হলুদে বরণ by তৌহিদা শিরোপা
হলুদ শাড়ি লাল পাড়। হাতে-পায়ে আলতা। গাঁদা-গোলাপ ফুলের গয়না। একটা সময় হলুদের দিনে এভাবেই মেয়েকে সাজানো হতো। সেই ঐতিহ্যের ছোঁয়া রেখেই এখন সাজে পরিবর্তন এসেছে। সুতি শাড়ির পাশাপাশি কাতান, সিল্ক, হাফ সিল্ক ও জামদানি পরেন অনেকে। মুখের সাজে ন্যাচারাল লুকটাই পছন্দ করছেন সবাই। তাতে হাল সময়ের ছোঁয়া দিতে লিপস্টিকে ব্যবহার করা হচ্ছে উজ্জ্বল রং।
রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান বলেন, ‘হলুদের সাজ স্নিগ্ধ হতে হবে। এখনকার কনেরা মুখের বেইস হালকা দিতে চান। চোখ সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন হালকা রঙের আইশ্যাডো। তবে কাজল ও আইলাইনার গাঢ় করে দিলে চোখ আর্কষণীয় দেখাবে। লাল, কমলা বা খয়েরির মতো উজ্জ্বল ও গাঢ় রঙের লিপস্টিক দিয়ে রাঙাতে পারেন ঠোঁট। মাথায় ফুলের গয়না থাকলেও কপালে থাকতে পারে লাল টিপ।’
বহু বছর ধরে হলুদের কনে নিজেকে সাজিয়ে তোলেন পছন্দমতো ফুল দিয়ে। গাঁদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা তো আছেই। ফুলের গয়নার তালিকায় চমক আনছে নিত্য-নতুন গয়নার নকশা।পুঁতি, পাথর, ফিতা এমনকি জারদৌসির নকশা করা গয়না পরছেন কনেরা। কৃত্রিম ফুলে চাহিদা থাকলেও তাজা ফুলের আবেদন চিরন্তন। ঢাকার শাহবাগের ফুলতলী পুষ্পালয়ের বিক্রেতা পনু জানান, জিপসি, ছোট গোলাপ, ক্যালান্ডুলা, কাঠগোলাপ ও কাঠবেলির চাহিদা বেশি। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে রং-বেরঙের অর্কিডও ব্যবহার করা হচ্ছে গায়েহলুদের গয়নায়।
গলার গয়নায় নতুনত্ব আনতে চিকের পাশাপাশি কয়েক ছড়ার মালাও যোগ করতে পারেন। মুখের গড়ন ভারী হলে বেণি বা খোলা চুলের স্টাইল করলে ভালো লাগবে। ছোট মুখের গড়নে হালকা নকশার গয়না মানায় ভালো। এ সময় হলুদের গয়নায় নতুন মাত্রা এনেছে মনোরম নকশার ঝুমকা রাখি।
এখন অনেকেই ছেলে-মেয়ের হলুদ একসঙ্গে করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে দুজনকে একই রঙের পোশাক না পরিয়ে বিপরীত রঙের পোশাক পরাতে পারেন। যেমন: মেয়ের শাড়ির পাড়ে যদি মেরুন রং থাকে, তাহলে ছেলের উত্তরীয় বা ওড়নাটি মেরুন রঙের হতে পারে। ফ্যাশন ডিজাইনার এমদাদ হক বলেন, ‘হলুদে ছেলের জন্য বেছে নিতে পারেন চাপা সাদা, সাদা, মেরুন, সবুজ বা ইট বর্ণের পাঞ্জাবি। শীতের জন্য কটি বা শাল ব্যবহার করতে পারেন। পাঞ্জাবির ঝুলটা লম্বা হলে ভালো। সালোয়ার হতে পারে চুড়িদার, পাতিওয়ালা কিংবা স্ট্রেইট কাটের।’
হলুদের শাড়ি বলে শুধু হলুদ রংকেই বেছে নিতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। মেহেদি রং, মেরুন, গাঢ় নীল ও সাদা রঙের শাড়ি পরছেন কেউ কেউ। তবে হলুদের শাড়ি হিসেবে বাসন্তী ও লাল রঙের শাড়ির কোনো জুড়ি নেই। টাঙ্গাইল শাড়ি কুটিরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরা ইমদাদ জানান, শাড়ি সুতি বা সিল্ক যা-ই হোক না কেন, ব্লাউজের নকশা ও কাটে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই পোশাক সব সময়ের মতো গায়েহলুদের অনুষ্ঠানেও পরা উচিত।
অন্যান্য আয়োজন
আজকাল হলুদের আয়োজনে মঞ্চ ও ডালা-কুলা সজ্জায় অনেক বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আন্তরিকতার ছোঁয়া দিতে ঘরোয়াভাবেই এর আয়োজন করতে পারেন। আর পেশাদার বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজকেরা তো আছেনই। চাইলে তাঁদের সাহায্য ও মতামত নিতে পারেন।
বহু বছর ধরে হলুদের কনে নিজেকে সাজিয়ে তোলেন পছন্দমতো ফুল দিয়ে। গাঁদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা তো আছেই। ফুলের গয়নার তালিকায় চমক আনছে নিত্য-নতুন গয়নার নকশা।পুঁতি, পাথর, ফিতা এমনকি জারদৌসির নকশা করা গয়না পরছেন কনেরা। কৃত্রিম ফুলে চাহিদা থাকলেও তাজা ফুলের আবেদন চিরন্তন। ঢাকার শাহবাগের ফুলতলী পুষ্পালয়ের বিক্রেতা পনু জানান, জিপসি, ছোট গোলাপ, ক্যালান্ডুলা, কাঠগোলাপ ও কাঠবেলির চাহিদা বেশি। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে রং-বেরঙের অর্কিডও ব্যবহার করা হচ্ছে গায়েহলুদের গয়নায়।
গলার গয়নায় নতুনত্ব আনতে চিকের পাশাপাশি কয়েক ছড়ার মালাও যোগ করতে পারেন। মুখের গড়ন ভারী হলে বেণি বা খোলা চুলের স্টাইল করলে ভালো লাগবে। ছোট মুখের গড়নে হালকা নকশার গয়না মানায় ভালো। এ সময় হলুদের গয়নায় নতুন মাত্রা এনেছে মনোরম নকশার ঝুমকা রাখি।
এখন অনেকেই ছেলে-মেয়ের হলুদ একসঙ্গে করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে দুজনকে একই রঙের পোশাক না পরিয়ে বিপরীত রঙের পোশাক পরাতে পারেন। যেমন: মেয়ের শাড়ির পাড়ে যদি মেরুন রং থাকে, তাহলে ছেলের উত্তরীয় বা ওড়নাটি মেরুন রঙের হতে পারে। ফ্যাশন ডিজাইনার এমদাদ হক বলেন, ‘হলুদে ছেলের জন্য বেছে নিতে পারেন চাপা সাদা, সাদা, মেরুন, সবুজ বা ইট বর্ণের পাঞ্জাবি। শীতের জন্য কটি বা শাল ব্যবহার করতে পারেন। পাঞ্জাবির ঝুলটা লম্বা হলে ভালো। সালোয়ার হতে পারে চুড়িদার, পাতিওয়ালা কিংবা স্ট্রেইট কাটের।’
হলুদের শাড়ি বলে শুধু হলুদ রংকেই বেছে নিতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। মেহেদি রং, মেরুন, গাঢ় নীল ও সাদা রঙের শাড়ি পরছেন কেউ কেউ। তবে হলুদের শাড়ি হিসেবে বাসন্তী ও লাল রঙের শাড়ির কোনো জুড়ি নেই। টাঙ্গাইল শাড়ি কুটিরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরা ইমদাদ জানান, শাড়ি সুতি বা সিল্ক যা-ই হোক না কেন, ব্লাউজের নকশা ও কাটে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই পোশাক সব সময়ের মতো গায়েহলুদের অনুষ্ঠানেও পরা উচিত।
অন্যান্য আয়োজন
আজকাল হলুদের আয়োজনে মঞ্চ ও ডালা-কুলা সজ্জায় অনেক বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আন্তরিকতার ছোঁয়া দিতে ঘরোয়াভাবেই এর আয়োজন করতে পারেন। আর পেশাদার বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজকেরা তো আছেনই। চাইলে তাঁদের সাহায্য ও মতামত নিতে পারেন।
No comments