হাইকোর্টের রুল, রাজউকের মামলা নেয়নি থানা-বসুন্ধরার অবৈধ মাটি ভরাটকাজ বন্ধের নির্দেশ
রাজধানীর খিলক্ষেতের কাছে বোয়ালিয়া খাল ও ড্যাপের (ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান) আওতাধীন পানিধারণ এলাকায় বসুন্ধরার বেআইনি ভরাটকাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এদিকে এ খাল ভরাটের কার্যক্রম কেন বেআইনি হবে না এবং তা বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ
স্বতঃপ্রণোদিত রুল দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রথম আলোকে বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে রাজউকের চেয়ারম্যান এবং বসুন্ধরার ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
‘বোয়ালিয়া খাল ভরাট করে আবাসন প্রকল্প!’ শিরোনামে ৮ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন ছাপে প্রথম আলো। এটি আদালতের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন। এরপর শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশ: বসুন্ধরার চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা, ক্ষতিপূরণ আদায় এবং প্রকল্পের কাজে ব্যবহূত যন্ত্রপাতি কেন জব্দ করা হবে না, তা আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পরিবেশ অধিদপ্তরে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী গতকাল রাজউক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রকল্প এলাকা এবং খাল ও জলাশয় ভরাট কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরে বসুন্ধরার চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান (শাহ আলম) বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়।
রাজউকের মামলা নিতে থানার অনীহা: বোয়ালিয়া খাল ভরাটের অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) রোববার জলাধার সংরক্ষণ আইনে মামলা করতে চাইলে খিলক্ষেত থানা তা নেয়নি। গতকাল আবার মামলা করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়। রাজউকের সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম জানান, খিলক্ষেত থানা গতকাল মামলার কাগজ গ্রহণ করে ফটোকপি দেয়। তবে মামলার নম্বর দেওয়া হয়নি।
রাতে যোগাযোগ করা হলে খিলক্ষেত থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেন, কাগজপত্রে কিছু সমস্যা আছে। রাতের মধ্যে মামলাটি নেওয়া হতে পারে।
ড্যাপের পানিধারণ এলাকাও ভরাট চলছে: পরিবেশ অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) গতকাল এলাকা পরিদর্শনকালে দেখতে পান, বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ খিলক্ষেত-বাড্ডা এলাকায় তাদের আবাসিক (দ্বিতীয় পর্ব) প্রকল্পের অধীনে এন ব্লক নামে আবাসন প্রকল্প সম্প্রসারণ করতে গিয়ে ওই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক জলাশয় বোয়ালিয়া খালের বিশাল এলাকা বালু দিয়ে ভরাট করেছে। এমনকি ড্যাপের পানিধারণ এলাকাও ভরাট করেছে। এ ছাড়া বোয়ালিয়া খালের পশ্চিম পাশে নিচু জলাভূমিতে পাইলিং করে একটি রাস্তাও নির্মাণ করা হচ্ছে, যা ক্রমেই বোয়ালিয়া খালের মূল প্রবাহকে অবরুদ্ধ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও রাজউকের কর্মকর্তারা গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা পরিদর্শনকালে বসুন্ধরার কোনো কর্মকর্তাকে এলাকায় দেখতে পাননি। তবে প্রাথমিক তদন্তে বোয়ালিয়া খালের ৮০ হাজার ২৬৪ বর্গমিটার এবং ড্যাপের আওতাধীন পানিধারণ এলাকায় ৩৭ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৫ বর্গমিটার ভরাটের প্রমাণ পাওয়া যায়।
ভরাটকাজ বন্ধে ওয়াসারও নির্দেশ: সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার ম্যাজিস্ট্রেট কাজী ওয়াছিউদ্দিন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে রোববার বোয়ালিয়া খাল পরিদর্শন করেন এবং ভরাটকাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। পরিদর্শনে দেখা যায়, আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানটি খালের জায়গা ভরাট করে ফেলেছে। এ ব্যাপারে রাজউক, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ঢাকা ওয়াসা যৌথভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) অনুযায়ী, জলাশয় ভরাট দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
‘বোয়ালিয়া খাল ভরাট করে আবাসন প্রকল্প!’ শিরোনামে ৮ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন ছাপে প্রথম আলো। এটি আদালতের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন। এরপর শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশ: বসুন্ধরার চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা, ক্ষতিপূরণ আদায় এবং প্রকল্পের কাজে ব্যবহূত যন্ত্রপাতি কেন জব্দ করা হবে না, তা আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পরিবেশ অধিদপ্তরে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী গতকাল রাজউক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রকল্প এলাকা এবং খাল ও জলাশয় ভরাট কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরে বসুন্ধরার চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান (শাহ আলম) বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়।
রাজউকের মামলা নিতে থানার অনীহা: বোয়ালিয়া খাল ভরাটের অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) রোববার জলাধার সংরক্ষণ আইনে মামলা করতে চাইলে খিলক্ষেত থানা তা নেয়নি। গতকাল আবার মামলা করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়। রাজউকের সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম জানান, খিলক্ষেত থানা গতকাল মামলার কাগজ গ্রহণ করে ফটোকপি দেয়। তবে মামলার নম্বর দেওয়া হয়নি।
রাতে যোগাযোগ করা হলে খিলক্ষেত থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেন, কাগজপত্রে কিছু সমস্যা আছে। রাতের মধ্যে মামলাটি নেওয়া হতে পারে।
ড্যাপের পানিধারণ এলাকাও ভরাট চলছে: পরিবেশ অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) গতকাল এলাকা পরিদর্শনকালে দেখতে পান, বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ খিলক্ষেত-বাড্ডা এলাকায় তাদের আবাসিক (দ্বিতীয় পর্ব) প্রকল্পের অধীনে এন ব্লক নামে আবাসন প্রকল্প সম্প্রসারণ করতে গিয়ে ওই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক জলাশয় বোয়ালিয়া খালের বিশাল এলাকা বালু দিয়ে ভরাট করেছে। এমনকি ড্যাপের পানিধারণ এলাকাও ভরাট করেছে। এ ছাড়া বোয়ালিয়া খালের পশ্চিম পাশে নিচু জলাভূমিতে পাইলিং করে একটি রাস্তাও নির্মাণ করা হচ্ছে, যা ক্রমেই বোয়ালিয়া খালের মূল প্রবাহকে অবরুদ্ধ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও রাজউকের কর্মকর্তারা গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা পরিদর্শনকালে বসুন্ধরার কোনো কর্মকর্তাকে এলাকায় দেখতে পাননি। তবে প্রাথমিক তদন্তে বোয়ালিয়া খালের ৮০ হাজার ২৬৪ বর্গমিটার এবং ড্যাপের আওতাধীন পানিধারণ এলাকায় ৩৭ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৫ বর্গমিটার ভরাটের প্রমাণ পাওয়া যায়।
ভরাটকাজ বন্ধে ওয়াসারও নির্দেশ: সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার ম্যাজিস্ট্রেট কাজী ওয়াছিউদ্দিন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে রোববার বোয়ালিয়া খাল পরিদর্শন করেন এবং ভরাটকাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। পরিদর্শনে দেখা যায়, আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানটি খালের জায়গা ভরাট করে ফেলেছে। এ ব্যাপারে রাজউক, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ঢাকা ওয়াসা যৌথভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) অনুযায়ী, জলাশয় ভরাট দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
No comments