সমকামিতার অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন আনোয়ার
সমকামিতার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন মালয়েশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণকে ‘অনির্ভরযোগ্য’ উল্লেখ করে কুয়ালালামপুরের একটি আদালত গতকাল সোমবার তাঁকে মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন। আদালতের রায় ঘোষণার পর অন্যদের পাশাপাশি আনোয়ার ইব্রাহিম নিজেও বিস্ময় প্রকাশ করেন। রায় ঘোষণার পর আদালতকক্ষে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, আমি কিছুটা বিস্মিত।
’ তবে তিনি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ, ন্যায়বিচার পেয়েছি।’ সরকারের পক্ষে তথ্যমন্ত্রী রাইস ইয়াতিম বলেন, মালয়েশিয়ার বিচারব্যবস্থা স্বাধীন। এ মামলার রায় প্রমাণ করে, সরকার বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করে না।
২০০৮ সালের আগস্টে আনোয়ারের রাজনৈতিক সহযোগী সাইফুল বুখারি আজলান তাঁর বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ আনেন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর বিচার শুরু হয়।
বিচারক জাবিদিন মোহাম্মদ দিয়াহ বলেন, অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে কৌঁসুলিরা যে ডিএনএ নমুনা দাখিল করেছেন, তা নষ্ট করা হয়েছে। এটা অনির্ভরযোগ্য। তাই অভিযোগ থেকে আনোয়ারকে খালাস দেওয়া হলো।
বিচারক বলেন, এটি যৌন হয়রানিমূলক মামলা। আদালত বিতর্কিত ডিএনএ পরীক্ষার প্রমাণের ভিত্তিতে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেন না।
মুসলিম-অধ্যুষিত দেশ মালয়েশিয়ায় সমকামিতা ফৌজদারি অপরাধ। অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হতো, তাহলে আনোয়ারের ৬৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনেরও মৃত্যুঘণ্টা বাজত।
আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বিন মোহাম্মদের প্রধান রাজনৈতিক সহযোগী ছিলেন আনোয়ার। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উপপ্রধানমন্ত্রী থাকাকালেই ১৯৯৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম সমকামিতার অভিযোগ ওঠে। পরে সমকামিতা ও আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে মাহাথিরের মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।
ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ১৯৯৯ সালে আনোয়ারের ছয় বছরের কারাদণ্ড হয়। ২০০০ সালে সমকামিতার অভিযোগে তিনি পৃথকভাবে আরও নয় বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। পরে তিনি এই শাস্তির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। উচ্চ আদালত ২০০৪ সালে দণ্ড মওকুফ করে তাঁকে খালাস দেন।
এরপর আনোয়ার দ্রুতই নিজেকে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৮ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী না হলেও উল্লেখযোগ্য সফলতা পান। ক্ষমতাসীন দল অল্প ব্যবধানে জয়ী হয়। ওই বছরের আগস্টে ফের তাঁর বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ আনা হয়। গতকাল সেই মামলার রায় দেওয়া হলো।
২০১৩ সালে মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচন হলে আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ভালো ফল করবে।
মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় নির্বাচনী জরিপ প্রতিষ্ঠান মারদেকা সেন্টারের প্রধান ইব্রাহিম সুফিয়ান বলেন, আদালতের এ রায়ের ফলে নির্বাচনী মাঠ অনেক বেশি উন্মুক্ত হয়ে গেল।
রায় ঘোষণার পর নিজ বাড়িতে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আনোয়ার বলেন, ‘সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে আমার বিশ্বাস, আমরাই জয়ী হব।’ এএফপি, বিবিসি ও রয়টার্স।
২০০৮ সালের আগস্টে আনোয়ারের রাজনৈতিক সহযোগী সাইফুল বুখারি আজলান তাঁর বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ আনেন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর বিচার শুরু হয়।
বিচারক জাবিদিন মোহাম্মদ দিয়াহ বলেন, অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে কৌঁসুলিরা যে ডিএনএ নমুনা দাখিল করেছেন, তা নষ্ট করা হয়েছে। এটা অনির্ভরযোগ্য। তাই অভিযোগ থেকে আনোয়ারকে খালাস দেওয়া হলো।
বিচারক বলেন, এটি যৌন হয়রানিমূলক মামলা। আদালত বিতর্কিত ডিএনএ পরীক্ষার প্রমাণের ভিত্তিতে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেন না।
মুসলিম-অধ্যুষিত দেশ মালয়েশিয়ায় সমকামিতা ফৌজদারি অপরাধ। অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হতো, তাহলে আনোয়ারের ৬৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনেরও মৃত্যুঘণ্টা বাজত।
আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বিন মোহাম্মদের প্রধান রাজনৈতিক সহযোগী ছিলেন আনোয়ার। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উপপ্রধানমন্ত্রী থাকাকালেই ১৯৯৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম সমকামিতার অভিযোগ ওঠে। পরে সমকামিতা ও আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে মাহাথিরের মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।
ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ১৯৯৯ সালে আনোয়ারের ছয় বছরের কারাদণ্ড হয়। ২০০০ সালে সমকামিতার অভিযোগে তিনি পৃথকভাবে আরও নয় বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। পরে তিনি এই শাস্তির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। উচ্চ আদালত ২০০৪ সালে দণ্ড মওকুফ করে তাঁকে খালাস দেন।
এরপর আনোয়ার দ্রুতই নিজেকে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৮ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী না হলেও উল্লেখযোগ্য সফলতা পান। ক্ষমতাসীন দল অল্প ব্যবধানে জয়ী হয়। ওই বছরের আগস্টে ফের তাঁর বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ আনা হয়। গতকাল সেই মামলার রায় দেওয়া হলো।
২০১৩ সালে মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচন হলে আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ভালো ফল করবে।
মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় নির্বাচনী জরিপ প্রতিষ্ঠান মারদেকা সেন্টারের প্রধান ইব্রাহিম সুফিয়ান বলেন, আদালতের এ রায়ের ফলে নির্বাচনী মাঠ অনেক বেশি উন্মুক্ত হয়ে গেল।
রায় ঘোষণার পর নিজ বাড়িতে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আনোয়ার বলেন, ‘সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে আমার বিশ্বাস, আমরাই জয়ী হব।’ এএফপি, বিবিসি ও রয়টার্স।
No comments