সিরিয়ায় নির্যাতন বন্ধের আহ্বান আরব লিগের, নইলে ব্যবস্থা

র্যবেক্ষকদের আরও স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে সিরিয়া সরকারের প্রতি আবার আহ্বান জানিয়েছে আরব লিগ। একই সঙ্গে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্যাতন বন্ধের কথাও বলেছে। অন্যথায় পর্যবেক্ষকদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আগামী বৈঠকে সিরিয়ার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।তবে সিরিয়ায় শান্তি কার্যক্রম তদারকিতে আরব লিগের পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করার


বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সংস্থাটি। গত রোববার সিরিয়ায় শান্তি কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে আরব লিগের নেতারা কায়রোয় এক বৈঠক করেন। বৈঠকে বলা হয়েছে, সিরিয়া সরকার দমন-পীড়ন বন্ধে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এখনো তার সামান্যই বাস্তবায়ন করেছে। আটক বিক্ষোভকারীদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া এবং শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করার বাইরে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি তারা।
বৈঠক শেষে এক ইশতেহারে বলা হয়, সিরিয়ায় আরব লিগের পর্যবেক্ষকদের সংখ্যা ও তাঁদের ক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে। বর্তমানে ১৬৫ জন পর্যবেক্ষক সেখানে অবস্থান করছেন।
সিরিয়ার সরকারবিরোধীরা পর্যবেক্ষকদের কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের বক্তব্য, আরব লিগের নখদন্তহীন পর্যবেক্ষকদের শান্তি কার্যক্রম অর্থহীন। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ প্রতিপক্ষ দমনে আরও বেশি সময় পাচ্ছেন।
আরব লিগের কর্মকর্তারা জানান, পর্যবেক্ষকেরা সিরিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে ১৯ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন জমা দেবেন। সংঘাত নিরসনে সরকারের অঙ্গীকার এবং আরব লিগকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি কতটা রক্ষা করা হয়েছে, প্রতিবেদনটিতে তার উল্লেখ থাকবে। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আরব লিগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ১৯ ও ২০ জানুয়ারি সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসবেন।
গত রোববার বৈঠক শেষে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জাসিম আল-থানি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যদি প্রতিবেদনে বলা হয় যে সেখানে সহিংসতা বন্ধ হয়নি, তাহলে ওই বিষয়ে আরব লিগের পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার আছে। সিরিয়ার মানুষের কাছে আমাদের স্বচ্ছ ও সৎ থাকতে হবে।’
অবশ্য পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদন সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে গেলে আরব লিগ কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে শেখ হামাদ কিছু বলেননি।
কাতার আরব লিগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। সিরিয়ার সংকট সমাধানে দেশটি জাতিসংঘের কারিগরি ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের সহায়তার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। তবে আরব লিগ বলছে, তারা এখনো জাতিসংঘের সহায়তা চায়নি।
সিরিয়ার সরকারবিরোধী রাজনৈতিক কর্মীরা প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে কঠোর আবস্থান নিতে না পারায় আরব লিগের কড়া সমালোচনা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, এটি আরব ষড়যন্ত্র। প্রতিদিন নারী ও শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। অথচ তারা নির্লজ্জের মতো চুপ করে আছে। রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.