রাম মন্দির নির্মাণে অযোধ্যায় পাথর এসে পৌঁছেছে
ভারতের
অযোধ্যায় বিতর্কিত ধর্মীয় স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য বিশ্ব
হিন্দু পরিষদের ডাকে সেখানে দু-ট্রাকভর্তি পাথর এসে পৌঁছেছে।
এই মন্দির নির্মাণের লক্ষ্যে যে ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে, তার প্রধান ওই শিলাখন্ডের পূজা সম্পন্ন করেছেন, এবং ঘোষণা করেছেন যে বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলেই এই মন্দির তৈরির কাজ শুরু হবে বলে তাদের বিশ্বাস।
অন্যদিকে বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটির সঙ্গে যুক্ত মুসলিম নেতারা বলছেন, সুপ্রিম কোর্টকে এড়িয়ে এভাবে মন্দির বানানোর জিগির তোলাটা দেশে দাঙ্গা বাঁধানোর কৌশল ছাড়া কিছু নয়।
উত্তরপ্রদেশের সরকার অবশ্য অযোধ্যার পরিস্থিতিতে কড়া নজর রাখছে বলে জানিয়েছে।
তেইশ বছর আগে অযোধ্যার যে জায়গায় বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, ঠিক সেখানেই রাম মন্দির বানানোর দাবি নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সারা দেশ থেকে শিলা সংগ্রহ করার ডাক দিয়েছিল মাস ছয়েক আগে।
সেই ডাকে সাড়া দিয়েই দু’ট্রাক ভর্তি শিলাখন্ড রবিবার অযোধ্যাতে এসে পৌঁছেছে – আর তারপর তা নামানো হয়েছে অযোধ্যাতে পরিষদের সম্পত্তি রামসেবক পুরমে।
অযোধ্যাতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য বহু বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে যে ট্রাস্ট, তার অধ্যক্ষ ও প্রবীণ সাধু মহন্ত নিত্য গোপাল দাস সেই শিলা পূজা সম্পাদন করেছেন এবং জানিয়েছেন মন্দির নির্মাণের সময় ঘনিয়ে আসছে।
তিনি বলছেন, ‘এই শিলা পূজার তাৎপর্য হল মন্দির নির্মাণের সম্ভাবনা খুব নিকটে চলে এসেছে। আমাদের বহুদিনের আশা ছিল এমন এক সরকার ক্ষমতায় আসবে যারা আমাদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল হবে। সৌভাগ্যক্রমে এখন বিজেপিরই সরকার এবং তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও আছে – ফলে আমরা চাইব নরেন্দ্র মোদির আমলেই যেন রামমন্দির তৈরির কাজ শুরু করে দেওয়া হয়।’
গত নির্বাচনের আগে বিজেপি অবশ্য ক্ষমতায় আসলে রাম মন্দির বানানোর কোন স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেয়নি – তারা তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে শুধু বলেছিল সাংবিধানিক কাঠামোর ভেতরে থেকে কীভাবে মন্দির বানানো সম্ভব, সেই সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হবে।
এই মন্দির নির্মাণের লক্ষ্যে যে ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে, তার প্রধান ওই শিলাখন্ডের পূজা সম্পন্ন করেছেন, এবং ঘোষণা করেছেন যে বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলেই এই মন্দির তৈরির কাজ শুরু হবে বলে তাদের বিশ্বাস।
অন্যদিকে বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটির সঙ্গে যুক্ত মুসলিম নেতারা বলছেন, সুপ্রিম কোর্টকে এড়িয়ে এভাবে মন্দির বানানোর জিগির তোলাটা দেশে দাঙ্গা বাঁধানোর কৌশল ছাড়া কিছু নয়।
উত্তরপ্রদেশের সরকার অবশ্য অযোধ্যার পরিস্থিতিতে কড়া নজর রাখছে বলে জানিয়েছে।
তেইশ বছর আগে অযোধ্যার যে জায়গায় বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, ঠিক সেখানেই রাম মন্দির বানানোর দাবি নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সারা দেশ থেকে শিলা সংগ্রহ করার ডাক দিয়েছিল মাস ছয়েক আগে।
সেই ডাকে সাড়া দিয়েই দু’ট্রাক ভর্তি শিলাখন্ড রবিবার অযোধ্যাতে এসে পৌঁছেছে – আর তারপর তা নামানো হয়েছে অযোধ্যাতে পরিষদের সম্পত্তি রামসেবক পুরমে।
অযোধ্যাতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য বহু বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে যে ট্রাস্ট, তার অধ্যক্ষ ও প্রবীণ সাধু মহন্ত নিত্য গোপাল দাস সেই শিলা পূজা সম্পাদন করেছেন এবং জানিয়েছেন মন্দির নির্মাণের সময় ঘনিয়ে আসছে।
তিনি বলছেন, ‘এই শিলা পূজার তাৎপর্য হল মন্দির নির্মাণের সম্ভাবনা খুব নিকটে চলে এসেছে। আমাদের বহুদিনের আশা ছিল এমন এক সরকার ক্ষমতায় আসবে যারা আমাদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল হবে। সৌভাগ্যক্রমে এখন বিজেপিরই সরকার এবং তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও আছে – ফলে আমরা চাইব নরেন্দ্র মোদির আমলেই যেন রামমন্দির তৈরির কাজ শুরু করে দেওয়া হয়।’
গত নির্বাচনের আগে বিজেপি অবশ্য ক্ষমতায় আসলে রাম মন্দির বানানোর কোন স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেয়নি – তারা তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে শুধু বলেছিল সাংবিধানিক কাঠামোর ভেতরে থেকে কীভাবে মন্দির বানানো সম্ভব, সেই সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হবে।
মন্দির
বানানোর জন্য তাদেরই সহযোগী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এখন যে দেশজুড়ে
পাথর সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে, বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য তা থেকে
নিজেদের দূরত্ব বজায় রাখারই চেষ্টা করছে।
দলের সিনিয়র নেতা বা সরকারের মন্ত্রীরাও কেউই এই আন্দোলনকে সমর্থন করে কোনও বিবৃতি দেননি।
পাশাপাশি বাবরি মসজিদ বনাম রামজন্মভূমি মামলায় মূল আবেদনকারীদের একজন হাশিম আনসারি এই শিলা পূজার তীব্র নিন্দা করেছেন।
মি আনসারি বলছেন, ‘যারা বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির বানানোর রাজনীতি করতে চাইছে, তারা নিজেদের ধর্ম নিয়েই তামাশা করছে। এই শিলাপূজা যারা করছে, তাদের কোনও ধর্ম নেই – এমন কী দেশের আইনকানুনকেও তারা পরোয়া করছে না। এটা পুরোটাই একটা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা। তবে আমাদের অবস্থান খুব পরিষ্কার – এই মন্দির-মসজিদ বিরোধে সুপ্রিম কোর্ট ছাড়া আমরা অন্য কারও নির্দেশ মানব না।’
অযোধ্যা ভারতের যে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত – সেখানে ক্ষমতায় আছে সমাজবাদী পার্টির সরকার, রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বও তাদের হাতে।
শিলাভর্তি ট্রাক অযোধ্যায় এনে যেভাবে তার পূজা সম্পাদন হয়েছে তাতে রাজ্য প্রশাসন স্পষ্টতই অস্বস্তিতে পড়েছে, এবং তারা জানিয়েছে যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন - তাই মন্দির বানানোর নাম করে কোনও অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না।
উত্তরপ্রদেশের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি দেবাশিস পাণ্ডা বলেছেন মন্দিরের জন্য নতুন করে আর কোনও পাথর অযোধ্যায় ঢুকতে দেয়া হবে না।
সূত্র : বিবিসি
দলের সিনিয়র নেতা বা সরকারের মন্ত্রীরাও কেউই এই আন্দোলনকে সমর্থন করে কোনও বিবৃতি দেননি।
পাশাপাশি বাবরি মসজিদ বনাম রামজন্মভূমি মামলায় মূল আবেদনকারীদের একজন হাশিম আনসারি এই শিলা পূজার তীব্র নিন্দা করেছেন।
মি আনসারি বলছেন, ‘যারা বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির বানানোর রাজনীতি করতে চাইছে, তারা নিজেদের ধর্ম নিয়েই তামাশা করছে। এই শিলাপূজা যারা করছে, তাদের কোনও ধর্ম নেই – এমন কী দেশের আইনকানুনকেও তারা পরোয়া করছে না। এটা পুরোটাই একটা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা। তবে আমাদের অবস্থান খুব পরিষ্কার – এই মন্দির-মসজিদ বিরোধে সুপ্রিম কোর্ট ছাড়া আমরা অন্য কারও নির্দেশ মানব না।’
অযোধ্যা ভারতের যে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত – সেখানে ক্ষমতায় আছে সমাজবাদী পার্টির সরকার, রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বও তাদের হাতে।
শিলাভর্তি ট্রাক অযোধ্যায় এনে যেভাবে তার পূজা সম্পাদন হয়েছে তাতে রাজ্য প্রশাসন স্পষ্টতই অস্বস্তিতে পড়েছে, এবং তারা জানিয়েছে যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন - তাই মন্দির বানানোর নাম করে কোনও অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না।
উত্তরপ্রদেশের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি দেবাশিস পাণ্ডা বলেছেন মন্দিরের জন্য নতুন করে আর কোনও পাথর অযোধ্যায় ঢুকতে দেয়া হবে না।
সূত্র : বিবিসি
No comments