এক মঞ্চে অনেক তারা by কামরুজ্জামান

কতদিন দেখা যায় না তাঁদেরকে? কাদের কথা বলছি? সত্তর, আশিতে যারা কখনো পোশাকি ছবি, কখনো লোকগাথাভিত্তিক ছবিতে নানা চরিত্রে নিজেদের গ্রহণযোগ্য করে তুলেছিলেন। ইলিয়াস জাভেদ, মাহমুদ কলি, রোজিনা, অঞ্জনার কথা বলা হচ্ছে বিশেষ করে।


তাঁদের দেখা গেলা মেরিল-প্রথম আলো অনুষ্ঠানে। তারা হয়ে মঞ্চে এসে আলোকিত করলেন সবাইকে।
টেনশনটা অনুষ্ঠানের দিন কবরীকে নিয়েই শুরু হলো। কবরী নারায়ণগঞ্জে যাবেন এবং বিকেলে রওয়ানা দিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে আসবেন। সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে তিনি গুলিস্তানে। তবে ঠিকই পৌঁছে গেলেন অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক মিনিট পরেই। অঞ্জনার মুঠোফোন বন্ধ। উত্তেজনার শেষ নেই। একটু পরেই অঞ্জনা এসে বলছেন, আমি কিন্তু এখানে।
আর জাভেদ যানজটের ভয়ে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে সবার আগেই চলে এসেছেন!
রাজ্জাক সেন্সর বোর্ডের সদস্য। তিনি বলেছিলেন, ছবি দেখে আসবেন। কিন্তু যানজট হবে বুঝতে পেরে আগেই চলে এলেন। খলিলুল্লাহ খানকে দেখে তিনি মহা খুশি। জড়িয়ে ধরলেন। বললেন, আমার আত্মার মানুষ তিনি। দিতি, মাহমুদ কলি এসেছেন। এসেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
বেশ পরিপাটি হয়েই আলমগীর রুনা লায়লা অনুষ্ঠানে এসেছেন এবং পুরস্কৃত করেছেন অন্যদের।
মেরিল-প্রথম আলো অনুষ্ঠানে ১০ বার পুরস্কার নিয়েছেন শাবনূর। শাবনূর এবারে পুরস্কার তুলে দিলেন। মঞ্চে ওঠার আগে বাংলাদেশে ক্রিকেট দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার শাবনূরকে বললেন, আজ আমি আপনার পাশে দাঁড়াব, আপনি বলবেন, দর্শকদের সঙ্গে আমিও আপনার কথা শুনব।
শাবনূর বললেন, তাই কী হয়। আপনি বলবেন, আমি তো কথা বলতে পারি না।
কিন্তু তিশা ঠিকই কথা বলালেন শাবনূরকে। কবিতা পর্যন্ত পড়িয়ে নিলেন।
সিনেমার এই তারাদের এক সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা গেছে কবে?
গত ১০ বছরেও কি তাঁদের একসঙ্গে এভাবে দেখা গেছে?
সত্যিই তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।

No comments

Powered by Blogger.