স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়কেই দায়িত্ব নিতে হবে-পরীক্ষার ফল জালিয়াতি
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আট হাজারেরও বেশি পদে যখন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তখনই এর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি ছিল। সেটা তো হয়ইনি, যখন নানা অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তখনো বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়নি। লিখিত পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি এমন ১৪৪ জন চাকরি পেয়েগেছেন।অধিদপ্তর এখন তাঁদের নিয়োগ দিচ্ছে। জালিয়াতি আর কাকে বলে! লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের
তালিকা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল গত ৩০ আগস্ট। কিন্তু ২০ ডিসেম্বর মৌখিক পরীক্ষার যে ফল প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে দেখা গেল লিখিত পরীক্ষায় পাসই করতে পারেননি এমন ১৪৪ জনকে উত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে। চূড়ান্ত এই তালিকা প্রকাশ করার আগেই গত ২ নভেম্বর প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় এই জালিয়াতির বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছিল, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রীরও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। এ ধরনের অভিযোগ শুনেছেন জেনে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু মন্ত্রী যে কিছুই করেননি তার প্রমাণ পরবর্তী সময়ে ২০ ডিসেম্বর জালিয়াতিপূর্ণ ফল প্রকাশ।
নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা যেখানে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর তথা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, সেখানে জালিয়াতির বিষয়টি মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরার পরও যখন কাজ হয় না, তখন আসলেই মন্ত্রীর আশ্বাসে আস্থা রাখা কঠিন। তিনি কবে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কাছে বিষয়টি ‘জানতে চাইবেন’ আর কবে এই জালিয়াতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন, সেটাই বড় প্রশ্ন। নাকি আগের বারের মতো সময়ক্ষেপণ করে কার্যত এই জালিয়াতির বিষয়টিকেই বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা চলবে?
যেভাবে এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে, তাতে স্পষ্ট যে পরিকল্পিতভাবেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে এবং শক্তিশালী চক্র এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রী কোনোভাবেই এই দায় এড়াতে পারেন না। জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের নিয়োগ বাতিলের পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জালিয়াত চক্রকে চিহ্নিত ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই এখন মন্ত্রণালয়ের সামনে একমাত্র পথ।
নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা যেখানে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর তথা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, সেখানে জালিয়াতির বিষয়টি মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরার পরও যখন কাজ হয় না, তখন আসলেই মন্ত্রীর আশ্বাসে আস্থা রাখা কঠিন। তিনি কবে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কাছে বিষয়টি ‘জানতে চাইবেন’ আর কবে এই জালিয়াতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন, সেটাই বড় প্রশ্ন। নাকি আগের বারের মতো সময়ক্ষেপণ করে কার্যত এই জালিয়াতির বিষয়টিকেই বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা চলবে?
যেভাবে এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে, তাতে স্পষ্ট যে পরিকল্পিতভাবেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে এবং শক্তিশালী চক্র এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রী কোনোভাবেই এই দায় এড়াতে পারেন না। জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের নিয়োগ বাতিলের পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জালিয়াত চক্রকে চিহ্নিত ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই এখন মন্ত্রণালয়ের সামনে একমাত্র পথ।
No comments