ছাত্রী ধর্ষণ মামলা-হোসনে আরার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় সাবেক অধ্যক্ষ হোসনে আরা ও বসুন্ধরা শাখার সাবেক প্রধান লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার শিক্ষক পরিমল জয়ধরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯(১) ও ৩০ ধারায় অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন। ঢাকার নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মো. আরিফুর রহমান এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি উত্থাপন করেননি। তবে ন্যায়বিচারের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তার সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করে বাদ দেওয়া দুই ব্যক্তি হোসনে আরা ও লুৎফুর রহমানকে আসামি হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে।
আদেশে আরও বলা হয়, অধ্যক্ষ হোসনে আরা ও লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিভাবক ও শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে শিক্ষক পরিমলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্ত যথাসময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাঁরা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। আদেশে তদন্ত কর্মকর্তার নিরপেক্ষতা ও দক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
আদেশে আরও বলা হয়, অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষেত্রে অকাট্য সাক্ষ্য-প্রমাণ অত্যাবশ্যক নয়। তবে সম্পৃক্ততার আপাতধারণা উপজাত হওয়াই যথেষ্ট। আর পুলিশ প্রতিবেদন গ্রহণ করা আদালতের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। আদালত পুলিশ প্রতিবেদন অগ্রায্য করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মোহাম্মদ ফোরকান মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, আদালত আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি আসামিদের গ্রেপ্তারসংক্রান্ত প্রতিবেদন রমনা ও বাড্ডা থানাকে দাখিল করতে আদেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, প্রথমে বাড্ডা থানার পরিদর্শক এস এম শাহাদত হোসেন ঘটনা তদন্ত করে গত বছরের ১৪ আগস্ট শিক্ষক পরিমলকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ নারাজি আবেদন করলে আদালত ডিবি পুলিশকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। ডিবি পুলিশও পরিমলের নামেই সম্পূরক অভিযোগপত্র দিলে বাদীপক্ষ ফের নারাজি আবেদন করেন।
গত বছরের ২৮ মে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখার পাশে একতলা ভবনের একটি কক্ষে ওই স্কুলের দশম শ্রেণীর একজন ছাত্রীকে পাশবিক নির্যাতন করা হয়। ঘটনার ১৮ দিন পরে ৫ জুলাই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় শিক্ষক পরিমল জয়ধর, অধ্যক্ষ হোসনে আরা এবং বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফুর রহমানকে আসামি করা হয়। গত বছরের ৭ জুলাই কেরানীগঞ্জের একটি বাসা থেকে পুলিশ পরিমলকে গ্রেপ্তার করে ।
আদেশে আরও বলা হয়, অধ্যক্ষ হোসনে আরা ও লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিভাবক ও শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে শিক্ষক পরিমলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্ত যথাসময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাঁরা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। আদেশে তদন্ত কর্মকর্তার নিরপেক্ষতা ও দক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
আদেশে আরও বলা হয়, অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষেত্রে অকাট্য সাক্ষ্য-প্রমাণ অত্যাবশ্যক নয়। তবে সম্পৃক্ততার আপাতধারণা উপজাত হওয়াই যথেষ্ট। আর পুলিশ প্রতিবেদন গ্রহণ করা আদালতের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। আদালত পুলিশ প্রতিবেদন অগ্রায্য করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মোহাম্মদ ফোরকান মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, আদালত আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি আসামিদের গ্রেপ্তারসংক্রান্ত প্রতিবেদন রমনা ও বাড্ডা থানাকে দাখিল করতে আদেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, প্রথমে বাড্ডা থানার পরিদর্শক এস এম শাহাদত হোসেন ঘটনা তদন্ত করে গত বছরের ১৪ আগস্ট শিক্ষক পরিমলকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ নারাজি আবেদন করলে আদালত ডিবি পুলিশকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। ডিবি পুলিশও পরিমলের নামেই সম্পূরক অভিযোগপত্র দিলে বাদীপক্ষ ফের নারাজি আবেদন করেন।
গত বছরের ২৮ মে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখার পাশে একতলা ভবনের একটি কক্ষে ওই স্কুলের দশম শ্রেণীর একজন ছাত্রীকে পাশবিক নির্যাতন করা হয়। ঘটনার ১৮ দিন পরে ৫ জুলাই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় শিক্ষক পরিমল জয়ধর, অধ্যক্ষ হোসনে আরা এবং বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফুর রহমানকে আসামি করা হয়। গত বছরের ৭ জুলাই কেরানীগঞ্জের একটি বাসা থেকে পুলিশ পরিমলকে গ্রেপ্তার করে ।
No comments