ওবামা ৫০* মনমোহন ৪৭*
সরকারপ্রধান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওমাবার ৫০ দেশ সফর পূর্ণ হতে যাচ্ছে চলতি এশিয়া সফরের মধ্য দিয়ে। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মিয়ানমারে প্রথম পা রেখেছেন তিনি। শুরুতে গেছেন থাইল্যান্ডে। শেষ গন্তব্য কম্বোডিয়া হবে তাঁর প্রথম মেয়াদে সফরের ৫০তম দেশ।
বিপরীতে এশিয়ার উদিয়মান পরাশক্তি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এ ক্ষেত্রে ৪৭-এ অপরাজিত আছেন। গত রবিবার মনমোহনের সফরের তালিকায় ৪৭তম দেশ হিসেবে যুক্ত হয়েছে কম্বোডিয়া। যদিও চলতি মেয়াদের আগেও চার বছর সরকারপ্রধান ছিলেন তিনি।বিদেশ সফরের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ওবামা দুই মেয়াদ মিলিয়ে সফরের 'সেঞ্চুরি' পূরণ করতে পারেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এখন পর্যন্ত অন্য কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ 'মাইলফলক' ছুঁতে পারেননি। ওবামার পূর্বসুরি জর্জ ডাবি্লউ বুশও দুই মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র শাসন করেছেন। তিনি আট বছরে সফর করেছেন ৭৪টি দেশ। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও দুই মেয়াদে সফর করেন ৭৪ দেশ। সে অনুযায়ী ক্লিনটন-বুশ দুজনে সফর করেছেন ৯৪টি আলাদা দেশ, যেসব দেশের জনসংখ্যা বিশ্বের ৮৫ শতাংশ। এর মধ্যে ভারত ও চীন এ দুই দেশের দখলেই ৫০ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিদেশ সফরের ইতিহাস এক শতাব্দীরও বেশি পুরনো। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিদেশ সফর করেন থিওডোর রুজভেল্ট। যুক্তরাষ্ট্রের ২৬তম এ প্রেসিডেন্ট ১৯০৬ সালে সস্ত্রীক পানামা যান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের (১৯১৪-১৯১৮) পর উড্রো উইলসন জাহাজে করে ইউরোপ সফর করেন তিনি। সেখানে ছিলেন ছয় মাসেরও বেশি সময়।
এরও ৩০ বছর আগে ইউলিসিস গ্র্যান্ট বিশ্ব সফরে বেরিয়েছিলেন। তবে ১৮তম এ প্রেসিডেন্ট ১৮৭৭ সালে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর দেশের বাইরে পা রাখেন। ওই সফরে চীন যাওয়ার পথে তিনি যেসব জায়গায় বিরতি দেন, সে তালিকায় মুম্বাই, আগ্রা, কলকাতাও ছিল। এরপর ইয়াঙ্গুন ও ব্যাংকক হয়ে চীন যান তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিমানে করে প্রথম বিদেশ সফর করেন ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments