সময় দিয়েছে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা। না মানলে স্থল অভিযান শুরু হবে বলে হুমকি দিয়েছে তারা। তবে হামাস শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। এ নিয়ে মিসরের রাজধানী কায়রোয় উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা অচলাবস্থায় পেঁৗছেছে।
কায়রো থেকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম গতকাল সোমবার এ খবর দিয়েছে।
আলোচনা সত্ত্বেও গতকাল ষষ্ঠ দিনের মতো গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় গতকালও ১৪ ফিলিস্তিনি মারা যায়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৮ জনে। বিপরীতে গাজা থেকে ছোড়া রকেটে গত ছয় দিনে ইসরায়েলে মারা গেছে তিনজন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, গত ছয় দিনে গাজার বিদ্রোহীরা ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ৮৫০টিরও বেশি রকেট ছুড়েছে। এর মধ্যে ৩০২টি রকেট ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্ররোধী আয়রন ডোম ব্যবস্থার বাধা পেয়ে ধ্বংস হয়। রকেট হামলার জবাবে গাজার অন্তত এক হাজার ৩৫০টি লক্ষ্যস্থলে হামলা চালায় তারা। এর মধ্যে হামাসের ছিল মালিকানাধীন ভবন, অস্ত্র ভাণ্ডার ও পুলিশ স্টেশন। সাধারণ মানুষের বাড়িঘরও বাদ পড়েনি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত রবিবারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, গাজায় স্থল অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি আছে তাঁদের।
ব্রিটেনভিত্তিক সাহায্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন হুঁশিয়ার করেছে, গাজায় খাদ্য ও পানির মজুদ ফুরিয়ে আসছে। বেশির ভাগ মানুষ বাড়ির মধ্যে আটকা পড়ে আছে। দিন-রাত মিলিয়ে অন্তত ১৮ ঘণ্টাই বিদ্যুৎবিহীন কাটছে তাদের।
সহিংসতা বন্ধে হামাস ও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে মিসর। তবে কায়রোয় রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কোনো পক্ষই সমঝোতায় পেঁৗছাতে পারছে না বলে দাবি করছে সংবাদমাধ্যমগুলো। ইসরায়েল তাদের বিমান হামলা বন্ধের আগে হামাসের কাছে রকেট হামলা বন্ধের দাবি জানাচ্ছে। আর রকেট হামলা বন্ধের শর্ত হিসেবে গাজার ওপর থেকে ছয় বছরের অবরোধ তুলে নিতে ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছে হামাস। গতকাল কায়রো থেকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসকে ছয়টি শর্ত দিয়েছে ইসরায়েল। শর্তের মধ্যে রয়েছে_অন্তত ১৫ বছরের জন্য ইসরায়েলে রকেট হামলা বন্ধের অঙ্গীকার, গাজায় অবিলম্বে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া, ইসরায়েল লক্ষ্য করে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সব পক্ষের রকেট হামলা বন্ধ এবং গাজা সীমান্তের কাছে অবস্থানকারী ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া যেকোনো ধরনের হামলার পরই সন্ত্রাসীদের ধরতে বা হামলার তথ্য সংগ্রহে অভিযান চালানোর অধিকার চেয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি গাজা ও মিসরের মধ্যে রাফাহ সীমান্ত খোলা থাকলেও গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া এবং হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির চুক্তির ক্ষেত্রে মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ও মিসরীয় রাজনীতিবিদদের সমর্থন চেয়েছে ইসরায়েল।
ওই সব পত্রপত্রিকার খবরে দাবি করা হয়, হামাসকে ৪৮ থেকে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শর্তের বিষয়ে জবাব দিতে বলেছে ইসরায়েল। না মানলে গাজায় স্থল অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছে তারা। হামাস তাৎক্ষণিকভাবে সব শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে আলোচনায় জড়িত কোনো পক্ষই সংবাদমাধ্যমের এসব খবর নিশ্চিত করেনি।
এদিকে মিসরের প্রেসিডেন্ট মুরসি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইসরায়েল গাজায় স্থল অভিযান শুরু করলে এর 'প্রতিক্রিয়া হবে গুরুতর'। মিসর ও বিশ্বের কেউই তা মেনে নেবে না। আজ মঙ্গলবার আরব লিগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিশেষ প্রতিনিধিদলের গাজা যাওয়ার কথা রয়েছে। মুরসি ও জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন শিগগির গাজা সফরের ঘোষণা দিয়েছেন। বান কি মুন উভয় পক্ষকেই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
আলোচনা সত্ত্বেও গতকাল ষষ্ঠ দিনের মতো গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় গতকালও ১৪ ফিলিস্তিনি মারা যায়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৮ জনে। বিপরীতে গাজা থেকে ছোড়া রকেটে গত ছয় দিনে ইসরায়েলে মারা গেছে তিনজন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, গত ছয় দিনে গাজার বিদ্রোহীরা ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ৮৫০টিরও বেশি রকেট ছুড়েছে। এর মধ্যে ৩০২টি রকেট ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্ররোধী আয়রন ডোম ব্যবস্থার বাধা পেয়ে ধ্বংস হয়। রকেট হামলার জবাবে গাজার অন্তত এক হাজার ৩৫০টি লক্ষ্যস্থলে হামলা চালায় তারা। এর মধ্যে হামাসের ছিল মালিকানাধীন ভবন, অস্ত্র ভাণ্ডার ও পুলিশ স্টেশন। সাধারণ মানুষের বাড়িঘরও বাদ পড়েনি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত রবিবারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, গাজায় স্থল অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি আছে তাঁদের।
ব্রিটেনভিত্তিক সাহায্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন হুঁশিয়ার করেছে, গাজায় খাদ্য ও পানির মজুদ ফুরিয়ে আসছে। বেশির ভাগ মানুষ বাড়ির মধ্যে আটকা পড়ে আছে। দিন-রাত মিলিয়ে অন্তত ১৮ ঘণ্টাই বিদ্যুৎবিহীন কাটছে তাদের।
সহিংসতা বন্ধে হামাস ও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে মিসর। তবে কায়রোয় রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কোনো পক্ষই সমঝোতায় পেঁৗছাতে পারছে না বলে দাবি করছে সংবাদমাধ্যমগুলো। ইসরায়েল তাদের বিমান হামলা বন্ধের আগে হামাসের কাছে রকেট হামলা বন্ধের দাবি জানাচ্ছে। আর রকেট হামলা বন্ধের শর্ত হিসেবে গাজার ওপর থেকে ছয় বছরের অবরোধ তুলে নিতে ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছে হামাস। গতকাল কায়রো থেকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসকে ছয়টি শর্ত দিয়েছে ইসরায়েল। শর্তের মধ্যে রয়েছে_অন্তত ১৫ বছরের জন্য ইসরায়েলে রকেট হামলা বন্ধের অঙ্গীকার, গাজায় অবিলম্বে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া, ইসরায়েল লক্ষ্য করে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সব পক্ষের রকেট হামলা বন্ধ এবং গাজা সীমান্তের কাছে অবস্থানকারী ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া যেকোনো ধরনের হামলার পরই সন্ত্রাসীদের ধরতে বা হামলার তথ্য সংগ্রহে অভিযান চালানোর অধিকার চেয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি গাজা ও মিসরের মধ্যে রাফাহ সীমান্ত খোলা থাকলেও গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া এবং হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির চুক্তির ক্ষেত্রে মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ও মিসরীয় রাজনীতিবিদদের সমর্থন চেয়েছে ইসরায়েল।
ওই সব পত্রপত্রিকার খবরে দাবি করা হয়, হামাসকে ৪৮ থেকে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শর্তের বিষয়ে জবাব দিতে বলেছে ইসরায়েল। না মানলে গাজায় স্থল অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছে তারা। হামাস তাৎক্ষণিকভাবে সব শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে আলোচনায় জড়িত কোনো পক্ষই সংবাদমাধ্যমের এসব খবর নিশ্চিত করেনি।
এদিকে মিসরের প্রেসিডেন্ট মুরসি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইসরায়েল গাজায় স্থল অভিযান শুরু করলে এর 'প্রতিক্রিয়া হবে গুরুতর'। মিসর ও বিশ্বের কেউই তা মেনে নেবে না। আজ মঙ্গলবার আরব লিগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিশেষ প্রতিনিধিদলের গাজা যাওয়ার কথা রয়েছে। মুরসি ও জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন শিগগির গাজা সফরের ঘোষণা দিয়েছেন। বান কি মুন উভয় পক্ষকেই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments