প্রাথমিক শিক্ষাকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শিশুরা যাতে প্রাথমিক শিক্ষায় দৃঢ় ভিত্তি লাভ করে, সে লক্ষ্যে বিশেষ যত্ন নিতে শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গতকাল সোমবার ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১২’-এর উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক শিক্ষা পদক বিতরণ করেন। এবারের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘জাতির জন্য অহংকার, এক শ ভাগ শিক্ষার হার’। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে মানবজাতির সব শিক্ষার ভিত্তি। এটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের প্রথম পর্যায় এবং তাঁর সরকার চায়, প্রতিটি শিশু সু-আদর্শ ও নীতির ভিত্তিতে বেড়ে উঠুক। এ প্রসঙ্গে তিনি পঞ্চম শ্রেণীতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার কথা উল্লেখ করে বলেন, এই নতুন ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের শিক্ষালাভে অনুপ্রেরণা জোগানোর পাশাপাশি কচি বয়সে তারা অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মানসিকতাও গড়ে তুলছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী এম আফছারুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম মোতাহার হোসেন, সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ বক্তব্য দেন।
সবার কাছে গ্রহণযোগ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষানীতি চালুর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নীতি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে, যা আলোকিত প্রজন্ম গড়ে তোলায় সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকার প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সব শিশুর ভর্তির জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। বর্তমান সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে শতভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চিত করার সঙ্গে ছাত্র ও শিক্ষকের আনুপাতিক হারের ব্যবধান কমাতে প্রাথমিক স্তরে ৪৫ হাজার নতুন শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যে তাঁর সরকার শূন্য ও নতুন পদে ৬০ হাজার ৯৪৩ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে এবং অবশিষ্ট পদগুলোয় নিয়োগের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। তিনি শিক্ষকদের শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রতি সহনশীল ও মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা পরিহার এবং শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট, কোচিং বা টিউশনে প্রলুব্ধ না করার আহ্বান জানান।
আফছারুল আমীন বলেন, বর্তমান সরকারের নেওয়া ব্যবস্থার ফলে প্রাথমিক স্তরে ভর্তির হার অনেক বেড়েছে। তবে দারিদ্র্য ও অন্যান্য প্রতিবন্ধকতার কারণে মানসম্মত শিক্ষার ব্যবস্থা করা এখনো এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। তিনি আরও বলেন, সরকার ৫৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-২ (পিইডিপি) বাস্তবায়ন করছে। এর আওতায় ৪১ হাজার নতুন শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ, ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ, উপকূলীয় অঞ্চলে ৩৯৫টি নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়-কাম-সাইক্লোন শেল্টার এবং ৪৫৫টি উপজেলা শিক্ষা অফিসের সংস্কার করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে শিক্ষার বাইরে অন্যান্য কর্মকাণ্ডে কৃতিত্বের জন্য ২৪ জন শিক্ষার্থী এবং দেশে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে অবদানের জন্য ২২টি প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীকে পদক প্রদান করেন।
মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক ও প্রাথমিক শিক্ষা খাতে সহায়তা প্রদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী এম আফছারুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম মোতাহার হোসেন, সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ বক্তব্য দেন।
সবার কাছে গ্রহণযোগ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষানীতি চালুর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নীতি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে, যা আলোকিত প্রজন্ম গড়ে তোলায় সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকার প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সব শিশুর ভর্তির জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। বর্তমান সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে শতভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চিত করার সঙ্গে ছাত্র ও শিক্ষকের আনুপাতিক হারের ব্যবধান কমাতে প্রাথমিক স্তরে ৪৫ হাজার নতুন শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যে তাঁর সরকার শূন্য ও নতুন পদে ৬০ হাজার ৯৪৩ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে এবং অবশিষ্ট পদগুলোয় নিয়োগের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। তিনি শিক্ষকদের শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রতি সহনশীল ও মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা পরিহার এবং শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট, কোচিং বা টিউশনে প্রলুব্ধ না করার আহ্বান জানান।
আফছারুল আমীন বলেন, বর্তমান সরকারের নেওয়া ব্যবস্থার ফলে প্রাথমিক স্তরে ভর্তির হার অনেক বেড়েছে। তবে দারিদ্র্য ও অন্যান্য প্রতিবন্ধকতার কারণে মানসম্মত শিক্ষার ব্যবস্থা করা এখনো এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। তিনি আরও বলেন, সরকার ৫৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-২ (পিইডিপি) বাস্তবায়ন করছে। এর আওতায় ৪১ হাজার নতুন শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ, ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ, উপকূলীয় অঞ্চলে ৩৯৫টি নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়-কাম-সাইক্লোন শেল্টার এবং ৪৫৫টি উপজেলা শিক্ষা অফিসের সংস্কার করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে শিক্ষার বাইরে অন্যান্য কর্মকাণ্ডে কৃতিত্বের জন্য ২৪ জন শিক্ষার্থী এবং দেশে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে অবদানের জন্য ২২টি প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীকে পদক প্রদান করেন।
মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক ও প্রাথমিক শিক্ষা খাতে সহায়তা প্রদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
No comments