সরকারের অদূরদর্শী কাজ-বিরোধীদলীয় মূল নেতাদের গ্রেপ্তার
সরকার একদিকে স্বীকার করছে যে বিরোধী দলের প্রতিবাদ-আন্দোলন করার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে, অন্যদিকে হঠাৎবিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি ও হয়রানি শুরু করেছে। প্রশাসনের মূল কেন্দ্র সচিবালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোর পর থেকে সরকার কেন্দ্রীয় নেতাদের ধরপাকড় শুরু করছে।
এটা নিশ্চয়ই সন্ত্রাসী কাজ, নিন্দনীয় ঘটনা। এর বিরুদ্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। এই নাশকতামূলক কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার করাই বাঞ্ছনীয়। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দাঁড় করানো সম্ভব। সচিবালয়ের চারপাশে গোপন ক্যামেরা থাকলে নিশ্চয়ই অপরাধীদের সম্পর্কে ধারণা করা যায়। তা ছাড়া হরতালের সময় সচিবালয়ের চারপাশে অনেক পুলিশ ও গোয়েন্দা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। এর মধ্যে কোনো আগন্তুক হুট করে এসে বাইরের রাস্তা থেকে সচিবালয়ের ভেতরে ককটেল ছুড়ল কীভাবে? তাহলে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা কী করেন? এই কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর ফাঁক দিয়ে কীভাবে অপরাধীরা অভিযান চালিয়ে নিরাপদে চলে যেতে পারল?
সহিংস হরতাল গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে কি না তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও শান্তিপ্রিয় জনসাধারণ হরতাল চায় না। বিশেষত, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় হরতাল কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। হরতালের সময় গাড়িতে আগুন দিয়ে চালক হত্যা, নির্বিচারে গাড়ি পোড়ানো, ভাঙচুরসহ হিংসাত্মক কাজের দায় নিশ্চয়ই বিরোধী দলকে নিতে হবে। এ জন্য ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত লোকজন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের সম্মুখীন করার যেসব পদক্ষেপ সরকার নিচ্ছে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বাভাবিক বিষয় বলে গণ্য হতে পারে। কিন্তু সরকার যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বাসায় তল্লাশি চালাচ্ছে, দলের যুগ্ম মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় বেশ কিছু নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে, তা কতটা যৌক্তিক?
সরকার বিরোধীদলীয় কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভিন্ন সহিংস ঘটনার জন্য হুকুমের আসামি বানিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় শুরু করেছে। সরকার যদি ভেবে থাকে যে এভাবে জোর-জুলুম চালিয়ে বিরোধী দলের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে, সেটা হবে চরম বোকামি। এই অদূরদর্শী কাজ থেকে সরকারের বিরত থাকা উচিত।
সহিংস হরতাল গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে কি না তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও শান্তিপ্রিয় জনসাধারণ হরতাল চায় না। বিশেষত, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় হরতাল কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। হরতালের সময় গাড়িতে আগুন দিয়ে চালক হত্যা, নির্বিচারে গাড়ি পোড়ানো, ভাঙচুরসহ হিংসাত্মক কাজের দায় নিশ্চয়ই বিরোধী দলকে নিতে হবে। এ জন্য ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত লোকজন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের সম্মুখীন করার যেসব পদক্ষেপ সরকার নিচ্ছে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বাভাবিক বিষয় বলে গণ্য হতে পারে। কিন্তু সরকার যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বাসায় তল্লাশি চালাচ্ছে, দলের যুগ্ম মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় বেশ কিছু নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে, তা কতটা যৌক্তিক?
সরকার বিরোধীদলীয় কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভিন্ন সহিংস ঘটনার জন্য হুকুমের আসামি বানিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় শুরু করেছে। সরকার যদি ভেবে থাকে যে এভাবে জোর-জুলুম চালিয়ে বিরোধী দলের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে, সেটা হবে চরম বোকামি। এই অদূরদর্শী কাজ থেকে সরকারের বিরত থাকা উচিত।
No comments